7 मिनट पहलेজেলেনস্কির যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব: রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের নতুন মোড়
![]()
রাশিয়ার ভারী হামলার পর ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কি নরম মনোভাব গ্রহণ করে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি রাশিয়ার সাথে আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন এবং শান্তির জন্য একটি আনুষ্ঠানিক বৈঠকের দাবি জানিয়েছেন।
Russia-Ukraine: রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধ একটি নতুন মোড় নিয়েছে। রাশিয়া কর্তৃক সম্প্রতি ইউক্রেনের বিভিন্ন অংশে জোরদার সামরিক হামলার পর এখন ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কির মনোভাব নরম হয়েছে। এই প্রথম তিনি যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন। জেলেনস্কি স্পষ্টভাবে বলেছেন যে তাঁর সরকার রাশিয়ার সাথে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, যুদ্ধ শেষ করার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক বৈঠক খুবই জরুরি এবং ইউক্রেন এই বিষয়ে সম্ভাব্য সবকিছু করবে।
রাষ্ট্রপতির জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ
বিগত সন্ধ্যায় দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণে জেলেনস্কি তাঁর বিবৃতিতে বলেন, "রাশিয়া সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা করছে। যুদ্ধবিরতি করার জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করা হবে। দীর্ঘমেয়াদী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক বৈঠক অত্যন্ত জরুরি।" জেলেনস্কি এই বিবৃতি এমন সময়ে দিয়েছেন যখন রাশিয়া ইউক্রেনের প্রধান শহরগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা জোরদার করেছে।
বিদেশমন্ত্রীর রিপোর্টের পর তৎপরতা বৃদ্ধি
এই ঘটনার আগে ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী আন্দ্রেই সিবিহা রাষ্ট্রপতিকে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দিয়েছিলেন। এই রিপোর্টে যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য দেওয়া হয়েছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, ইউক্রেন সরকার যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার পরিস্থিতি এবং রাশিয়ার সাথে আলোচনার কাঠামো নিয়ে বিবেচনা করছে। এই রিপোর্টের পরেই জেলেনস্কি তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করেছেন এবং আলোচনার দিকে গুরুত্ব দিয়েছেন।
প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে দায়িত্ব অর্পণ
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতির সম্ভাব্য আলোচনার নেতৃত্ব এখন ইউক্রেনের প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ দিচ্ছেন। সম্প্রতি তাঁকে জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা পরিষদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উমেরভের নিরাপত্তা ও সামরিক বিষয়ে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং তিনিই এখন আলোচনা প্রক্রিয়ার নেতৃত্ব দেবেন।
তবে, এর আগে দুই দেশের মধ্যে যে আলোচনাগুলো হয়েছিল, সেগুলো কোনো ठोस সিদ্ধান্তে পৌঁছানো ছাড়াই শেষ হয়ে গিয়েছিল। এইবার সরকারের কৌশল হল আলোচনাকে একটি নতুন কাঠামো ও নেতৃত্বের সাথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
রাশিয়ার শর্ত এবং ইউক্রেনের প্রত্যাখ্যান
যুদ্ধবিরতি নিয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে কিছু কঠোর শর্ত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দাবি হল ইউক্রেন যেন রাশিয়ার দখলে নেওয়া চারটি অঞ্চল তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়। এছাড়াও, রাশিয়া এও দাবি করেছে যে ইউক্রেন যেন ন্যাটো (NATO)-র সদস্য হওয়ার দিকে কোনো পদক্ষেপ না নেয় এবং তাদের সামরিক নীতিতে নিরপেক্ষতা বজায় রাখে।
এই শর্তগুলো ইউক্রেন সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করেছে। রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কি স্পষ্ট করে বলেছেন যে ইউক্রেন কোনো মূল্যে তার ভূমি ছাড়বে না এবং দেশের অখণ্ডতার সাথে আপস করা হবে না। সরকারের পক্ষ থেকে এও বলা হয়েছে যে যদি আলোচনা করতে হয়, তবে তা সমান স্তরে এবং কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই হতে হবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সতর্কতা
এই পুরো ঘটনার মধ্যে আমেরিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পও রাশিয়ার উপর কঠোর মনোভাব রেখেছেন। ট্রাম্প রাশিয়াকে ৫০ দিনের সময়সীমা দিয়ে বলেছেন যে যদি এই সময়ের মধ্যে রাশিয়া যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হয়, তবে তার উপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এর পাশাপাশি, তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন যে রাশিয়া থেকে ব্যবসা করা দেশগুলোর উপরও ৫০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।
1 घंटा पहलेবাতিল ভারত-পাক লিজেন্ডস ম্যাচ: খেলোয়াড় ও জনমতের জয়
![]()
প্রবল বিরোধিতার মুখে WCL ভারত-পাক লিজেন্ডস ম্যাচ বাতিল করল। খেলোয়াড়দের অসন্তোষ ও জনমতকে সম্মান জানিয়ে আয়োজকরা ক্ষমা চেয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
IND-PAK: ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অফ লিজেন্ডস (WCL)-এ ক্রিকেটপ্রেমীরা ভারত ও পাকিস্তানের লিজেন্ডস ম্যাচটি দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু সেই বহু প্রতীক্ষিত ম্যাচটি শুরু হওয়ার আগেই বাতিল হয়ে গেল। এই সিদ্ধান্ত শুধু আয়োজকদের নয়, এর পেছনে ছিল দেশবাসীর আবেগ, সোশ্যাল মিডিয়ায় জনরোষ এবং খেলোয়াড়দের স্পষ্ট আপত্তি।
খেলোয়াড়দের অসন্তোষই প্রধান কারণ
এই ম্যাচের ঘোষণা হওয়ার পর প্রথম বিরোধিতা করেন ভারতের প্রাক্তন ওপেনার শিখর ধাওয়ান। তিনি টুইটারে লেখেন, "আমার কাছে আমার দেশ সবার আগে। দেশের বিরুদ্ধে যায় এমন কোনও সিদ্ধান্তকে আমি সমর্থন করি না।" তাঁর এই বিবৃতির পর হরভজন সিং, সুরেশ রায়না ও ইউসুফ পাঠানের মতো তারকারাও এই ম্যাচ থেকে নিজেদের সরিয়ে নেন। দেশের সম্মান ও সুরক্ষার চেয়ে বড় কিছু হতে পারে না, এই বিষয়ে সমস্ত ক্রিকেটার একমত হন।
আয়োজকদের ক্ষমা প্রার্থনা
WCL-এর পক্ষ থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, "ক্রিকেটপ্রেমীদের আনন্দ দেওয়ার জন্য আমরা এই ম্যাচটি আয়োজন করতে চেয়েছিলাম। সম্প্রতি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে হকি ও ভলিবল ম্যাচ হয়েছে, তাই আমরা ভেবেছিলাম একটি ক্রিকেট ম্যাচও আয়োজন করা যেতে পারে। কিন্তু আমরা বুঝতে পেরেছি, অজান্তে অনেকের ভাবাবেগে আঘাত করেছি।" বিবৃতিতে এও স্বীকার করা হয়েছে যে, প্রাক্তন ভারতীয় খেলোয়াড়দের অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলা আয়োজকদের একটি বড় ভুল ছিল। পাশাপাশি, ব্র্যান্ডগুলির উপরও এর প্রভাব পড়েছে, যারা শুধুমাত্র খেলার প্রতি ভালোবাসার কারণে সহযোগিতা করছিল।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়াও ছিল তীব্র
শিবসেনা (ইউবিটি)-র সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী টুইট করে আয়োজকদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, "ধন্যবাদ! সন্ত্রাসের সঙ্গে কোনও আলোচনা নয়। দেশের কষ্টের সময় যারা চুপ থেকেছে বা অপমানজনক মন্তব্য করেছে, তাদের সঙ্গে কোনওরকম সহযোগিতা করা হবে না।" তিনি আরও যোগ করেন, "দেশের সম্মিলিত আওয়াজ পাহাড়কেও নাড়াতে পারে।" এই সিদ্ধান্ত उन लोगों की जीत है जो भारत की सुरक्षा और गरिमा के पक्ष में खड़े हुए।
ম্যাচের পেছনের উদ্দেশ্য
WCL এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে সারা বিশ্বের অবসরপ্রাপ্ত ক্রিকেটাররা আবারও মাঠে ফেরেন এবং দর্শকদের পুরনো দিনের স্মৃতি ফিরিয়ে আনেন। আয়োজকদের মতে, ভারত-পাক ম্যাচটি শুধুমাত্র খেলার স্পিরিটকে বাড়িয়ে তোলার জন্য ছিল, যেখানে কোনও রাজনীতি বা মতাদর্শ জড়িত ছিল না। কিন্তু যখন এই ইভেন্ট নিয়ে বিতর্ক বাড়তে থাকে, খেলোয়াড়দের অসন্তোষ প্রকাশ্যে আসে এবং সাধারণ মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় এর তীব্র বিরোধিতা করে, তখন আয়োজকরা পিছু হটতে বাধ্য হন।
ক্রিকেটের মাঠের চেয়েও বড় দেশ
এই পুরো ঘটনা আবারও প্রমাণ করে দিল যে, ভারতে ক্রিকেট ধর্মের মতো হলেও দেশের চেয়ে বড় কিছু নয়। খেলোয়াড়, দর্শক এবং সাধারণ নাগরিক—সকলেই একসুরে এই বার্তা দিয়েছেন যে, খেলা ও সম্মান ততক্ষণই একসঙ্গে চলতে পারে, যতক্ষণ না তা দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায়।
সোশ্যাল মিডিয়া জনমতের সবচেয়ে বড় মঞ্চ
টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে এই বিষয় নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। #NoMatchWithTerror-এর মতো হ্যাশট্যাগ ট্রেন্ড করতে শুরু করে এবং হাজার হাজার ইউজার এই ম্যাচটি বাতিল করার দাবি জানান। এমন পরিস্থিতিতে আয়োজকদের উপর সামাজিক চাপ এতটাই বেড়ে যায় যে, সিদ্ধান্ত নেওয়া অনিবার্য হয়ে পড়ে।
1 घंटा पहलेডেল্টা এয়ারলাইন্সের ইঞ্জিনে আগুন: লস অ্যাঞ্জেলেসে জরুরি অবতরণ, যাত্রীরা সুরক্ষিত
![]()
ডেল্টা এয়ারলাইন্সের আটলান্টা-গামী ফ্লাইট ইঞ্জিনে আগুন লাগার কারণে লস অ্যাঞ্জেলেস বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়েছে। সকল যাত্রী সুরক্ষিত আছেন।
Delta Air Lines: লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে আটলান্টা-গামী ডেল্টা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট DL446 টেকঅফের কয়েক মিনিটের মধ্যেই ইঞ্জিনে আগুন লাগার কারণে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়। ২৪ বছর পুরোনো বোয়িং 767-400 বিমানের বাঁ দিকের ইঞ্জিন থেকে আগুনের শিখা বের হতে দেখা যায়। পাইলটরা তৎক্ষণাৎ নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেন এবং বিমানটিকে মাঝ আকাশ থেকে ঘুরিয়ে লস অ্যাঞ্জেলেস বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করান। এই ঘটনায় সকল যাত্রী ও ক্রু সদস্য সম্পূর্ণ সুরক্ষিত রয়েছেন। Federal Aviation Administration (FAA) তদন্ত শুরু করেছে। এই বছর ডেল্টা এয়ারলাইন্সে ইঞ্জিন বিকল হওয়ার এটি দ্বিতীয় ঘটনা।
টেকঅফের কয়েক মিনিটের মধ্যেই ইঞ্জিনে আগুন
ডেল্টা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট DL446 শুক্রবার লস অ্যাঞ্জেলেস ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে আটলান্টার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই বিমানের বাঁ দিকের ইঞ্জিন থেকে আগুনের শিখা বের হতে দেখা যায়। এই বিমানটি একটি Boeing 767-400 ছিল, যার বয়স প্রায় ২৪ বছর এবং এর রেজিস্ট্রেশন নম্বর N836MH।
রিপোর্ট অনুযায়ী, আগুন লাগার এই ঘটনাটি সেই সময় ঘটে যখন বিমানটি প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। ভূমি থেকে নেওয়া ভিডিও ফুটেজে পরিষ্কার দেখা যায় যে বিমানের বাঁ দিকের ইঞ্জিন থেকে তীব্র শিখা নির্গত হচ্ছে। অনেক প্রত্যক্ষদর্শী এবং যাত্রী জানিয়েছেন যে দৃশ্যটি অত্যন্ত ভীতিকর ছিল।
পাইলটরা তৎক্ষণাৎ ফেরার সিদ্ধান্ত নেন
ইঞ্জিনে ত্রুটি এবং আগুনের সংকেত পাওয়া মাত্রই পাইলটরা কোনো সময় নষ্ট না করে জরুরি প্রক্রিয়া অবলম্বন করেন। তাঁরা Air Traffic Control (ATC)-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিস্থিতির জানান এবং বিমানটিকে তৎক্ষণাৎ ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেন।
ফ্লাইটটি ডাউনি এবং প্যারামাউন্ট অঞ্চলের উপর দিয়ে ঘুরে আসে। এই সময় বিমানের উচ্চতা এবং গতি নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছিল। পাইলটরা সমস্ত প্রয়োজনীয় safety protocols এবং checklist অনুসরণ করে বিমানটিকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনেন।
অবতরণের সময় ফায়ার ক্রু ছিল সতর্ক
যখন ফ্লাইটটি লস অ্যাঞ্জেলেস বিমানবন্দরে ফিরে আসে, তখন জরুরি সুরক্ষা দল আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল। বিমানটি থামার সঙ্গে সঙ্গেই ফায়ার ক্রু দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে ইঞ্জিনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ডেল্টা এয়ারলাইন্সের মুখপাত্রের अनुसार, কোনো যাত্রী বা ক্রু সদস্য আহত হননি।
যাত্রীরা জানিয়েছেন যে পাইলটরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার সময় যাত্রীদের ক্রমাগত তথ্য দিয়ে শান্ত রেখেছিলেন। বিমানে থাকা সকল যাত্রীকে নিরাপদে বার করে আনা হয়েছে এবং তাঁদের বিকল্প ফ্লাইটের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।
FAA তদন্ত শুরু করেছে
Federal Aviation Administration (FAA) এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই বিমান General Electric CF6 ইঞ্জিন দ্বারা চালিত। বিশেষজ্ঞদের একটি দল এখন এটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে যে ইঞ্জিনে আগুন লাগার কারণ কী ছিল।
FAA-এর তদন্ত এই বিষয়ের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে যে এটি কোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটি ছিল, নাকি রক্ষণাবেক্ষণে কোনো ভুল হয়েছিল, নাকি এটি একটি অপ্রত্যাশিত যান্ত্রিক ব্যর্থতা ছিল। ডেল্টাও তাদের তরফে প্রযুক্তিগত তদন্ত এবং সুরক্ষা প্রক্রিয়ার পর্যালোচনা শুরু করেছে।
3 घंटा पहलेবোয়িং স্টারলাইনার ২০২৬ সাল পর্যন্ত গ্রাউন্ডেড: নাসার বড় পদক্ষেপ
![]()
নাসা ক্রু ক্যাপসুল বোয়িং CST-100 স্টারলাইনারকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত গ্রাউন্ডেড (পরিষেবা থেকে বাইরে) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জুন ২০২৪-এ প্রযুক্তিগত ত্রুটির পর থেকেই স্টারলাইনার ক্রমাগত আলোচনার মধ্যে ছিল।
Boeing Starliner Grounded: নাসা (NASA) বোয়িংয়ের মহাকাশযান CST-100 স্টারলাইনার (Starliner)-কে ২০২৬ সাল পর্যন্ত গ্রাউন্ডেড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তটি সেই সময়ে আসে যখন জুন ২০২৪-এ স্টারলাইনারের ক্রু ফ্লাইট টেস্টের সময় বড় প্রযুক্তিগত ত্রুটি দেখা যায়। নাসার মতে, এই সমস্যাগুলি সম্পূর্ণরূপে মেরামত করতে এবং প্রয়োজনীয় সুরক্ষা মানগুলি পুনরায় পরীক্ষা করতে ২০২৬ সাল পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এই কারণে বোয়িং স্টারলাইনারের সমস্ত আসন্ন মিশন স্থগিত বা বাতিল করা হয়েছে।
কি এই Boeing Starliner এর প্রযুক্তিগত সমস্যা?
বোয়িং স্টারলাইনারকে নাসা এবং বোয়িং মানব মিশনগুলির জন্য মহাকাশে পাঠানোর উদ্দেশ্যে তৈরি করেছিল। কিন্তু জুন ২০২৪-এ ক্রু ফ্লাইট টেস্টের সময় এর সিস্টেমে গুরুতর ত্রুটি দেখা যায়। প্রধান ত্রুটিগুলি যা সামনে এসেছে:
- হিলিয়াম গ্যাস লিক: স্পেসে পৌঁছানোর সময় স্টারলাইনারের সিস্টেমে হিলিয়াম গ্যাসের কয়েকটি জায়গা থেকে লিক হওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। হিলিয়াম প্রপালশন সিস্টেমের জন্য জরুরি এবং এর লিক হওয়া মিশনের জন্য বড় ঝুঁকি।
- থ্রাস্ট কন্ট্রোল ফেইলিওর: ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (ISS)-এ ডকিং করার সময় স্টারলাইনারের ২৮টির মধ্যে ৫টি কন্ট্রোল থ্রাস্টার কাজ করা বন্ধ করে দেয়। থ্রাস্টারগুলির ফেইল হওয়া যানটির পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য অত্যন্ত গুরুতর সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হয়।
নাসার সিদ্ধান্ত: কেন নেওয়া হল এত বড় পদক্ষেপ?
নাসা নভোচারীদের নিরাপত্তা অগ্রাধিকার দিয়ে স্টারলাইনারকে খালি অবস্থাতেই পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সময় স্টারলাইনারে সুনিতা উইলিয়ামস সহ অন্যান্য নভোচারীরা ISS-এ আটকে ছিলেন। তাঁদের পরে নিরাপদে স্পেসএক্স-এর ড্রাগন স্পেসক্রাফটের মাধ্যমে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হয়।
নাসার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতে, বোয়িং এবং নাসা উভয়ই একসঙ্গে এই প্রযুক্তিগত ত্রুটির বিস্তারিত বিশ্লেষণ করছে। কিন্তু এই ত্রুটিগুলি সম্পূর্ণরূপে ঠিক করতে বেশ দীর্ঘ সময় লাগতে পারে।
২০২৬ সাল পর্যন্ত কেন থাকবে গ্রাউন্ডেড?
নাসা এবং বোয়িং উভয়ই একসঙ্গে স্থির করেছে যে যতক্ষণ না স্টারলাইনারের সমস্ত সমস্যা সম্পূর্ণরূপে ঠিক করা হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই যানটিকে কোনো মানব মিশনগুলির জন্য উড়ানের অনুমতি দেওয়া হবে না। ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ বা ২০২৬ সালের শুরুতে স্টারলাইনারের নতুন পরীক্ষা (Test Flight) করা হবে।
পরের উড়ানে কোনো নভোচারী অন্তর্ভুক্ত থাকবে না। এটি একটি আনম্যানড টেস্ট মিশন হবে, যাতে এটি পরীক্ষা করা যায় যে উন্নতির পরে স্পেসক্রাফটটি নিরাপদ আছে কিনা। যদি এই পরীক্ষা সফল হয়, তবেই এটিকে পুনরায় মানব মিশনগুলির জন্য মঞ্জুরি দেওয়া হবে।
NASA এবং Boeing-এর জন্য কী এই সিদ্ধান্তের মানে?
এই সিদ্ধান্তটি কেবল বোয়িংয়ের জন্য নয়, বরং নাসার ভবিষ্যতের স্পেস মিশনের জন্যেও গুরুত্বপূর্ণ। নাসা তার নীতিতে এটি স্পষ্ট করে দিয়েছে যে নভোচারীদের নিরাপত্তার সাথে কোনো আপস করা হবে না। যেখানে বোয়িং স্টারলাইনার প্রযুক্তিগত ত্রুটির সঙ্গে লড়ছে, সেখানে স্পেসএক্স-এর ক্রু ড্রাগন ক্রমাগত সফল মিশন করে চলেছে।
ফলে স্পেসএক্স-এর সাথে নাসার ভরসা আরও মজবুত হচ্ছে। স্টারলাইনারের দেরির কারণে বোয়িংয়ের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং মহাকাশ ক্ষেত্রে তার প্রতিযোগিতার উপর প্রভাব পড়তে পারে।
18 घंटा पहलेকঙ্গো-রুয়ান্ডা যুদ্ধবিরতি: দীর্ঘ সংঘাতের অবসানের পথে?
![]()
আফ্রিকার अशाন্ত অঞ্চল পূর্ব কঙ্গোতে বহু বছর ধরে চলা হিংসা ও রক্তক্ষয়ী সংঘাত বন্ধ করার দিকে একটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
Congo-Rwanda Ceasefire: আফ্রিকার अशाন্ত অঞ্চল পূর্ব কঙ্গোতে প্রায় তিন দশক ধরে চলা হিংসা ও সংঘাত বন্ধ করার জন্য একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কঙ্গো সরকার ও রুয়ান্ডা সমর্থিত এম২৩ বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি (Ceasefire) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির ফলে আফ্রিকার দীর্ঘতম ও রক্তক্ষয়ী সংঘাতগুলির মধ্যে একটি বন্ধ হওয়ার আশা করা যাচ্ছে।
এই সংঘাতকে কেন 'আফ্রিকার বিশ্বযুদ্ধ' বলা হয়?
পূর্ব কঙ্গোতে চলা এই যুদ্ধকে 'আফ্রিকার বিশ্বযুদ্ধ' (Africa’s World War) বলা হয়। এর কারণ হল এই সংঘাতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নয়টিরও বেশি আফ্রিকান দেশ এবং কয়েকশো সশস্ত্র গোষ্ঠী জড়িত রয়েছে। ১৯৯০-এর দশক থেকে এই হিংসা ধীরে ধীরে এত বড় আকার ধারণ করেছে যে অনুমান করা হয় এতে ৫০ লক্ষেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন বা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
জাতিসংঘ এই সংঘাতকে বিশ্বের সবচেয়ে জটিল ও গুরুতর মানবিক সংকটগুলির মধ্যে একটি বলে অভিহিত করেছে। জাতিগত হিংসা, রাজনৈতিক অস্থিরতা, খনিজ সম্পদের ওপর নিয়ন্ত্রণ এবং সীমান্ত বিরোধের মতো কারণগুলি এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে কী স্থির হয়েছে?
এই ঐতিহাসিক চুক্তিটি জাতিসংঘ ও আফ্রিকান ইউনিয়নের মধ্যস্থতায় হয়েছে। এতে কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র (DRC) এবং রুয়ান্ডা সমর্থিত এম২৩ বিদ্রোহী গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন। কাতারে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে স্থির হয়েছে যে:
- সমস্ত পক্ষ অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করবে।
- দখল করা অঞ্চল থেকে পিছু হটবে।
- স্থায়ী শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য এক মাসের মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
- বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের প্রত্যাবর্তন ও মানবিক সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।
- কঙ্গোর রাষ্ট্রপতি ফেলিক্স চিসেকিদি এই চুক্তিকে 'শান্তির দিকে প্রথম বাস্তব পদক্ষেপ' বলেছেন, অন্যদিকে রুয়ান্ডা সরকারও এটিকে ইতিবাচক উদ্যোগ বলে জানিয়েছে।
কঙ্গো ও রুয়ান্ডার মধ্যে তিন দশক পুরনো বিরোধ কেন?
এই হিংসার শিকড় ১৯৯৪ সালের রুয়ান্ডা গণহত্যা থেকে এসেছে, যেখানে প্রায় ৮ লক্ষ Tutsi এবং উদারপন্থী Hutু মারা গিয়েছিলেন। এরপর বহু সংখ্যক Hutু শরণার্থী কঙ্গোতে (তৎকালীন জায়ারে) পালিয়ে যান, যাদের মধ্যে গণহত্যার অভিযুক্তরাও ছিলেন। রুয়ান্ডা এই চরমপন্থী Hutু গোষ্ঠীগুলির মোকাবিলা করার জন্য পূর্ব কঙ্গোতে হস্তক্ষেপ করতে শুরু করে এবং এখান থেকেই কঙ্গো-রুয়ান্ডা উত্তেজনার শুরু হয়।
- প্রথম কঙ্গো যুদ্ধ (১৯৯৬-১৯৯৭): রুয়ান্ডা ও উগান্ডা একসঙ্গে মিলে মুবুতু শাসনের বিরুদ্ধে লরেন্ট কাবিলাকে সমর্থন করে এবং তাকে ক্ষমতায় আনে। এই সংঘাত পূর্ব কঙ্গোর সম্পদ ও নিরাপত্তা নিয়ে শুরু হয়েছিল।
- দ্বিতীয় কঙ্গো যুদ্ধ (১৯৯৮-২০০৩): একেই আফ্রিকার বিশ্বযুদ্ধ বলা হয়। এতে রুয়ান্ডা, উগান্ডা, অ্যাঙ্গোলা, জিম্বাবয়ে, নামিবিয়া সহ নয়টি দেশের সেনা এবং অনেক সশস্ত্র গোষ্ঠী জড়িত ছিল। এই যুদ্ধে ৫০ লক্ষেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন বা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
এম২৩ বিদ্রোহী গোষ্ঠীর উত্থান ও ভূমিকা
২০০৩ সালের পর পূর্ব কঙ্গোতে অনেক সশস্ত্র গোষ্ঠী সক্রিয় ছিল। তাদের মধ্যে একটি প্রধান গোষ্ঠী হল এম২৩ (March 23 Movement), যাদেরকে রুয়ান্ডার সমর্থনপুষ্ট মনে করা হয়। ২০১২ সালে এম২৩ আবার সংঘাত শুরু করে এবং কঙ্গোর বড় শহর গোমা দখল করে নেয়। ২০২১ সালের পর থেকে এই গোষ্ঠী আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে এবং খনিজ সম্পদে পরিপূর্ণ পূর্ব কঙ্গোর বড় অংশ দখল করতে শুরু করেছে।
কঙ্গো সরকার ক্রমাগত রুয়ান্ডার উপর এম২৩ কে সমর্থন করার অভিযোগ করে আসছে, যদিও রুয়ান্ডা এই অভিযোগ অস্বীকার করে। অনেক আন্তর্জাতিক রিপোর্টে রুয়ান্ডার সমর্থনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
৭০ লক্ষেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন
কঙ্গোতে চলা এই সংঘাতের কারণে ৭০ লক্ষের বেশি মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। জাতিসংঘের মতে পূর্ব কঙ্গো আজও বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকটপূর্ণ অঞ্চলগুলির মধ্যে একটি। এম২৩ ছাড়াও এখানে ১০০টিরও বেশি সশস্ত্র গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে যারা খনিজ সম্পদের ওপর নিয়ন্ত্রণ, জাতিগত আধিপত্য এবং নিরাপত্তার নামে ক্রমাগত হিংসা চালাচ্ছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে আশা প্রকাশ করেছেন যে এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপ স্থায়ী শান্তির দিকে নিয়ে যাবে।
যদিও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন এই যুদ্ধবিরতির সাফল্য নির্ভর করবে উভয় পক্ষ কতটা সততার সঙ্গে এটি পালন করে তার ওপর।
18 घंटा पहलेপাঞ্জাবে রাজনৈতিক সংকট: বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন আনমোল গগন মান
![]()
পাঞ্জাবের রাজনীতিতে এই মুহূর্তে বড় ঘটনা ঘটছে। খারার বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক এবং প্রাক্তন মন্ত্রী আনমোল গগন মান তাঁর বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।
চণ্ডীগড়: পাঞ্জাবের রাজনীতিতে আরও একটি বড় পরিবর্তন দেখা গেল। আম আদমি পার্টির (AAP) মহিলা বিধায়ক আনমোল গগন মান হঠাৎ করেই রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার এবং খারার বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। আনমোল গগন মান নিজেই তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। তিনি স্পিকার কুলতার সিং সান্ধওয়াকে তাঁর ইস্তফা দ্রুত গ্রহণ করার জন্য আবেদন করেছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা
প্রাক্তন পর্যটন মন্ত্রী এবং খারারের বর্তমান বিধায়ক আনমোল গগন মান সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ইস্তফার কথা জানিয়ে লিখেছেন, মন খারাপ, তবে আমি রাজনীতি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার এমএলএ পদ থেকে স্পিকার সাহেবকে দেওয়া ইস্তফা গ্রহণ করা হোক। আমার শুভেচ্ছা দলের সঙ্গে আছে। আমি আশা করি পাঞ্জাব সরকার মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করবে।
আনমোল গগন মান ছিলেন আম আদমি পার্টির গায়িকা থেকে নেত্রী হয়ে ওঠা মুখ। সরকার গঠনের পর তাঁকে পর্যটন মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান যখন তাঁর মন্ত্রিসভায় রদবদল করেন, তখন আনমোল গগন মানের কাছ থেকে এই বিভাগটি কেড়ে নেওয়া হয়। এরপর থেকেই তিনি দল ও সরকারের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন।
বিভিন্ন সময়ে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণেও তাঁর নাম আলোচনায় এসেছে। যদিও, ইস্তফার পেছনে তিনি কোনো ক্ষোভের ইঙ্গিত দেননি এবং দলের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন।
খারার ও তারন তারানে উপনির্বাচন হতে পারে
আনমোল গগন মানের ইস্তফার পর খারার বিধানসভা আসনটি শূন্য হয়ে গেছে। এর আগে তারন তারান আসনটিও খালি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পাঞ্জাব সরকারকে আগামী সময়ে দুটি আসনে উপনির্বাচনের মুখোমুখি হতে হবে। আম আদমি পার্টির জন্য এই পরিস্থিতি রাজনৈতিকভাবে অস্বস্তিকর হতে পারে কারণ পাঞ্জাবে বিরোধীরা ক্রমাগত সরকারকে ঘেরাও করার সুযোগ খুঁজছে।
খারার বিধানসভা কেন্দ্র থেকে শিরোমণি আকালি দলের (SAD) নেতা রঞ্জিত সিং গিলও সম্প্রতি তাঁর দল ছাড়ার ঘোষণা করেছিলেন। আলোচনা ছিল যে তিনি হয় বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন অথবা আম আদমি পার্টিতে। এই রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে আনমোল গগন মানের ইস্তফা নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের জন্ম দিয়েছে।
আনমোল গগন মান কি অন্য কোনো দলে যাবেন?
আনমোল গগন মানের ইস্তফার পর জল্পনা শুরু হয়েছে যে তিনি রাজনীতি থেকে পুরোপুরি দূরে থাকবেন নাকি অন্য কোনো দলে যোগ দেবেন। যদিও তিনি তাঁর ঘোষণায় কেবল রাজনীতি ছাড়ার কথা বলেছেন এবং অন্য কোনো দলে যাওয়ার ইঙ্গিত দেননি। আম আদমি পার্টির জন্য এই ইস্তফা একটি বড় রাজনৈতিক ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।
পাঞ্জাবে ক্ষমতায় আসার পর থেকে দলটি বেশ কয়েকবার অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ এবং নেতাদের দলত্যাগের কারণে আলোচনায় এসেছে। আনমোল গগন মানের মতো পরিচিত মহিলা বিধায়কের ইস্তফা আসন্ন উপনির্বাচনের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
আনমোল গগন মান প্রথমে জনপ্রিয় পাঞ্জাবি গায়িকা ছিলেন এবং পরে রাজনীতিতে পা রাখেন। তিনি নারী ও যুবকদের শক্তিশালী কণ্ঠস্বর হিসেবে দলে পরিচিত ছিলেন। তিনি ২০২২ সালের নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছিলেন এবং তারপর মন্ত্রী পদও পেয়েছিলেন। যদিও, মন্ত্রী পদ ছিনিয়ে নেওয়ার পর থেকে তাঁকে সক্রিয় রাজনীতিতে কম দেখা যাচ্ছিল।
20 घंटा पहलेঅযোধ্যার পরিবর্তে গোরখপুরে অনুষ্ঠিত হবে কংগ্রেসের পূর্বাঞ্চলীয় বৈঠক
![]()
কংগ্রেস কমিটির পূর্বাঞ্চল জোনের ১২টি জেলার প্রস্তাবিত বৈঠক, যা আগে অযোধ্যায় হওয়ার কথা ছিল, এখন গোরখপুরে অনুষ্ঠিত হবে। কাওড় যাত্রা উপলক্ষে রাস্তার পরিবর্তন ও নিরাপত্তা জনিত কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
UP Congress Meeting: উত্তর প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি (UPCC) পূর্বাঞ্চলের ১২টি জেলার নেতাদের সঙ্গে প্রস্তাবিত বৈঠকটি অযোধ্যা থেকে গোরখপুরে স্থানান্তরিত করেছে। কাওড় যাত্রার কারণে অযোধ্যা এবং তার পার্শ্ববর্তী রাস্তায় যান চলাচলের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন কংগ্রেসের এই পূর্বাঞ্চলীয় আলোচনা গোরখপুরে হবে, যেখানে সংগঠন বিস্তার, আসন্ন রণনীতি এবং বিজেপির নীতির বিরুদ্ধে জনগণের মধ্যে কংগ্রেসের শক্তিশালী উপস্থিতি জানানোর এজেন্ডা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
পূর্বাঞ্চলে কংগ্রেসের নজর, ১২টি জেলার সংগঠন প্রশিক্ষণ পাবে
এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ব্লক সভাপতি ও সংগঠন ইনচার্জদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কংগ্রেস মনে করে যে, ব্লক স্তরে সংগঠনকে শক্তিশালী করা সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার, কারণ এই কর্মীরাই সরাসরি জনগণের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। দলের वरिष्ठ नेताओं के अनुसार, इन ब्लॉक अध्यक्षों को कांग्रेस की नीतियों, संगठन के दृष्टिकोण और भाजपा की विफलताओं को जनता के बीच प्रभावी ढंग से रखने के लिए विशेष ट्रेनिंग दी जाएगी।
জেলা সংগঠনের সচিবদের ব্লক ইনচার্জের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যাতে প্রতিটি ব্লকে সংগঠনের দৃঢ়তা ও কাজকর্মের ওপর নজর রাখা যায়। এছাড়াও, জেলা সদরগুলোতে তৈরি হওয়া কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাতে তারা দলীয় কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগে দক্ষতা এবং জনগণের সমস্যার সমাধানে তৎপরতা দেখাতে পারেন।
গোরখপুরে বড় রাজনৈতিক তৎপরতা
এইবারের বৈঠকটি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে, কারণ কংগ্রেসের জাতীয় মহাসচীব অবিনাশ পান্ডে এবং প্রদেশ সভাপতি অজয় রাই স্বয়ং উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও, জাতীয় সচিব সত্যনারায়ণ প্যাটেলও বৈঠকের প্রস্তুতি দেখার জন্য শনিবার গোরখপুরে পৌঁছাবেন। গোরখপুরকে এই বৈঠকের জন্য বেছে নেওয়া পূর্বাঞ্চলের রাজনীতিতে কংগ্রেসের ক্রমবর্ধমান মনোযোগের ইঙ্গিত দেয়।
কংগ্রেসের জেলা সভাপতি ও কর্মীদের বক্তব্য, এতে পার্টি সংগঠন আরও শক্তিশালী হবে এবং এই বার্তা যাবে যে, কংগ্রেস পূর্বাঞ্চলে তাদের মাটি কামড়ে পড়ে থাকার ক্ষমতা ও সংগঠন ক্ষমতা নিয়ে সম্পূর্ণরূপে সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
বিজেপির নীতিতে জনগণ অতিষ্ঠ, কংগ্রেসই ভরসা: জেলা সভাপতি
বৈঠক নিয়ে গোরখপুরের কংগ্রেস জেলা সভাপতি বলেছেন, 'বিজেপির জনবিরোধী নীতির কারণে জনগণ অতিষ্ঠ। মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব এবং কৃষকদের প্রতি অবহেলা রাজ্যের জনগণকে হতাশ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে কংগ্রেসই জনগণের জন্য আশার আলো।' তিনি আরও বলেন, কংগ্রেস ক্রমাগত সংগঠন বিস্তার ও জনসংযোগের মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌঁছানোর কাজ করছে। পূর্বাঞ্চল কংগ্রেস সংগঠনে দ্রুত পরিবর্তন এবং ব্লক স্তর পর্যন্ত শক্তিশালী প্রভাব তারই প্রমাণ।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, কংগ্রেসের এই পূর্বাঞ্চলীয় আলোচনা ২০২৭-এর বিধানসভা নির্বাচনের রণনীতির অংশ। দল বর্তমানে গ্রাম, ব্লক ও জেলা স্তরে সংগঠনকে শক্তিশালী করার মিশনে লেগে আছে। কংগ্রেসের চেষ্টা, আগামী লোকসভা নির্বাচনের পর উত্তর প্রদেশে নিজেদের অবস্থানকে ক্রমাগত শক্তিশালী করা।
22 घंटा पहलेবেটিং অ্যাপ মামলা: গুগল ও মেটাকে তলব করলো ইডি
![]()
প্রবর্তন অধিকর্তা (ইডি) বিশ্বের দুই বৃহৎ টেক কোম্পানি গুগল এবং মেটাকে নোটিশ জারি করেছে। ইডি বেটিং অ্যাপ সংক্রান্ত একটি বড় মামলার তদন্ত করছে এবং এই سلسلے উভয় কোম্পানির প্রতিনিধিদের ২১ জুলাই হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নয়া দিল্লি: প্রবর্তন অধিকর্তা (ইডি) বিশ্বের বৃহৎ টেক কোম্পানি Google এবং Meta-কে সমন জারি করেছে। ইডি-র তরফে এই পদক্ষেপ অনলাইন বেটিং অ্যাপ সংক্রান্ত মানি লন্ডারিং এবং হাওলার মতো মামলার তদন্তের অধীনে নেওয়া হয়েছে। উভয় কোম্পানির প্রতিনিধিদের ২০২৫ সালের ২১ জুলাই হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইডি এই উভয় কোম্পানির থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করবে যে, কীভাবে এই প্ল্যাটফর্মগুলির মাধ্যমে বেটিং অ্যাপগুলির প্রচার-প্রসার এবং অবৈধ লেনদেনকে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।
পুরো বিষয়টি কী?
ইডি-র তদন্তে প্রকাশ হয়েছে যে, একাধিক অনলাইন বেটিং অ্যাপ হাওলা এবং মানি লন্ডারিংয়ের মতো অবৈধ কাজে জড়িত। এই অ্যাপগুলিকে Google এবং Meta-র প্ল্যাটফর্মগুলির মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার করা হয়েছে, যার ফলে এদের প্রসার এবং জনপ্রিয়তা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অ্যাপগুলি প্রচার পাওয়ার ফলে লোকেদের জালে ফাঁসানো সহজ হয়ে গিয়েছে এবং অবৈধ উপার্জনকে বৈধ অর্থে পরিবর্তন করার রাস্তাও খুলে গিয়েছে।
Google-এর প্ল্যাটফর্মগুলির মধ্যে YouTube, Google Ads এবং Play Store রয়েছে, যেখানে এই ধরনের অ্যাপের বিজ্ঞাপন এবং প্রোমোশন হয়ে থাকে। অন্যদিকে Meta-র Facebook, Instagram এবং WhatsApp-এও এই অ্যাপগুলিকে প্রমোট করা হয়েছে, যার ফলে এই প্ল্যাটফর্মগুলির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
কীভাবে Google এবং Meta এই মামলার সঙ্গে জড়িত?
ইডি-র মতে, Google এবং Meta এই অনলাইন বেটিং অ্যাপগুলিকে বিজ্ঞাপনের জন্য প্ল্যাটফর্ম এবং স্লট সরবরাহ করেছে। এই কোম্পানিগুলির প্ল্যাটফর্মে এই অ্যাপগুলির প্রচার এদের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে সাহায্য করেছে। এদের মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে উপার্জনকারীদের সুবিধা হয়েছে। অ্যাপগুলির প্রসার গ্রাম এবং ছোট শহর পর্যন্ত পৌঁছেছে।
ইডি-র বক্তব্য, এই উভয় কোম্পানির বিজ্ঞাপন নীতির ভূমিকা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন, যাতে এটা স্পষ্ট হয় যে, কোম্পানিগুলি এই অ্যাপগুলিকে প্রমোট করার জন্য কোন নিয়মগুলি অনুসরণ করেছে এবং কোনগুলির লঙ্ঘন হয়েছে।
ইডি-র কড়া পদক্ষেপ, এই সেলেব্রিটিদের নাম সামনে এসেছে
ইডি-র আধিকারিকরা এটা জানার চেষ্টা করছেন যে, এই কোম্পানিগুলির মাধ্যমে এই অ্যাপগুলির প্রোমোশনে কী পরিমাণ গাফিলতি বা যোগসাজশ ছিল। এর আগে তেলেঙ্গানা এবং অন্ধ্র প্রদেশে এই কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত কমপক্ষে ৫টি এফআইআর দায়ের হয়েছে। তদন্তে জানা গিয়েছে যে, তেলেগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একাধিক বড় তারকা এবং টিভি অভিনেতাদের নাম এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত।
গত সপ্তাহে ইডি তেলেগু সিনেমার সঙ্গে জড়িত ২৯ জন সেলেব্রিটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এদের মধ্যে কয়েকজনের বড় নাম:
- বিজয় দেবারকোন্ডা
- রানা দগ্গুবাতি
- প্রকাশ রাজ
- নিধি আগরওয়াল
- প্রণীতা সুভাষ
- মাঞ্চু লক্ষ্মী
এই সেলিব্রিটিদের উপর অভিযোগ রয়েছে যে, তাঁরা এই অ্যাপগুলির প্রোমোশনে অংশ নিয়েছেন বা কোনো না কোনো রূপে আর্থিক লেনদেনে জড়িত ছিলেন।
এই অনলাইন বেটিং অ্যাপগুলির তদন্ত চলছে
- জাঙ্গল রামি
- এ২৩ (A23)
- জিৎউইন
- পরিমাচ (Parimatch)
- লোটাস৩৬৫ (Lotus365)
এই অ্যাপগুলির উপর অভিযোগ রয়েছে যে, এগুলো ভারতে অবৈধ উপায়ে চলছে এবং এদের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণে কালো টাকা লেনদেন করা হচ্ছে। ইডি এই তদন্তের মাধ্যমে এটা স্পষ্ট করতে চায় যে, শেষ পর্যন্ত কেন এবং কীভাবে Google এবং Meta-র মতো বিশ্বব্যাপী বৃহৎ কোম্পানিগুলির প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ভারতে অবৈধ কার্যকলাপকে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।
23 घंटा पहलेপ্রয়াত অভিনেতা ফিশ ভেঙ্কট: শোকের ছায়া তেলেগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে
![]()
সাউথ সিনেমা থেকে একটি দুঃখজনক খবর সামনে এসেছে। চলচ্চিত্রে তার চমৎকার কমিক টাইমিং এবং বিশেষ শৈলীর জন্য পরিচিত অভিনেতা ফিশ ভেঙ্কট ৫৩ বছর বয়সে মারা গেছেন।
Fish Venkat Death: সাউথ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে একটি অত্যন্ত দুঃখজনক খবর সামনে এসেছে। কমেডি রোলের জন্য বিখ্যাত অভিনেতা ফিশ ভেঙ্কট (Fish Venkat) শুক্রবার মারা গেছেন। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকা ৫৩ বছর বয়সী ফিশ ভেঙ্কট অবশেষে কিডনি বিকল হয়ে মারা যান। তাঁর মৃত্যুতে তেলেগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ফিশ ভেঙ্কট, যাঁর আসল নাম মঙ্গলমপল্লী ভেঙ্কটেশ, কিছু সময় ধরে গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিলেন। বিশেষভাবে তাঁর কিডনি সম্পূর্ণভাবে বিকল হয়ে গিয়েছিল এবং ডাক্তাররা তাঁকে কিডনি প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দিয়েছিলেন। তাঁর পরিবার একজন ডোনারের সন্ধানে ছিল, কিন্তু সময় মতো তাঁরা কিডনি ডোনার খুঁজে পাননি এবং এই কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কমিক টাইমিংয়ের জন্য বিখ্যাত ছিলেন ফিশ ভেঙ্কট
সাউথ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ফিশ ভেঙ্কট তাঁর চমৎকার কমিক টাইমিং এবং মজার চরিত্রের জন্য পরিচিত ছিলেন। তিনি পবন কল্যাণের সুপারহিট সিনেমা 'গাব্বার সিং'-এও স্মরণীয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। এছাড়াও তিনি 'হিপ্পি', 'আদি', 'সুপারস্টার কিডন্যাপ' এর মতো অনেক জনপ্রিয় সিনেমার অংশ ছিলেন। তেলেগু সিনেমায় তিনি একটি খুব পরিচিত মুখ ছিলেন, বিশেষ করে কমেডি দৃশ্যে তাঁর ডায়লগ ডেলিভারি ভক্তরা খুব পছন্দ করতেন।
ভক্তরা তাঁর সঙ্গে সাউথের বিখ্যাত ভিলেন রামি রেড্ডির তুলনা করতেন কারণ দুজনের চেহারায় অনেক মিল ছিল। যদিও ভেঙ্কট তাঁর কর্মজীবনে বেশিরভাগ হাস্যরসাত্মক ভূমিকায় নিজের পরিচয় তৈরি করেছিলেন।
কেন তাঁকে 'ফিশ ভেঙ্কট' বলা হত?
ফিশ ভেঙ্কটের আসল নাম তো ভেঙ্কটেশ ছিল, কিন্তু তেলেঙ্গানার স্থানীয় ভাষায় কথা বলার ধরণ এবং তাঁর বিশেষ ভঙ্গির কারণে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁকে 'ফিশ ভেঙ্কট' নামে ডাকা হতে থাকে। এই নামেই তিনি চলচ্চিত্রে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ফিশ ভেঙ্কটের পরিবার সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিল যে তাঁর চিকিৎসার জন্য ৫০ লক্ষ টাকার প্রয়োজন ছিল, যা বহন করা তাঁদের জন্য খুবই কঠিন ছিল।
তাঁর মেয়ে শ্রবন্তী দাবি করেছিলেন যে সাউথ সুপারস্টার প্রভাস তাঁদের আর্থিক সাহায্য করার কথা বলেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন যে প্রভাসের সহকারী ফোন করে এই আশ্বাস দিয়েছিলেন যে ট্রান্সপ্লান্টের পরে পুরো খরচ বহন করা হবে। যদিও, পরে এই কলটি ভুয়া প্রমাণিত হয়। ফিশ ভেঙ্কটের পরিবার সত্য প্রকাশ করে জানায় যে প্রভাসের পক্ষ থেকে এমন কোনও কল আসেনি।
কেউ প্রভাসের সহকারী সেজে প্রতারণা করার চেষ্টা করেছিল। পরিবার বলেছে, আমরা প্রতিটি কলের উত্তর দিচ্ছিলাম, এই আশায় যে কেউ সাহায্য করতে পারবে। কোনো অজ্ঞাত ব্যক্তি প্রভাস আন্না নাম নিয়ে ফোন করেছিল, কিন্তু পরে জানা যায় যে সেটা ভুয়া ছিল। আমরা এখনও পর্যন্ত কারো কাছ থেকে কোনো আর্থিক সাহায্য পাইনি।
কিডনি বিকল হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ
ফিশ ভেঙ্কট গত কয়েক মাস ধরে আইসিইউ-তে ভর্তি ছিলেন এবং তাঁর শারীরিক অবস্থা ক্রমাগত খারাপ হচ্ছিল। কিডনি বিকল হওয়ার কারণে তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক ছিল। অবশেষে শুক্রবার তিনি মারা যান। যদি সময় মতো ডোনার পাওয়া যেত, তাহলে হয়তো তাঁর জীবন বাঁচানো যেত, কিন্তু ভাগ্য তাঁর সহায় ছিল না।
ফিশ ভেঙ্কটের মৃত্যুতে তেলেগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি এবং তাঁর ভক্তদের মধ্যে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ইন্ডাস্ট্রির অনেক শিল্পী এবং ভক্ত সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে শোক প্রকাশ করেছেন। সবাই তাঁকে একজন অসাধারণ শিল্পী এবং একজন ভালো মনের মানুষ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
1 दिन पहलेলস অ্যাঞ্জেলেসে বোমা বিস্ফোরণে ৩ পুলিশকর্মীর মৃত্যু: প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে দুর্ঘটনা
![]()
আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেসে একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে, যেখানে বোমা বিস্ফোরণে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনাটি লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি শেরিফ বিভাগের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ঘটেছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস: আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেসে শুক্রবার এক বড় দুর্ঘটনায় তিনজন পুলিশকর্মীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এই দুর্ঘটনাটি লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি শেরিফ ডিপার্টমেন্টের ট্রেনিং সেন্টারে হয়েছে, যেখানে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। দুর্ঘটনাটি তখন ঘটে যখন বোমা নিষ্ক্রিয়করণ স্কোয়াডের কর্মকর্তারা বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। এই ঘটনাটি পুরো আমেরিকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং প্রশিক্ষণ প্রোটোকল নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।
ভারতীয় সময় অনুসারে শুক্রবার রাত প্রায় ৯টায় মার্কিন মিডিয়া এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। জানানো হয়েছে যে, বিস্ফোরণটি বিস্কাইলুজ ট্রেনিং সেন্টারে (Biscailuz Training Center) হয়েছে, যা লস অ্যাঞ্জেলেসের ইস্টার্ন অ্যাভিনিউ এলাকায় অবস্থিত। এই ট্রেনিং সেন্টারটি লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি শেরিফ ডিপার্টমেন্টের বিশেষ প্রয়োগকারী ব্যুরো এবং বোমা নিষ্ক্রিয়করণ স্কোয়াডের সদর দফতর।
কীভাবে ঘটল এই দুর্ঘটনা?
স্থানীয় মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, দুর্ঘটনাটি সকাল প্রায় ৭:৩০ নাগাদ ঘটেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে, বোমা নিষ্ক্রিয়করণ স্কোয়াডের কর্মকর্তারা কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময় বিস্ফোরণ ঘটে এবং ঘটনাস্থলেই তিন পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়।
এই তিনজন পুলিশকর্মী লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি শেরিফ ডিপার্টমেন্টের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ স্কোয়াডের (Bomb Squad) সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আপাতত এই ঘটনাকে দুর্ঘটনা (Accident) হিসেবে মনে করা হচ্ছে, যদিও তদন্তকারী সংস্থাগুলো প্রতিটি দিক থেকে এর তদন্ত করছে।
বিস্ফোরণ এতটাই শক্তিশালী ছিল যে...
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বিস্ফোরণের আওয়াজ কয়েক কিলোমিটার দূর পর্যন্ত শোনা গেছে। বিস্ফোরণের শক্তি এতটাই বেশি ছিল যে, ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২৫ গজ দূরে দাঁড়ানো একটি এসইউভি গাড়ির কাঁচ সম্পূর্ণভাবে ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। দুর্ঘটনার পরেই বোমা নিষ্ক্রিয়করণ স্কোয়াড পুরো এলাকা খালি করে দেয় এবং সম্ভাব্য অন্যান্য বিস্ফোরক সরিয়ে ফেলে। কর্মকর্তারা পুরো এলাকা ঘিরে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দিয়েছেন, যাতে প্রমাণের সঙ্গে কেউ छेड़छाड़ করতে না পারে এবং তদন্ত প্রভাবিত না হয়।
লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি শেরিফ ডিপার্টমেন্টের (LASD) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মিডিয়াকে জানিয়েছেন যে, এই দুর্ঘটনাকে আপাতত একটি প্রশিক্ষণ দুর্ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। কিন্তু, চূড়ান্ত রিপোর্ট ফরেনসিক তদন্ত এবং অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধানের পরেই সামনে আসবে। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে কোনো বহিরাগত ঝুঁকি ছিল না, এমনকি কোনো সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিতও পাওয়া যায়নি।
লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি শেরিফ ডিপার্টমেন্ট কী?
জানিয়ে রাখি, লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি শেরিফ ডিপার্টমেন্ট (LASD) আমেরিকার সবচেয়ে বড় শেরিফ ডিপার্টমেন্ট এবং নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট (NYPD) ও শিকাগো পুলিশ ডিপার্টমেন্টের পরে আমেরিকার তৃতীয় বৃহত্তম স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা সংস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়।
এটি ১৮৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এটি লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির প্রায় ১০ মিলিয়ন নাগরিকের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। LASD কেবল আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রেই নয়, সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান এবং প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
আপাতত LASD এই দুর্ঘটনার বিস্তারিত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। মার্কিন ফেডারেল এজেন্সি ATF (ব্যুরো অফ অ্যালকোহল, টোব্যাকো, ফায়ারআর্মস অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস)-কেও এই দুর্ঘটনার তদন্তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর আমেরিকায় পুলিশ ট্রেনিং এবং বোমা নিষ্ক্রিয়করণ প্রোটোকল নিয়ে আবারও আলোচনা শুরু হয়েছে।