5 घंटा पहलेযোধপুরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সর্বভারতীয় সমন্বয় সভা: জাতীয় ঐক্য ও ভবিষ্যৎ কৌশল নিয়ে আলোচনা
![]()
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) এর সর্বভারতীয় সমন্বয় সভা এবার রাজস্থানের যোধপুরে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এই সভা প্রতি বছর সংঘ দ্বারা আয়োজিত হয় এবং এতে সংঘের শীর্ষ কর্মকর্তারা, বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন এবং কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
জয়পুর: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সর্বভারতীয় সমন্বয় সভা এবার রাজস্থানের যোধপুরে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এই সভা তিন দিনব্যাপী হয় এবং প্রতি বছর আয়োজিত হয়। গত বছর এই সভা সেপ্টেম্বর ২০২৪-এ কেরালার পালক্কাড়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই সভায় সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত সহ সংঘের সকল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও, সংঘ এবং তার ৩২টি সহযোগী সংগঠনের ৩২০ জন কর্মকর্তা এতে অংশ নেবেন।
সভার তারিখ ও স্থান
সূত্রানুসারে, এই বছর সংঘের তিন দিনব্যাপী সর্বভারতীয় সমন্বয় সভা ৫, ৬ এবং ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে যোধপুরে আয়োজিত হবে। সভায় সংঘ প্রধান ড. মোহন ভাগবত, সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসবোলে, সকল সহ-সরকার্যবাহ এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। এই উপলক্ষে সংঘের ৩২টি সহযোগী সংগঠনের প্রায় ৩২০ জন কর্মকর্তা ও কর্মীও উপস্থিত থাকবেন। সংঘের জাতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর যোধপুরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত বছর এই সভা সেপ্টেম্বর ২০২৪-এ কেরালার পালক্কাড়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এবার রাজস্থানের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হতে চলা এই সভা সংঘের দৃষ্টিভঙ্গি ও কার্যক্ষেত্রের অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ কৌশল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার মঞ্চ হবে।
সভায় আলোচনার প্রধান বিষয়
যোধপুরে হতে চলা এই সভায় বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোচনা করা হবে, যার মধ্যে রয়েছে:
- জাতীয় ঐক্য ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি: সংঘ এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলির অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সমগ্র দেশে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমন্বয় শক্তিশালী করার উপায়।
- নিরাপত্তা ও সমষ্টিগত পর্যালোচনা: পাঞ্জাব, বাংলা এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে (North-East) বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ।
- সমষ্টিগত কর্ম পরিকল্পনা: সংঘ-অনুপ্রাণিত সংগঠনগুলির আঞ্চলিক অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে জাতীয় স্তরে সমন্বয় স্থাপনের পদক্ষেপ।
- পূর্ববর্তী ঘটনার মূল্যায়ন: সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন অংশে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলির বিশ্লেষণ এবং প্রয়োজনীয় কৌশল নিয়ে আলোচনা।
- বিজয়াদশমী ও শতবার্ষিকী বর্ষের অনুষ্ঠান: ২ অক্টোবর নাগপুরে সংঘের শতবার্ষিকী বর্ষের সূচনা এবং তার পর পুরো সপ্তাহ ধরে আয়োজিত অনুষ্ঠানগুলির রূপরেখা।
সভার উদ্দেশ্য হল সংঘের সকল সহযোগী সংগঠনের মধ্যে সমন্বয় এবং সমষ্টিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া শক্তিশালী করা।
কে কে অংশ নেবেন
যোধপুরে হতে চলা এই সভায় RSS-এর শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নেবেন, যার মধ্যে রয়েছেন:
- সরসঙ্ঘচালক: ড. মোহন ভাগবত
- সরকার্যবাহ: দত্তাত্রেয় হোসবোলে
- সহ-সরকার্যবাহ এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা
এছাড়াও, সংঘ-অনুপ্রাণিত ৩২টি সংগঠনের জাতীয় সভাপতি, সংগঠন মন্ত্রী এবং অন্যান্য প্রধান কর্মকর্তারাও অংশ নেবেন। এদের মধ্যে প্রধান সংগঠনগুলি হল:
- রাষ্ট্র সেবিকা সমিতি
- বনবাসী কল্যাণ আশ্রম
- বিশ্ব হিন্দু পরিষদ
- অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ
- ভারতীয় জনতা পার্টি
- ভারতীয় কিষাণ সংঘ
- বিদ্যা ভারতী
- ভারতীয় মজদুর সংঘ
এই সংগঠনগুলির প্রতিনিধিরা তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে করা কাজের রিপোর্ট পেশ করবেন এবং পরবর্তী কৌশল নিয়ে আলোচনা করবেন।
13 घंटा पहलेআফগানিস্তানে ফের ভূমিকম্প, মৃতের সংখ্যা ১৪০০ ছাড়াল
![]()
আফগানিস্তানে আবারও কেঁপে উঠল মাটি। বৃহস্পতিবার ৪.৮ মাত্রার ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে রবিবার ৬.০ মাত্রার ভূমিকম্প ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটিয়েছিল। এ পর্যন্ত ১,৪১১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৩,২৫০ জনের বেশি আহত হয়েছে।
আফগানিস্তানে ভূমিকম্প: আফগানিস্তান গত কয়েক দিন ধরে ক্রমাগত ভূমিকম্পের ঝাঁকি অনুভব করছে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (NCS) অনুসারে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০:৪০ মিনিটে ৪.৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এই ঝাঁকি ১৩৫ কিলোমিটার গভীরতায় রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে বুধবার রাতে ৪.৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল, যার গভীরতা ছিল মাত্র ১০ কিলোমিটার।
মঙ্গলবার দক্ষিণ-পূর্ব অংশে ৫.৫ মাত্রার একটি ঝাঁকি এসেছিল এবং রবিবার জালালাবাদে ৬.০ মাত্রার ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছিল। লাগাতার আফটারশক (aftershock) হওয়ার কারণে মানুষ এখন বাড়ির ভিতরে যেতেও ভয় পাচ্ছে।
রবিবারের সবচেয়ে বড় ঝাঁকি
রবিবার ৬.০ মাত্রার ভূমিকম্প সবচেয়ে বেশি ধ্বংসাত্মক প্রমাণিত হয়েছিল। বেশিরভাগ মানুষ তখন গভীর ঘুমে ছিল। হঠাৎ মাটি কেঁপে ওঠায় ভবনগুলো ধসে পড়ে এবং শত শত মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে। এ কারণেই মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকে।
মৃত্যু ও ধ্বংসযজ্ঞের হিসাব
এখন পর্যন্ত ১,৪১১ জন তাদের জীবন হারিয়েছে। আহতদের সংখ্যা ৩,২৫০ জনের বেশি। ১,৩৭২ টি গবাদি পশুও মারা গেছে। হাজার হাজার বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে, রাস্তা ভেঙে গেছে এবং সেতু ভেসে গেছে। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমিধসের কারণে উদ্ধারকারী দলগুলোকে সেখানে পৌঁছাতে অসুবিধা হচ্ছে।
কেন অগভীর ভূমিকম্প বিপজ্জনক
বিশেষজ্ঞরা বলেন যে অগভীর ভূমিকম্প গভীর ভূমিকম্পের চেয়ে বেশি বিপজ্জনক। এর কারণ হল পৃষ্ঠে পৌঁছানো ভূমিকম্পের তরঙ্গ অনেক দ্রুত হয়। মাটি বেশি কাঁপে এবং ভবনগুলির গুরুতর ক্ষতি হয়। আফগানিস্তানে অনেক ঝাঁকি ১০ কিলোমিটারের মতো অগভীর গভীরতায় এসেছিল, যা ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
উদ্ধার ও ত্রাণ কাজে নিয়োজিত সংস্থা
খামা প্রেসের প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP) আফগানিস্তানের কুনার এবং নঙ্গরহার প্রদেশে জরুরি সহায়তা পাঠিয়েছে। প্রাথমিক সহায়তার মধ্যে খাদ্য সামগ্রী এবং উচ্চ-শক্তিযুক্ত বিস্কুট অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আরও ত্রাণ সামগ্রী ও কর্মী পাঠানোর জন্য অতিরিক্ত ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
WFP-র আঞ্চলিক পরিচালক হ্যারাল্ড মানহার্ডট বলেছেন যে পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। তাঁর মতে, "বাড়িগুলি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, রাস্তাগুলি ভেঙে গেছে, সর্বত্র ভূমিধস হয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আমাদের দলগুলি ক্রমাগত উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছে, তবে প্রয়োজন এতটাই বেশি যে আরও সাহায্যের প্রয়োজন।"
লাগাতার আফটারশক নিয়ে সমস্যা
উদ্ধার ও ত্রাণ কাজ সহজ নয়। লাগাতার আফটারশক আসছে, যা আগে থেকে দুর্বল হয়ে যাওয়া ভবনগুলি আরও ভেঙে পড়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে। অনেক গ্রামে পৌঁছানোর জন্য রাস্তাগুলি ভেঙে গেছে। পার্বত্য অঞ্চল হওয়ায় হেলিকপ্টারের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।
ভারত পাঠিয়েছে জরুরি সহায়তা
ভারতও এই দুর্যোগের সময়ে আফগানিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে। বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন যে ভারত কাবুলের জন্য ২১ টন ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কম্বল, তাবু, স্বাস্থ্যবিধি কিট, বহনযোগ্য জল পরিশোধক, ঔষধ, স্লিপিং ব্যাগ, রান্নাঘরের সামগ্রী, জেনারেটর এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস।
ভারতের এই সাহায্য আফগানিস্তানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ শত শত মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং তাদের অবিলম্বে আশ্রয় ও খাদ্যের প্রয়োজন।
ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার দৃশ্য হৃদয়বিদারক। সর্বত্র ধসে পড়া ভবন, ভাঙা রাস্তা এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া বাড়ি দেখা যাচ্ছে। অনেক মানুষ এখনও তাদের পরিবারের সদস্যদের খুঁজছেন। শিশু এবং বয়স্কদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
17 घंटा पहलेপশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় তুমুল হাঙ্গামা, সংখ্যালঘু বিল নিয়ে বিতর্কে ৫ বিজেপি বিধায়ক সাসপেন্ড
![]()
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় সংখ্যালঘু বিল নিয়ে বিতর্কের জেরে বিজেপি ও টিএমসি বিধায়কদের মধ্যে তুমুল হাঙ্গামা। ৫ বিজেপি বিধায়ক সাসপেন্ড। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি-র উপর তীব্র আক্রমণ শানালেন। অধিবেশন কিছু সময়ের জন্য স্থগিত।
কলকাতা। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বুধবার এক চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়, যখন সংখ্যালঘুদের (minorities) সম্পর্কিত একটি বিল নিয়ে আলোচনা চলছিল। এই সময় বিজেপি ও টিএমসি বিধায়কদের (MLAs) মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ হয়, যা দ্রুত সংঘর্ষে রূপ নেয়। বিবাদ এতটাই বেড়ে যায় যে বিধানসভার স্পিকারকে মার্শাল (marshals) ডাকতে হয়। হাঙ্গামার কারণে ৫ বিজেপি বিধায়ককে বরখাস্ত (suspended) করা হয়, যার মধ্যে প্রধানত বিজেপি-র চিফ হুইপ শঙ্কর ঘোষও ছিলেন।
বিজেপি বিধায়কদের বরখাস্তের তালিকায় রয়েছেন বঙ্কিম ঘোষ, অশোক ডান্ডা, অগ্নিমিত্রা পাল, শঙ্কর ঘোষ এবং মিহির গোস্বামী। হাঙ্গামার মধ্যে শঙ্কর ঘোষের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়, যার পর তাকে অবিলম্বে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজেপি-র উপর তীব্র আক্রমণ
বিধানসভার হাঙ্গামার সময় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও টিএমসি সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি (BJP)-র উপর जमकर আক্রমণ করেন। তিনি বিজেপি-কে ‘ভোট চোরদের দল’ আখ্যা দেন এবং বলেন যে এই লোকেরা বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির উপর আক্রমণ করছে। মমতা অভিযোগ করেন যে বিজেপি দেশকে টুকরো টুকরো করছে এবং ধর্মের নাম নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে।
তিনি বলেন যে বাংলার মানুষ স্বাধীনতার লড়াইয়ে নিজেদের রক্ত দিয়েছিল, তখন বিজেপি-র জন্মও হয়নি। মমতা সতর্ক করেন যে এমন একদিন আসবে যখন বাংলার মানুষ বিজেপি-কে ভোট দেবে না এবং বিধানসভায় তাদের একটিও বিধায়ক থাকবে না।
বিজেপি-র পাল্টা জবাব
বিজেপি বিধায়করা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন। দলটি টিএমসি-র উপর সংখ্যালঘু তুষ্টিকরণের (minority appeasement) অভিযোগ তোলে এবং বলে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন। হাঙ্গামার কারণে বিধানসভার অধিবেশন কিছু সময়ের জন্য স্থগিত (suspend) করতে হয়।
বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী এই ঘটনার নিন্দা করেন এবং এটিকে শারীরিক আক্রমণ (physical attack) বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন যে বরখাস্ত হওয়া সত্ত্বেও তাদের বিধায়করা (MLAs) প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং নিজেদের বক্তব্য রেখেছেন। বিজেপি-র জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন এবং শঙ্কর ঘোষ ও বঙ্কিম ঘোষের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন।
হাঙ্গামার পেছনের কারণ
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, হাঙ্গামা শুরু হয়েছিল সেই বিল (bill) নিয়ে, যাতে সংখ্যালঘুদের অধিকার ও সুরক্ষা (protection) নিয়ে কথা বলা হচ্ছিল। টিএমসি বিধায়করা বিলের পক্ষে আলোচনা করেন, যেখানে বিজেপি এটিকে বিতর্কিত আখ্যা দিয়ে বিরোধিতা করে।
বিজেপি-র অভিযোগ যে বিলটি সংখ্যালঘুদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার নামে সংখ্যাগরিষ্ঠদের (majorities) অধিকারকে উপেক্ষা করছে। অন্যদিকে, টিএমসি-র বক্তব্য যে বিলটি কেবল সমাজের দুর্বল অংশের স্বার্থে এবং কোনও শ্রেণীর অধিকার হ্রাস করে না।
বিরোধিতা (protest) এবং অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের মধ্যে পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, যার ফলে বিধানসভায় শান্তি বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। এর ফলস্বরূপ স্পিকারকে মার্শাল ডাকতে এবং বিধায়কদের বরখাস্ত করতে হয়।
17 घंटा पहलेফ্রান্সে জেলেনস্কি: দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহায়তার আশ্বাস
![]()
ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে ফ্রান্স পৌঁছেছেন। তিনি দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ (long-term security guarantee) এবং ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে (defense forces) সমর্থন জোরদার করার বিষয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট (Emmanuel Macron)-এর সাথে আলোচনা করেছেন।
বিশ্ব সংবাদ: ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান সংঘাতের মাঝে ফ্রান্স পৌঁছেছেন। এই সফর আন্তর্জাতিক মঞ্চে ইউক্রেনের সমর্থন এবং দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। জেলেনস্কি এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট (Emmanuel Macron)-এর মধ্যে বৈঠকে নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা (defense) এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
জেলেনস্কি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করে বলেছেন যে তিনি ইউক্রেনের জন্য দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ (long-term security guarantee) করছেন এবং ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে (Ukrainian defense forces) ধারাবাহিকভাবে সমর্থন (support) দেবেন। তিনি এই প্রক্রিয়ায় অবদান ও সমর্থন দেওয়া সমস্ত দেশ এবং সংস্থাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
ফ্রান্স ও ইউরোপীয় দেশগুলির সমর্থন
ফ্রান্স ইতিমধ্যেই ইউক্রেনকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট আগেও ফ্রান্স সফর করেছেন এবং এবারও তাঁর লক্ষ্য নিরাপত্তা ও আর্থিক সহায়তা (support) জোরদার করা। (Emmanuel Macron) স্পষ্ট করেছেন যে ইউক্রেন ফ্রান্সের উপর আস্থা রাখতে পারে এবং ফ্রান্স যেকোনো আন্তর্জাতিক চুক্তিতে ইউক্রেনের পাশে থাকবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশ যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য ক্রমাগত চেষ্টা (efforts) করে চলেছে। ইউরোপীয় নেতারাও বলেছেন যে যদি যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার পর রাশিয়া পুনরায় আগ্রাসন (aggression) চালায়, তবে তাকে সামরিক ও কূটনৈতিক (diplomatic) উপায়ে প্রতিরোধ করতে হবে।
দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের পরিকল্পনা
জেলেনস্কি এবং (Macron)-এর বৈঠকে প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল ইউক্রেনের জন্য দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ (long-term security guarantee)। ফ্রান্স এবং ব্রিটেনের নেতারা বলেছেন যে কোনো নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আমেরিকার অংশগ্রহণ জরুরি হবে। এর উদ্দেশ্য হল যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরেও যাতে রাশিয়া কোনো ধরনের আগ্রাসন (aggression) দেখাতে না পারে। জেলেনস্কি বলেছেন যে ইউক্রেন তার স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব (sovereignty) রক্ষার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং কোনো চুক্তিতে রাশিয়ার প্ররোচনার শিকার হবে না।
জেলেনস্কির বড় মন্তব্য
সম্প্রতি জেলেনস্কি বলেছেন যে রাশিয়া যুদ্ধবিরতি (ceasefire) র জন্য বেশি আগ্রহী বলে মনে হচ্ছে, কিন্তু তা সত্ত্বেও ইউক্রেন এবং আমেরিকার (Moscow) দাবির উপর তাৎক্ষণিক আস্থা রাখা উচিত নয়। তিনি স্পষ্ট করেছেন যে ইউক্রেনের অগ্রাধিকার হল স্থায়ী ও নির্ভরযোগ্য শান্তি (reliable peace) অর্জন করা এবং রাশিয়াকেই সেই যুদ্ধ শেষ করতে হবে যা সে শুরু করেছে। জেলেনস্কি আরও বলেছেন যে ইউক্রেনকে দেওয়া প্রতিটি সহায়তা দীর্ঘমেয়াদী ও স্থায়ী হওয়া উচিত যাতে ভবিষ্যতে যেকোনো নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ (security challenges) মোকাবিলা করা যায়।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বর্তমান পরিস্থিতি
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সংঘাত কয়েক মাস ধরে চলছে। এই সময়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত (displaced) হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক স্তরে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা (tension) বেড়েছে। পশ্চিমা দেশগুলি ক্রমাগত ইউক্রেনকে সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা (military and economic support) দিয়েছে যাতে ইউক্রেন তার সীমান্ত (borders) এবং নাগরিকদের (civilians) সুরক্ষা করতে পারে। ফ্রান্স সফরের উদ্দেশ্য হল ইউরোপীয় দেশ এবং আমেরিকার সাথে একসাথে দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ (long-term security guarantee) জোরদার করা এবং ইউক্রেনের জন্য স্থায়ী শান্তি (peace) নিশ্চিত করা।
18 घंटा पहलेপ্রযুক্তি বিশ্বের মহারথীদের হোয়াইট হাউস ডিনারে আমন্ত্রণ, এলন মাস্কের অনুপস্থিতি আলোচিত
![]()
ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে টেক ডিনার আয়োজন করেছেন। এতে মাইক্রোসফট, অ্যাপল, গুগল এবং মেটার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। ডিনারের সময় এলন মাস্ককে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। DOGE এবং AI এডুকেশন টাস্ক ফোর্স নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: আমেরিকান রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প তার মেয়াদকালে প্রযুক্তি এবং ব্যবসায়িক জগতের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য হোয়াইট হাউসে একটি জমকালো ডিনারের আয়োজন করেছেন। এই ডিনার পার্টিটি আমেরিকান টেক ইন্ডাস্ট্রির বড় ব্যক্তিত্বদের আমন্ত্রণ জানানোর একটি সুযোগ। এই আয়োজনের উদ্দেশ্য হলো প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, সরকারি নীতি এবং ব্যবসায়িক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
তবে এই ডিনারে একটি বড় নাম অনুপস্থিত। একসময় ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বলে বিবেচিত এলন মাস্ককে এই অনুষ্ঠানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এর কারণ হিসেবে পূর্বের বিতর্ক এবং তাদের মধ্যে টানাপোড়েনকে দায়ী করা হচ্ছে।
ডিনারে কারা উপস্থিত থাকবেন
হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে বৃহস্পতিবার রাতে আয়োজিত এই ডিনার পার্টিতে বিশ্বের কিছু শীর্ষস্থানীয় টেক সিইও এবং প্রতিষ্ঠাতা উপস্থিত থাকবেন। এদের মধ্যে মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস, অ্যাপলের সিইও টিম কুক এবং মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ প্রধান।
এছাড়াও গুগল-এর প্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিন এবং সিইও সুন্দর পিচাই, মাইক্রোসফটের সত্য নাদেলা, ওপেনএআই-এর স্যাম অল্টম্যান এবং তার প্রতিষ্ঠাতা গ্রেগ ব্রকম্যান, ওরাকলের সিইও সাফরা কাটজ, ব্লু অরিজিন-এর ডেভিড লিম্প, মাইক্রনের সঞ্জয় মেহরোত্রা, টিবকো সফটওয়্যারের বিবেক, স্কেল এআই-এর প্রতিষ্ঠাতা আলেকজান্ডার ওয়াং এবং শিফট৪ পেমেন্টস-এর জ্যারেড আইজ্যাকম্যান উপস্থিত থাকবেন।
এলন মাস্ক কেন আমন্ত্রণ পাননি
এলন মাস্ক এবং ট্রাম্পের মধ্যে বিরোধ এই বছরের শুরুতে সামনে আসে। ট্রাম্পের 'One Big, Beautiful Bill' নিয়ে তাদের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দেয়। মাস্ক তার মতামত প্রকাশ করে বলেন যে এই বিলটি হয় বড় হতে পারে, অথবা এটি দারুণ হতে পারে, কিন্তু একসাথে দুটোই সম্ভব নয়।
এরপর মাস্ক DOGE (Department of Government Efficiency) থেকে তার প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দেন। ট্রাম্প মার্কিন সরকারি আমলাতন্ত্রকে উন্নত করার জন্য DOGE গঠন করেছিলেন এবং এটিকে 'The Manhattan Project' হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে DOGE-এর মাধ্যমে ২০২৬ সালের ৪ঠা জুলাই পর্যন্ত ফেডারেল স্তরে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে।
মাস্কের পদত্যাগের পর ট্রাম্প এবং মাস্কের পথ আলাদা হয়ে যায়, যার ফলে তাকে হোয়াইট হাউস ডিনারে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
DOGE বিভাগ এবং ট্রাম্পের পরিকল্পনা
DOGE বা Department of Government Efficiency, ট্রাম্প কর্তৃক গঠিত একটি বিশেষ বিভাগ ছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল মার্কিন সরকারি কার্যক্রমে উন্নতি এবং দক্ষতা আনা। ট্রাম্প এটিকে 'The Manhattan Project' বলে অভিহিত করেছিলেন এবং এর লক্ষ্য ছিল ২০২৬ সালের মধ্যে ফেডারেল আমলাতন্ত্রের সংস্কার করা।
এলন মাস্ককে এই বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদে ছিলেন বিবেক রামস্বামী। তবে পরে রামস্বামীও এই পদ থেকে ইস্তফা দেন। DOGE প্রতিষ্ঠার সময় আশা করা হয়েছিল যে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সরকারি ব্যবস্থা আরও কার্যকর হবে।
ডিনারের পরের আলোচ্যসূচি
ডিনারের পর ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের সভাপতিত্বে হোয়াইট হাউসে নিউ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এডুকেশন টাস্ক ফোর্সের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এই বৈঠকে প্রযুক্তি শিক্ষা, এআই প্রশিক্ষণ এবং সরকারি নীতির সংস্কারের উপায় নিয়ে আলোচনা করা হবে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে যে এই বৈঠকের উদ্দেশ্য হলো আমেরিকার তরুণ ও শিক্ষার্থীদের এআই এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে আরও সক্ষম করে তোলা। ডিনারের সময় শিল্প বিশেষজ্ঞরা এবং সরকারি কর্মকর্তারা পারস্পরিক সহযোগিতা এবং উদ্ভাবনের উপর তাদের মতামত ভাগ করে নেবেন।
20 घंटा पहलेভারতের কিংবদন্তি লেগ-স্পিনার অমিত মিশ্র সকল ফরম্যাট থেকে অবসর ঘোষণা করলেন
![]()
ভারতীয় ক্রিকেট দলের অভিজ্ঞ লেগ-স্পিনার অমিত মিশ্র ক্রিকেটর সমস্ত ফর্ম্যাট থেকে অবসরের ঘোষণা করেছেন। ৪২ বছর বয়সী অমিত মিশ্র তাঁর দীর্ঘ ২৫ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারকে বিদায় জানিয়েছেন।
Amit Mishra Retirement: আর অশ্বিনের অবসরের পর টিম ইন্ডিয়ার আরও এক স্পিনার ক্রিকেটর তিন ফর্ম্যাট থেকে অবসরের ঘোষণা করেছেন। এই খেলোয়াড় আর কেউ নন, বরং লেগ-স্পিনার অমিত মিশ্র, যিনি দীর্ঘ সময় ধরে টিম ইন্ডিয়া থেকে দূরে ছিলেন। এবার তিনি তাঁর ২৫ বছরের দীর্ঘ ক্রিকেট ক্যারিয়ারকে পূর্ণচ্ছেদ দিলেন। অমিত মিশ্র আইপিএলে তিনবার হ্যাটট্রিক নেওয়ার অবিশ্বাস্য কীর্তি গড়েছেন এবং এই রেকর্ড তাঁকে এই ফর্ম্যাটের একমাত্র বোলার হিসেবে পরিচিতি এনে দিয়েছে।
এছাড়াও, তিনি ভারতের হয়ে দারুণ বোলিং করেছেন এবং অনেক স্মরণীয় ম্যাচ খেলেছেন। তবে, এখন তিনি বিশ্বের অন্যান্য টি-টোয়েন্টি লিগে খেলতে পারবেন এবং তাঁর অভিজ্ঞতা প্রদর্শন চালিয়ে যেতে পারবেন।
অমিত মিশ্রর অবসর
অমিত মিশ্র অবসরের পর বলেছেন, ক্রিকেটে এই ২৫ বছর আমার জীবনকে অত্যন্ত বিশেষ করে তুলেছে। আমি বিসিসিআই, প্রশাসন, হরিয়ানা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন, সাপোর্ট স্টাফ, আমার সতীর্থ খেলোয়াড় এবং পরিবারকে মন থেকে ধন্যবাদ জানাই। এছাড়াও, ভক্তদের অটুট ভালোবাসা এবং সমর্থন আমার যাত্রাকে আরও স্মরণীয় করে তুলেছে। ক্রিকেট আমাকে অগণিত স্মৃতি এবং অমূল্য শিক্ষা দিয়েছে।
মাঠে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত একটি স্মৃতি হয়ে গেছে, যা আমি সারাজীবন সযত্নে লালন করব। মিশ্রের জন্য এই অবসর কেবল একটি সিদ্ধান্ত নয়, বরং ক্রিকেট বিশ্বে ২৫ বছরের কঠোর পরিশ্রম এবং অবদানের প্রতি সম্মান।
অমিত মিশ্রর ক্রিকেট ক্যারিয়ার
অমিত মিশ্র ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। তাঁর ক্যারিয়ারের প্রধান দিকগুলো নিম্নরূপ:
- টেস্ট ক্রিকেট: ২২ ম্যাচে ৬৪৮ রান এবং ৭৬ উইকেট
- ওডিআই ক্রিকেট: ৩৬ ম্যাচে ৪৩ রান এবং ৬৪ উইকেট
- টি-টোয়েন্টি ইন্টারন্যাশনাল: ১০ ম্যাচে ১৬ উইকেট
- আইপিএল: ১৬২ ম্যাচে ৩৮১ রান এবং ১৭৪ উইকেট
আইপিএলে অমিত মিশ্রর অবদানও অত্যন্ত বিশেষ ছিল। তিনি তিনবার হ্যাটট্রিক নেওয়ার কীর্তি গড়েছেন, যা এই ফর্ম্যাটের অন্য কোনো বোলার করেননি। তাঁর এই কৃতিত্ব তাঁকে আইপিএল ইতিহাসের অন্যতম স্মরণীয় লেগ-স্পিনারদের মধ্যে স্থান দিয়েছে।
শচীন তেন্ডুলকরের চেয়েও দীর্ঘ ক্যারিয়ার
অমিত মিশ্র ভারতীয় দলের হয়ে ২২টি টেস্ট, ৩৬টি ওডিআই এবং ১০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। তিনি ২০১৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ ওডিআই খেলেন এবং একই বছর শেষ টেস্ট ম্যাচও খেলেন। টি-টোয়েন্টিতে তাঁর শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ ছিল ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। মিশ্রর অভিজ্ঞ বোলিং অনেক সময় টিম ইন্ডিয়াকে কঠিন পরিস্থিতি থেকে বের করে এনেছিল। তাঁর লেগ-স্পিন প্রতি বড় ম্যাচে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করত।
অমিত মিশ্রর ক্যারিয়ার শচীন তেন্ডুলকরের চেয়েও দীর্ঘ ছিল। ক্রিকেটের ঈশ্বর বলে পরিচিত শচীন ১৬ নভেম্বর ২০১৩ সালে তাঁর ২৪ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ার শেষ করেছিলেন। অন্যদিকে, অমিত মিশ্র ২৫ বছর ক্রিকেট খেলে তাঁর ক্যারিয়ারকে ১ বছর দীর্ঘ করেছেন। এটি প্রমাণ করে যে তিনি দীর্ঘ সময় ধরে ভারতীয় ক্রিকেটকে তাঁর বোলিং দিয়ে শক্তিশালী করেছেন।
আইপিএলে অমিত মিশ্র একজন কিংবদন্তী স্পিনার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাঁর নামে তিনবার হ্যাটট্রিক নেওয়ার অনবদ্য রেকর্ড রয়েছে। এছাড়াও, তিনি ১৬২ ম্যাচে মোট ১৭৪ উইকেট নিয়েছেন। তাঁর বোলিং আইপিএলে অনেক দলকে জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
20 घंटा पहलेহিমাচল প্রদেশে মুষলধারে বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন, ১৪০০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি
![]()
হিমাচল প্রদেশে ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধসে জনজীবন বিপর্যস্ত। ১২৮৬টি রাস্তা এবং ছয়টি জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে। নয়টি জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিদ্যুৎ-জল সরবরাহ বিচ্ছিন্ন, পং বাঁধ থেকে জল ছাড়া হবে।
সিমলা: হিমাচল প্রদেশে অবিরাম মুষলধারে বৃষ্টি মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে। রাস্তা থেকে শুরু করে খেত পর্যন্ত সর্বত্রই ধ্বংসের চিত্র। আবহাওয়া দপ্তর নয়টি জেলার জন্য কমলা সতর্কতা জারি করেছে। এই পর্যন্ত বর্ষাকালে ৩৪3 জনের প্রাণহানি হয়েছে।
নয়টি জেলায় কমলা সতর্কতা জারি
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে যে কাংড়া, উনা এবং হামিরপুর ছাড়া বাকি নয়টি জেলায় ভারী বৃষ্টির জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শুক্রবারও অনেক এলাকায় বৃষ্টি চলতে পারে, তবে শনিবার থেকে কিছুটা স্বস্তি মিলতে পারে।
রাস্তা বন্ধ, জনজীবন ব্যাহত
প্রচণ্ড বৃষ্টি ও ভূমিধসের কারণে রাজ্যে পরিবহন ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ব্যাহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ১২৮৬টি রাস্তা বন্ধ ছিল। এর মধ্যে ছয়টি জাতীয় সড়কও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে—
- এনএইচ-০৩
- এনএইচ-০৫
- এনএইচ-২১
- এনএইচ-২০৫
- এনএইচ-৫০৫
- এনএইচ-৩০৫
সবচেয়ে বেশি রাস্তা मंडी (২৯৩), কুল্লু (২২৫) এবং সিমলা (২১৬) জেলায় বন্ধ রয়েছে। এর ফলে স্কুল-কলেজ সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিও বন্ধ রাখতে হয়েছে।
ফসল ও উদ্যানপালনের ক্ষতি
অবিরাম বৃষ্টি ও জল জমে থাকার কারণে কৃষি ও উদ্যানপালন উভয় ক্ষেত্রেই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খেতের ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং আপেল বাজারে সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। পরিবহনের অভাবে ব্যবসায়ীরা কেনাকাটা থেকে পিছিয়ে আসছে।
পং বাঁধ থেকে আরও জল ছাড়া হবে
ভাকরা বিয়াস ম্যানেজমেন্ট বোর্ড (BBMB) পং বাঁধ থেকে জল নিঃসরণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন বাঁধ থেকে ১ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হবে, যেখানে আগে ৮০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছিল। কাংড়া জেলার ফতেপুর, इंदৌরা এবং দেওরা মহকুমা প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছে। নিচু এলাকায় বসবাসকারী মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।
বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহে প্রভাব
ভারী বৃষ্টির প্রভাব বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহের উপরও পড়েছে। রাজ্য জুড়ে ২৮০৯টি ট্রান্সফর্মার বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে কুল্লু (১০৯৬), সিমলা (৪০৫), मंडी (৪০৪) এবং সোলান (৩০৪) জেলাগুলি সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত।
পানীয় জল প্রকল্পগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজ্যের ১০৮১টি প্রকল্প ব্যাহত হয়েছে, যার মধ্যে সিমলা (৩৪৯), কাংড়া (২১২), সোলান (৯১), मंडी (৬৮) এবং কুল্লু (৬৩) জেলাগুলি সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত।
বর্ষায় কেড়ে নিল ৩৪3 প্রাণ
২০ জুন থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তথ্য উদ্বেগজনক। বর্ষাকালে এ পর্যন্ত ৩৪3 জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৩৯৮ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনার শিকারও রয়েছেন। এছাড়া ১৩৭২টি গবাদি পশু মারা গেছে।
রাজ্যের হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতি
দুর্যোগ ও দুর্ঘটনার কারণে হিমাচল প্রদেশ এ পর্যন্ত ৩৬৯০.৪২ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
কৃষি ক্ষেত্রে ১১.৪৫ কোটি
উদ্যানপালন ক্ষেত্রে ২২.৫২ কোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জেলা ভিত্তিক ক্ষতির পরিমাণ—
- মন্ডি: ১২৩১.৬৪ কোটি
- কাংড়া: ১১২৩.৮৯ কোটি
- কুল্লু: ৭৬৩.৫৭ কোটি
- উনা: ৭২২.১২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
গত ২৪ ঘন্টায় কোথায় সর্বাধিক বৃষ্টি
গত ২৪ ঘন্টায়ও অনেক এলাকায় ভারী বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
- ধর্মপুর: ৭৬.৬ মিমি
- করসোগ: ৬৯ মিমি
- কাসৌলি: ৬৭ মিমি
- কান্ডাঘাট: ৫৯ মিমি
- শ্রী নয়নাদেবী জি: ৫৮.৬ মিমি
- ভুবান্তর: ৫৫.৬ মিমি
- বিলাসপুর: ৫০.৮ মিমি
- সিমলা: ৪৭ মিমি
- সোলান: ৪৪.৪ মিমি
23 घंटा पहलेআমেরিকা-ভারত সম্পর্কে নতুন মোড়? ট্রাম্পের কড়া মন্তব্যে বাড়ল জল্পনা
![]()
রাশিয়া-সম্পর্কিত পদক্ষেপের প্রশ্নে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তিনি ভারতের ওপর আরোপিত মাধ্যমিক নিষেধাজ্ঞার (secondary sanctions) উল্লেখ করে ওই সাংবাদিককে নতুন চাকরি খুঁজে নেওয়ার পরামর্শ দেন।
আমেরিকা: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর স্পষ্টবাদী মন্তব্য এবং প্রেস কনফারেন্সে রাগত প্রতিক্রিয়ার জন্য প্রায়শই শিরোনামে থাকেন। সম্প্রতি পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ডুডার সঙ্গে বৈঠকের সময় তাঁর এই ধরনের একটি মন্তব্য সামনে আসে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নেওয়ার প্রশ্নে ট্রাম্প এতটাই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন যে তিনি ওই সাংবাদিককে নতুন চাকরি খুঁজে নেওয়ার পরামর্শ দেন। এই সময় তিনি ভারতের ওপর আরোপিত মাধ্যমিক নিষেধাজ্ঞা (Secondary Sanctions) এবং শুল্কের (tariff) কথাও উল্লেখ করেন এবং দাবি করেন যে এর ফলে রাশিয়ার "শত শত কোটি ডলার" ক্ষতি হয়েছে।
ট্রাম্পকে বিদ্ধ করার মতো প্রশ্ন
বৈঠকের সময় একজন পোলিশ সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, কেন আমেরিকা রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এই প্রশ্নটি ট্রাম্পকে এতটাই বিদ্ধ করে যে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে পাল্টা জবাব দেন। রাগান্বিত ট্রাম্প বলেন যে ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা বৃহত্তম আমদানিকারক দেশ এবং তাঁর প্রশাসন এর ওপর বিশাল শুল্ক আরোপ করেছে।
ট্রাম্প ব্যঙ্গাত্মকভাবে বলেন – "আপনি কীভাবে জানলেন যে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি? ভারতের মতো বড় ক্রেতার ওপর মাধ্যমিক শুল্ক আরোপ করা কি কোনো পদক্ষেপ নয়?"
ভারতের ওপর ৫০% শুল্কের দাবি
ট্রাম্প স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন যে ভারতের ওপর ২৫% পারস্পরিক শুল্ক (Reciprocal Tariff) ইতিমধ্যেই কার্যকর রয়েছে। এর সঙ্গে, রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখার কারণে অতিরিক্ত ২৫% শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এভাবে ভারতের ওপর মোট ৫০% শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন যে এই শুল্ক ২৭শে আগস্ট থেকে কার্যকর হয়েছে এবং এর সরাসরি প্রভাব রাশিয়ার ওপর পড়েছে। তাঁর মতে, এই পদক্ষেপের ফলে রাশিয়া ইতিমধ্যেই "শত শত কোটি ডলার" ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
'পর্যায় দুই এবং পর্যায় তিন এখনও বাকি'
ট্রাম্প তাঁর মন্তব্যে আরও স্পষ্ট করে দেন যে রাশিয়ার ওপর চাপ তৈরির প্রক্রিয়া এখানেই শেষ হবে না। তিনি বলেন – "আমি এখনও দ্বিতীয় বা তৃতীয় পর্যায় সম্পন্ন করিনি।"
ধারণা করা হচ্ছে যে আমেরিকা ভবিষ্যতে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছে। "পর্যায় দুই" এবং "পর্যায় তিন" রাশিয়ার বিরুদ্ধে কীভাবে কার্যকর হবে, তা ট্রাম্প প্রকাশ করেননি, তবে তিনি নিশ্চিত করেছেন যে ওয়াশিংটন পিছু হটবে না।
সাংবাদিকের ওপর আক্রমণ এবং 'নতুন চাকরি' সংক্রান্ত মন্তব্য
ট্রাম্পের রাগ কেবল নীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। তিনি সাংবাদিকের প্রশ্নকে "অর্থহীন" বলে অভিহিত করেন এবং বলেন – "যখন আপনি বলেন যে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, তখন আমার মনে হয় আপনার একটি নতুন চাকরি খুঁজে নেওয়া উচিত।"
এই মন্তব্যটি সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। ট্রাম্পের সমালোচকরা এটিকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ বলে অভিহিত করেছেন, অন্যদিকে তাঁর সমর্থকরা এটিকে "এক শক্তিশালী নেতার জবাব" বলে আখ্যা দিয়েছেন।
ভারত কেন এই বিতর্কের কেন্দ্রে
ভারত দীর্ঘকাল ধরে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি করে আসছে। পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ভারত তাদের জ্বালানি চাহিদা মাথায় রেখে রাশিয়া থেকে কেনা অব্যাহত রেখেছে। এতে আমেরিকা চিন্তিত যে রাশিয়া অর্থনৈতিকভাবে বড় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে না।
ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, যদি ভারত ও চীনের মতো বড় আমদানিকারকরা রাশিয়া থেকে কেনা বন্ধ করে দেয়, তাহলে মস্কোর ওপর সরাসরি চাপ পড়বে। কিন্তু ভারত তাদের জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয় এবং তেল আমদানি অব্যাহত রাখে।
মাধ্যমিক নিষেধাজ্ঞার প্রভাব
মাধ্যমিক নিষেধাজ্ঞার (Secondary Sanctions) অর্থ হল, যদি কোনো তৃতীয় দেশ রাশিয়ার মতো নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত দেশ থেকে ব্যবসা করে, তাহলে তাদের ওপরও মার্কিন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রযোজ্য হবে। ভারতের ওপর আরোপিত মাধ্যমিক নিষেধাজ্ঞার প্রভাব হলো যে কিছু মার্কিন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ভারতীয় কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কাজ করতে এড়িয়ে চলছে। এছাড়াও, মার্কিন বাজারে ভারতীয় রপ্তানির ওপরও প্রভাব পড়তে পারে।
রাশিয়ার ওপর কতটা প্রভাব
ট্রাম্পের দাবি, তাঁর নীতির ফলে রাশিয়া ইতিমধ্যেই "শত শত কোটি ডলার" ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। তবে, আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন যে রাশিয়া এশিয়ার দেশগুলো, বিশেষ করে ভারত ও চীনের মাধ্যমে তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিয়েছে। অপরিশোধিত তেলের সরবরাহ ছাড়ে বিক্রি করে রাশিয়া কেবল তাদের পুরনো গ্রাহকদেরই ধরে রাখেনি, বরং নতুন বাজারও খুলেছে। এই পরিস্থিতিতে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে রাশিয়ার ওপর কতটা প্রকৃত প্রভাব পড়েছে তা বলা কঠিন।
1 दिन पहलेধর্ষণের অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার হায়দার আলি, ফিরিয়ে দেওয়া হল পাসপোর্ট
![]()
পাকিস্তানি ক্রিকেটার হায়দার আলিকে (Haider Ali) ইংল্যান্ডের আদালত থেকে বড় স্বস্তি মিলেছে। তাঁর বিরুদ্ধে এক ব্রিটিশ-পাকিস্তানি মহিলা ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন, যার জেরে তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল।
স্পোর্টস নিউজ: পাকিস্তানি ক্রিকেটার হায়দার আলি সংক্রান্ত একটি বড় খবর সামনে এসেছে। কয়েকদিন আগে তাঁকে লন্ডনে গ্রেফতার করা হয়েছিল, যখন তিনি পাকিস্তান শাহীন দলের হয়ে মেলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাবের বিরুদ্ধে ক্যান্টারবেরি মাঠে ম্যাচ খেলতে এসেছিলেন। ম্যানচেস্টার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছিল, কারণ তাঁর বিরুদ্ধে এক ব্রিটিশ-পাকিস্তানি মহিলা ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন।
এই ঘটনার পর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (PCB) তাঁকে অবিলম্বে নিলম্বিত করেছিল। তবে এখন হায়দার আলি আদালত থেকে বড় স্বস্তি পেয়েছেন। আদালত তাঁর পক্ষে রায় দিয়ে তাঁকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছে।
লন্ডনে হায়দার আলির গ্রেফতার
হায়দার আলিকে ইংল্যান্ডে সেই সময় গ্রেফতার করা হয়েছিল যখন তিনি পাকিস্তান শাহীন দলের হয়ে ম্যাচ খেলছিলেন। ক্যান্টারবেরি মাঠে মেলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাবের বিরুদ্ধে খেলার সময় ম্যানচেস্টার পুলিশ মাঠ থেকেই তাঁকে হেফাজতে নেয়। গ্রেফতারের পর থেকেই তিনি আইনি প্রক্রিয়ায় আটকে ছিলেন এবং আদালত তাঁকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছিল।
এই অভিযোগটি এক ব্রিটিশ-পাকিস্তানি মহিলা দায়ের করেছিলেন। তিনি পুলিশকে জানিয়েছিলেন যে ২০২৩ সালের ২৩শে জুলাই ম্যানচেস্টারের একটি হোটেলে তাঁদের প্রথম দেখা হয়েছিল। এরপর তাঁরা ২০২১ সালের ১লা আগস্ট অ্যাশফোর্ডে আবার দেখা করেন। মহিলা আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে পুলিশে একটি রিপোর্ট দায়ের করেন এবং হায়দার আলির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেয় এবং খেলোয়াড়কে গ্রেফতার করে। তবে, আদালত এখন দেখেছে যে মহিলার অভিযোগ প্রমাণ করার জন্য পর্যাপ্ত প্রমাণ নেই।
আদালত নির্দোষ ঘোষণা করল, ফিরিয়ে দিল পাসপোর্ট
লন্ডন আদালত তার রায়ে স্পষ্টভাবে বলেছে যে উপলব্ধ প্রমাণের ভিত্তিতে ধর্ষণের মামলা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আদালত মামলাটি খারিজ করে দিয়ে হায়দার আলিকে মুক্তি দিয়েছে। এছাড়াও, তাঁর পাসপোর্টও ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে, যার অর্থ হল তিনি এখন পাকিস্তানে ফিরে যেতে পারেন বা যুক্তরাজ্য সহ যেকোনো জায়গায় ভ্রমণ করতে পারেন।
হায়দার আলির পক্ষে আইনি লড়াই করা ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার মইন খান যুক্তি দিয়েছিলেন যে অভিযোগগুলি ভিত্তিহীন এবং কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেশ করা হয়নি। আদালত তাঁর যুক্তি গ্রহণ করেছে।
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড হায়দার আলিকে নিলম্বিত করেছিল। বোর্ড স্পষ্ট করেছিল যে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং আদালতের রায় না আসা পর্যন্ত খেলোয়াড় কোনও ক্রিকেটীয় কার্যকলাপের অংশ হতে পারবে না। এখন আদালতের রায়ের পর আশা করা হচ্ছে যে পিসিবি শীঘ্রই তাঁর ওপর থেকে নিলম্বন প্রত্যাহার করতে পারে।
হায়দার আলির ক্রিকেট ক্যারিয়ার
২৪ বছর বয়সী হায়দার আলি পাকিস্তানের হয়ে এ পর্যন্ত ৩৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন।
- টি২০আই: ৩৫ ম্যাচ, ৫০৫ রান
- ওডিআই: ২ ম্যাচ
হায়দারকে উদীয়মান ব্যাটসম্যানদের মধ্যে গণ্য করা হয়। তিনি পাকিস্তান সুপার লিগেও (PSL) দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিয়ে নিজের পরিচিতি তৈরি করেছিলেন। ধর্ষণের মামলার কারণে তাঁর ক্যারিয়ার মাঝপথে থেমে গিয়েছিল, তবে এখন আদালতের রায়ের পর তাঁর আবারও মাঠে ফেরার সম্ভাবনা বেড়েছে।
1 दिन पहलेপ্রধানমন্ত্রী মোদী ও তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে মন্তব্যের প্রতিবাদে বিহারে এনডিএ-র ডাকা বনধ
![]()
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে এনডিএ বিহার বন্ধের ডাক দেয়। সকাল ৭টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এই বন্ধের আহ্বান জানানো হয়। একাধিক জেলায় পথ অবরোধ ও বাজার বন্ধ ছিল।
বিহার বন্ধ: বিহারের রাজনীতিতে বৃহস্পতিবারের দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে এনডিএ-র মহিলা মোর্চা বিহার বন্ধের ডাক দেয়। এই বন্ধের নেতৃত্ব দেন বিজেপি, জেডিইউ, এলজেপি (আর), হাম এবং আরএলওএমও-র মহিলা নেত্রীরা। তাঁদের মতে, মা সর্বদাই ঈশ্বরের সমতুল্য এবং তাঁদের সম্মানে আঘাত কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
বন্ধের সময়সীমা ও ব্যবস্থাপনা
এনডিএ স্পষ্ট করে জানায় যে বিহার বন্ধ সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত পালিত হবে। এই সময় জরুরি পরিষেবা ও রেল পরিষেবা বন্ধের আওতার বাইরে রাখা হয়, যাতে সাধারণ মানুষের কোনো অসুবিধা না হয়।
মহিলা নেত্রীদের ভূমিকা
বিহারের রাজনীতিতে সম্ভবত এটাই প্রথম দেখা গেল যে এনডিএ-র মহিলা নেত্রীরা রাস্তায় নেমে এই বন্ধকে সফল করার দায়িত্ব নিলেন।
এই বন্ধের নেতৃত্ব দেন বিজেপি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ধর্মশীলা গুপ্তা, জেডিইউ মহিলা মোর্চার ভারতী মেহতা, এলজেপি (আর)-এর শোভা সিনহা, আরএলওএমও-র স্মৃতি কুশওয়াহা এবং হাম মহিলা प्रकोष्ठের স্মিতা শর্মা।মহিলাদের অভিযোগ
এনডিএ-র মহিলা নেতাদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী মোদী ও তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে করা মন্তব্য গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের অপমান। তাঁরা বলেন, মা ঈশ্বরের প্রতিমূর্তি। একজন মা ৯ মাস গর্ভে ধারণ করেন এবং লালন-পালন করেন। এমন পরিস্থিতিতে কোনো রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে মায়ের জন্য অপমানজনক শব্দ ব্যবহার করা নিন্দনীয়।
দারভাঙ্গা থেকে শুরু হয়ে রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ক্ষোভ
দারভাঙ্গার এই ঘটনা গোটা রাজ্যে ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে দেয়। এনডিএ-র মতে, এই ঘটনা কেবল বিহার নয়, গোটা দেশের জন্য লজ্জাজনক। মহাজোটের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত ক্ষমা না চাওয়ায় এনডিএ-র ক্ষোভ আরও বৃদ্ধি পায়।
বেগুসরাইয়ে এনএইচ ৩১ অবরোধ
বেগুসরাইয়ে বন্ধের প্রভাব স্পষ্টভাবে দেখা যায়। বলিয়া স্টেশন চৌকে এনএইচ ৩১ অবরোধ করেন এনডিএ কর্মীরা। ঘটনাস্থলে সিও রবি কুমার তাঁর দল নিয়ে উপস্থিত ছিলেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছিলেন।
জামুইয়ে পথ অবরোধ
জামুইয়েও কর্মীরা কাছেরি চৌকে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এই সময় কর্মীরা 'মোদীজির মায়ের অপমান সহ্য করব না' এই ধরনের স্লোগান দেন।
ক্রীড়া মন্ত্রী ও বিধায়করা রাস্তায় নামেন
বন্ধকে সফল করতে বহু প্রথম সারির নেতা রাস্তায় নামেন। বেগুসরাইয়ে ক্রীড়া মন্ত্রী সুরেন্দ্র মেহতা, জেডিইউ বিধায়ক রাজকুমার সিং এবং বিজেপি জেলা সভাপতি সহ কর্মীরা রাস্তায় নেমে 'হর হর মহাদেব' স্লোগান দেন।
সীতারামপুরে মহিলাদের বিক্ষোভ
সীতারামপুরে বন্ধ চলাকালীন এনডিএ মহিলা নেত্রীরা শহরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এই সময় তাঁরা মহাজোটের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানান এবং বলেন যে মহিলাদের সম্মান নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলবে, জনগণ তাদের জবাব দেবে।
নওয়াদা ও বাঙ্কাতেও প্রভাব দেখা যায়
নওয়াদার প্রজাতন্ত্র চৌকে এনডিএ কর্মীরা পথ অবরোধ করে বন্ধ পালন করেন। অন্যদিকে বাঙ্কাতে বিজেপি বিধায়ক রামনারায়ণ মন্ডল কর্মীদের সঙ্গে মিলে বন্ধে অংশ নেন।
বেতিয়াতে ৮০% দোকান বন্ধ
বেতিয়াতে বন্ধের ব্যাপক প্রভাব দেখা যায়। শহরের প্রায় ৮০ শতাংশ দোকান বন্ধ ছিল। রাস্তাঘাট জনশূন্য ছিল এবং জাতীয় সড়কে যানবাহনের চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
হাজিপুর-মুजफ्फरপুর এনএইচ ২২ অবরোধ
হাজিপুরে এনডিএ কর্মীরা এনএইচ ২২ এবং অন্যান্য রাস্তায় অবরোধ করেন। হাজিপুর শহর, মহনার রোড এবং একাধিক प्रखंडে সকাল থেকেই কর্মীরা রাস্তায় নেমে স্লোগান দিয়ে পথ অবরোধ করেন।
সীতারামপুরে দোকান বন্ধ রাখার আবেদন
সীতারামপুরে বিধায়ক ডঃ মিথিলেশ কুমার কারগিল চৌকে ব্যবসায়ীদের দোকান বন্ধ রাখার আবেদন জানান। এই সময় তাঁর সঙ্গে কর্মীরাও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
আরাতে বিজেপি কর্মীরা মঠিয়া মোড়ের কাছে পথ অবরোধ করে जोरदार স্লোগান দিতে দেখা যায়। এখানে কর্মীরা 'রাহুল গান্ধী ক্ষমা চাও' এবং 'রাহুল-তেজস্বী মুর্দাবাদ' এই ধরনের স্লোগান দেন। सहार-এও सहार-আরওয়াল সেতু অবরোধ করা হয়।