ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি: মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শুক্রবার রাতে মুখোমুখি হয় দুই দল। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে টিম ইন্ডিয়া মাত্র ১২৫ রানে অলআউট হয়। অভিষেক শর্মা (৬৮) ও হর্ষিত রানা (৩৫) বাদে কেউই দাঁড়াতে পারেননি। জবাবে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মিচেল মার্শ (৪৬) ও ট্র্যাভিস হেড (২৬)-এর ঝোড়ো ব্যাটে মাত্র ১৩.২ ওভারে ৬ উইকেটে জয় পায় অজিরা। সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া।

শুরুতেই ভরাডুবি, ব্যাটে ব্যর্থ টিম ইন্ডিয়া
শুরু থেকেই ধস নামে ভারতীয় ইনিংসে। অজি বোলারদের গতিবিধি ও নির্ভুল লাইনে বারবার পরাস্ত হন ভারতীয় ব্যাটাররা। একমাত্র অভিষেক শর্মা নিজের প্রতিভার ছাপ রেখে ৬৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। হর্ষিত রানা কিছুটা লড়াই করলেও বাকিদের ব্যাট যেন নিস্তব্ধ। শেষ পর্যন্ত ১৯.২ ওভারে মাত্র ১২৫ রানে থেমে যায় টিম ইন্ডিয়ার ইনিংস।

হ্যাজেলউডের দাপট, ভারতীয় ব্যাটারদের বিপর্যয়
অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণ ছিল মারাত্মক। জশ হ্যাজেলউড ৩ উইকেট নিয়ে ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপের কোমর ভেঙে দেন। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন ন্যাথান এলিস, যিনি ২ উইকেট নেন। ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে ৮ জনই দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে ব্যর্থ হন।
মার্শ-হেড জুটি ভাঙার আগেই ম্যাচের রূপরেখা স্পষ্ট
ছোট লক্ষ্যের পেছনে নামতেই অজি ওপেনার মার্শ ও হেড শুরু থেকেই আক্রমণে যান। মাত্র ৬ ওভারেই ৫০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ম্যাচ কার্যত নিজেদের করে নেন। ভারতীয় বোলাররা দিশেহারা। বুমরাহর এক ওভারে ওঠে ১৮ রান, হর্ষিতের ওভারে ২০!

মাঝপথে সাফল্য দিলেও দেরি হয়ে গেল বোলারদের
ভারতের হয়ে বরুণ চক্রবর্তী ও বুমরাহ দুইজনই ২টি করে উইকেট পান। তবে মার্শ ও ইংলিশের দাপটেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায় অনেক আগেই। শেষের দিকে বুমরাহ কিছুটা আগুন ঝরালেও তখন আর জেতার কোনও সম্ভাবনাই ছিল না।
সিরিজে পিছিয়ে টিম ইন্ডিয়া, সামনে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ
অস্ট্রেলিয়া এখন পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে। ব্যাটিংয়ের ব্যর্থতা ও বোলিংয়ের অনিয়মই ভারতের হারের মূল কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। পরবর্তী ম্যাচ রবিবার, যেখানে রোহিতদের সামনে একটাই লক্ষ্য — ব্যাটে-বলে প্রত্যাবর্তন।

ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি: মেলবোর্নে ব্যাটে-বলে ব্যর্থ টিম ইন্ডিয়া। মাত্র ১২৫ রানে গুটিয়ে যায় ভারতীয় ইনিংস। জবাবে সহজেই ৬ উইকেটে জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। মিচেল মার্শের ঝোড়ো ব্যাটে ভর করে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।













