Advance Agrolife IPO: ৫৬.৯ গুণ সাবস্ক্রাইব হয়ে ১৪% প্রিমিয়ামে বাজার প্রবেশ

Advance Agrolife IPO: ৫৬.৯ গুণ সাবস্ক্রাইব হয়ে ১৪% প্রিমিয়ামে বাজার প্রবেশ

Advance Agrolife-এর IPO বিনিয়োগকারীদের থেকে অসাধারণ সাড়া পেয়েছে এবং এটি ৫৬.৯ গুণ সাবস্ক্রাইব হয়েছে। ১০০ টাকার শেয়ার আজ BSE-তে ১১৩ টাকা এবং NSE-তে ১১৪ টাকায় তালিকাভুক্ত হয়েছে, অর্থাৎ ১৪% প্রিমিয়ামে শুরু হয়েছে। IPO-এর মাধ্যমে সংগৃহীত ৩৯২.৮৬ কোটি টাকার মধ্যে ১৩৫ কোটি টাকা ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল এবং বাকিটা সাধারণ কর্পোরেট উদ্দেশ্যে ব্যয় করা হবে।

Advance Agrolife: যা সার এবং কীটনাশক পণ্য B2B ভিত্তিতে বিক্রি করে, তার IPO বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে দুর্দান্ত সাড়া পেয়েছে এবং এটি ৫৬.৯ গুণ সাবস্ক্রাইব হয়েছে। IPO-এর অধীনে ১০০ টাকা অভিহিত মূল্য (ফেস ভ্যালু) সহ ১.৯২ কোটি নতুন শেয়ার জারি করা হয়েছিল। আজ কোম্পানির শেয়ার BSE-তে ১১৩ টাকা এবং NSE-তে ১১৪ টাকায় তালিকাভুক্ত হয়ে ১৪% প্রিমিয়ামে ট্রেডিং শুরু করেছে। IPO থেকে সংগৃহীত ৩৯২.৮৬ কোটি টাকার মধ্যে ১৩৫ কোটি টাকা ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল এবং বাকিটা সাধারণ কর্পোরেট উদ্দেশ্যে ব্যয় করা হবে।

IPO-এর প্রাথমিক তালিকাভুক্তি

Advance Agrolife-এর শেয়ার আজ BSE-তে ১১৩.০০ টাকা এবং NSE-তে ১১৪.০০ টাকায় প্রবেশ করেছে। এর ফলে IPO বিনিয়োগকারীরা প্রাথমিকভাবে ১৪ শতাংশের লিস্টিং গেইন পেয়েছেন। তবে, কিছুক্ষণ পর শেয়ারের দাম কিছুটা কমে BSE-তে ১০৯.০০ টাকায় নেমে আসে। এর অর্থ হল, এখন IPO বিনিয়োগকারীরা প্রায় ৯ শতাংশ লাভে রয়েছেন।

IPO থেকে সংগৃহীত অর্থের ব্যবহার

Advance Agrolife-এর IPO ছিল ৩৯২.৮৬ কোটি টাকার। এই সাবস্ক্রিপশন ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবরের মধ্যে খোলা ছিল। এই IPO-তে কোয়ালিফাইড ইনস্টিটিউশনাল বায়ার্স (QIB) এর অংশ ২৭.৩১ গুণ, নন-ইনস্টিটিউশনাল ইনভেস্টরস (NII) এর অংশ ১৭৫.৩০ গুণ, খুচরা বিনিয়োগকারীদের (Retail Investors) অংশ ২৩.১৪ গুণ এবং কর্মচারীদের অংশ ৩৮.৪২ গুণ সাবস্ক্রাইব হয়েছে।

কোম্পানি মোট ১,৯২,৮৫,৭২০টি নতুন শেয়ার জারি করেছে যার অভিহিত মূল্য (ফেস ভ্যালু) ১০ টাকা। এই IPO-এর মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থের মধ্যে ১৩৫.০০ কোটি টাকা ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের প্রয়োজনে ব্যয় করা হবে এবং বাকি অর্থ সাধারণ কর্পোরেট উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হবে।

কোম্পানির ব্যবসা এবং বিস্তার

Advance Agrolife ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি কৃষি-রাসায়নিক পণ্য তৈরি করে এবং B2B ভিত্তিতে সরাসরি কর্পোরেট গ্রাহকদের কাছে সার ও কীটনাশক বিক্রি করে। কোম্পানির ব্যবসা ভারতের ১৯টি রাজ্য এবং ৩টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিস্তৃত। এছাড়াও এর পণ্যগুলি সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাংলাদেশ, চীন, হংকং, তুরস্ক, মিশর, কেনিয়া এবং নেপালেও সরবরাহ করা হয়।

কোম্পানির উৎপাদন সুবিধা রাজস্থানের জয়পুরে অবস্থিত। এর প্রধান উদ্দেশ্য হল উচ্চ মানের কৃষি পণ্য তৈরি করা এবং B2B গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানো।

আর্থিক কর্মক্ষমতা

Advance Agrolife-এর আর্থিক কর্মক্ষমতা ধারাবাহিকভাবে শক্তিশালী হয়েছে। ২০২৩ অর্থবর্ষে কোম্পানির নিট মুনাফা ছিল ১৪.৮৭ কোটি টাকা। এটি পরবর্তী ২০২৪ অর্থবর্ষে বেড়ে ২৪.৭৩ কোটি টাকা এবং ২০২৫ অর্থবর্ষে ২৫.৬৪ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। এই সময়ে কোম্পানির মোট আয় বার্ষিক ১২ শতাংশের চক্রবৃদ্ধি হারে (CAGR) বেড়ে ৫০২.৮৮ কোটি টাকা হয়েছে।

কোম্পানির ঋণও বেড়েছে। ২০২৩ অর্থবর্ষের শেষে ঋণ ছিল ২৫.২৯ কোটি টাকা, যা ২০২৪ অর্থবর্ষে ৪৫.৪৬ কোটি টাকা এবং ২০২৫ অর্থবর্ষে ৮০.৪৫ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। রিজার্ভ এবং সারপ্লাসের কথা বলতে গেলে, ২০২৩ অর্থবর্ষের শেষে এটি ৪৬.১০ কোটি টাকা, ২০২৪ অর্থবর্ষে ৭০.৭৬ কোটি টাকা এবং ২০২৫ অর্থবর্ষে ৫৫.৮৭ কোটি টাকা ছিল।

Leave a comment