বিহার শিক্ষা দপ্তর সকল জেলাকে নির্দেশ দিয়েছে যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অন্তত তিনজন এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাঁচজন শিক্ষক সর্বদা উপস্থিত থাকতে হবে। নিয়ম লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং এলপিসি, বেতন ও অভিযোগ নিষ্পত্তি নিশ্চিত করা হবে।
पटना: বিহার শিক্ষা দপ্তর সকল জেলাকে কঠোর নির্দেশ দিয়েছে যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অন্তত তিনজন এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাঁচজন শিক্ষক যে কোনো মূল্যে উপস্থিত থাকতে হবে। দপ্তর স্পষ্ট করেছে যে বিদ্যালয় পরিচালনায় কোনও ধরনের অবহেলা সহ্য করা হবে না। এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান নিশ্চিত করা এবং শিক্ষকদের নিয়মিত উপস্থিতি কার্যকর করা।
বিগত বেশ কয়েকটি ভিডিও কনফারেন্সিং সেশনে বিস্তারিত নির্দেশিকা প্রদান করা হয়েছে, কিন্তু পর্যালোচনায় দেখা গেছে যে কিছু জেলা এই নির্দেশগুলি গুরুত্ব সহকারে পালন করেনি। এখন দপ্তর এই বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সকল জেলাকে এটি পূর্ণ গুরুত্ব সহকারে পালন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্কুলে শিক্ষকদের উপস্থিতি জরুরি
নির্দেশ অনুযায়ী, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। একইসাথে, দপ্তর সকল বদলি হওয়া শিক্ষকদের এলপিসি ইন/আউট অবিলম্বে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে।
এছাড়াও, TRE-1, 2, 3 এর অধীনে নির্বাচিত বিদ্যালয় শিক্ষক, সক্ষমতা উত্তীর্ণ বিশিষ্ট শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক এবং প্রধান শিক্ষকের হালনাগাদ বেতন পরিশোধও নিশ্চিত করা হবে। এই পদক্ষেপ শিক্ষকদের অধিকার সুরক্ষা এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
স্কুল নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের উপর কঠোর ব্যবস্থা
বিভাগীয় পত্রাঙ্ক ১০/গো০ তারিখ ২০.০২.২০২৫ অনুযায়ী, বিদ্যালয়গুলির নিয়মিত পরিদর্শন বাধ্যতামূলক। কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার থেকে পরিচালিত পর্যবেক্ষণের সময় ফোন রিসিভ না করা বা ছবি আপলোড না করা প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই দিকে কঠোর নিয়মগুলি শিক্ষা ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা বাড়াবে এবং শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে।
শিক্ষকদের অভিযোগের সমাধান দ্রুত
ই-শিক্ষা কোষ পোর্টালে শিক্ষকদের দ্বারা দাখিল করা অভিযোগপত্রগুলির দ্রুত নিষ্পত্তির আদেশও জারি করা হয়েছে। মুলতুবি থাকা বিষয়গুলি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিষ্পত্তি করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
এর ফলে শিক্ষকদের সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে এবং বিদ্যালয়ে কার্য পরিচালনায় কোনও বাধা আসবে না। এছাড়াও, এটি শিক্ষার্থীদের উপকারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
বিদ্যালয়গুলিতে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও তদন্ত
জেলাগুলিকে তাদের নিজস্ব স্তরে দৈনিক পর্যালোচনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি, সদর দপ্তর স্তর থেকে সপ্তাহে দুবার—মঙ্গলবার এবং শুক্রবার—বিশেষ পর্যালোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
এই ধরনের ক্রমাগত পর্যালোচনা এবং পর্যবেক্ষণের ফলে বিভাগে অবহেলার উপর লাগাম লাগবে এবং বিদ্যালয় পরিচালনায় সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।