দিল্লিতে মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড: যুবক কর্তৃক বাবা-মা ও ভাই খুন, অভিযুক্ত পলাতক

দিল্লিতে মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড: যুবক কর্তৃক বাবা-মা ও ভাই খুন, অভিযুক্ত পলাতক

দিল্লির ময়দানগড়ি এলাকায় এক যুবক তার বাবা-মা ও ভাইকে খুন করে পালিয়ে গেছে। মৃতদের পরিচয় প্রেম সিং, তাঁর স্ত্রী রজনী এবং বড় ছেলে ঋতিক। অভিযুক্ত সিদ্ধার্থের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে এবং ঘটনাস্থল থেকে ফরেনসিক প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে।

Kharak: দক্ষিণ দিল্লির ময়দানগড়ি থানার খারাক গ্রামে সোমবার এক যুবক তার বাবা-মা ও বড় ভাইকে খুন করে পালিয়ে গেছে। মৃতদের পরিচয় ৫০ বছর বয়সী প্রেম সিং, তাঁর স্ত্রী রজনী (৪৫) এবং বড় ছেলে ঋতিক (২৪)। অভিযুক্ত ছোট ছেলে সিদ্ধার্থ (২৩) कथितভাবে মানসিক রোগের চিকিৎসা নিচ্ছিল এবং পুলিশ তাকে ধরার জন্য সিসিটিভি ফুটেজ ও আশেপাশের এলাকাগুলোতে তল্লাশি চালাচ্ছে। ফরেনসিক দল ঘটনাস্থল থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করেছে।

খারাক গ্রামে পরিবার খুন

খারাক গ্রামে (ময়দানগড়ি থানা এলাকা) একটি ভয়াবহ খুনের ঘটনা ঘটেছে। বাড়িতে ৫০ বছর বয়সী প্রেম সিং, তাঁর স্ত্রী রজনী (৪৫) এবং বড় ছেলে ঋতিককে (২৪) মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘরের দরজা খোলার পরে ভেতরে সর্বত্র রক্ত ছড়িয়ে ছিল।

প্রতিবেশী ও স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে যে, পরিবারের ছোট ছেলে সিদ্ধার্থ দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চাপে ভুগছিল এবং তার চিকিৎসা চলছিল। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে, সে নিজেই এই খুনের কথা স্বীকার করেছে।

অভিযুক্ত সিদ্ধার্থের খোঁজে পুলিশ

পুলিশ অভিযুক্ত সিদ্ধার্থের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ) অঙ্কিত চৌহান জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে খুঁজে বের করার জন্য একাধিক দল গঠন করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুনের পর সিদ্ধার্থ এলাকা থেকে পালিয়ে গেছে।

সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং আশেপাশের এলাকাগুলোতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। পুলিশ প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের কাছ থেকে অভিযুক্তের আচরণ এবং মানসিক অবস্থা সম্পর্কে তথ্য নিচ্ছে।

ঘটনাস্থলে ফরেনসিক টিমের তদন্ত

পুলিশ মৃতদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে এবং ঘটনাস্থল থেকে ফরেনসিক প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এই প্রমাণগুলো খুনের সময়, পদ্ধতি এবং ঘটনার পেছনের আসল পরিস্থিতি বুঝতে সাহায্য করবে। তদন্তকারী দল আশা করছে যে, এর মাধ্যমে অভিযুক্তের কার্যকলাপ এবং ঘটনার সঠিক তথ্য সামনে আসবে।

স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে যে, পরিবারের ছোট ছেলের মানসিক অবস্থা এবং সম্প্রতি তার মানসিক চাপে থাকা পুলিশের তদন্তে খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। এর সাহায্যে পুলিশ ঘটনার কারণ এবং অভিযুক্তের মানসিক অবস্থা বিশ্লেষণ করতে পারবে, যাতে পুরো বিষয়টি গভীরভাবে বোঝা যায়।

Leave a comment