ডিজিটাল অ্যারেস্ট স্ক্যাম ভারতে গুরুতর আকার ধারণ করেছে, যেখানে এ পর্যন্ত ৩,০০০ কোটি টাকারও বেশি প্রতারণা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং জানিয়েছে যে বয়স্ক ব্যক্তিরাই সবচেয়ে বেশি শিকার হচ্ছেন। অপরাধীরা জাল ভিডিও কল এবং উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। সতর্কতা এবং সঠিক পদক্ষেপই এর থেকে বাঁচার উপায়।
ডিজিটাল অ্যারেস্ট: ভারতে সাইবার প্রতারণার একটি নতুন রূপ মানুষের সামনে এসেছে, যেখানে অপরাধীরা নিজেদের পুলিশ, সিবিআই বা ইডি অফিসার পরিচয় দিয়ে ভিডিও কলের মাধ্যমে মানুষকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি জানিয়েছে যে এই প্রতারণার মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৩,০০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বয়স্ক ব্যক্তিরা শিকার হচ্ছেন। বিচারপতি সূর্যকান্তের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ কেন্দ্র এবং তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে এই বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা জানিয়েছে। সতর্ক থাকা এবং সন্দেহজনক কার্যকলাপের রিপোর্ট করা সবচেয়ে জরুরি পদক্ষেপ।
সুপ্রিম কোর্টের উদ্বেগ
ডিজিটাল অ্যারেস্ট স্ক্যাম ভারতে গুরুতর আকার ধারণ করেছে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে যে এ পর্যন্ত এই প্রতারণার মাধ্যমে ৩,০০০ কোটি টাকারও বেশি অর্থ মানুষের কাছ থেকে আত্মসাৎ করা হয়েছে। বিচারপতি সূর্যকান্তের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলেছে যে এই সমস্যা প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বড় এবং এটি থামাতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতারণার শিকার বেশিরভাগই বয়স্ক ব্যক্তিরা।
সলি Solicitor জেনারেল তুষার মেহতাও আদালতকে জানিয়েছেন যে ডিজিটাল অ্যারেস্ট জালিয়াতি কেবল স্থানীয় নয়, বরং সীমান্ত পেরিয়ে এবং মানি লন্ডারিংয়ের সাথে জড়িত গ্যাংগুলির দ্বারা করা হচ্ছে। অপরাধীরা এআই (AI) এবং উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভুয়ো ভিডিও কল এবং নকল কোর্টরুম তৈরি করে।
ডিজিটাল অ্যারেস্ট স্ক্যাম কী?
ডিজিটাল অ্যারেস্ট হল একটি সাইবার জালিয়াতি যেখানে অপরাধীরা নিজেদের পুলিশ, সিবিআই বা ইডি অফিসার হিসাবে পরিচয় দেয়। ভিডিও কলের মাধ্যমে তারা ভুক্তভোগীদের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করে। জাল নথি দেখিয়ে এবং হুমকি দিয়ে তারা মানুষকে টাকা ট্রান্সফার করতে বাধ্য করে।
এই ধরনের প্রতারণায় ব্যক্তিগত তথ্য এবং ব্যাংক ডিটেইলসেরও অপব্যবহার হয়। সুপ্রিম কোর্ট এই অপরাধের সিবিআই (CBI) তদন্ত করানোর পরামর্শ দিয়েছে। এটা স্পষ্ট যে ডিজিটাল অ্যারেস্ট স্ক্যামের পরিধি কেবল ভারতের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় এবং বিশ্বব্যাপী এর অনেক ঘটনা সামনে আসতে পারে।

সতর্কতা এবং প্রতিরোধের উপায়
ডিজিটাল অ্যারেস্ট থেকে বাঁচতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে। প্রথমত, কোনো সরকারি কর্মকর্তা ভিডিও কলের মাধ্যমে টাকা চান না। যদি কেউ এমন করে, তবে সাথে সাথে কল কেটে দিন এবং টাকা ট্রান্সফার করা থেকে বিরত থাকুন। স্ক্রিন শেয়ারিং এড়িয়ে চলুন এবং ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করবেন না।
এছাড়াও, সন্দেহজনক কার্যকলাপের অবিলম্বে রিপোর্ট করুন। জাতীয় হেল্পলাইন নম্বর 1930 এবং ওয়েবসাইট cybercrime.gov.in-এ অভিযোগ দায়ের করা যেতে পারে। সময়মতো সতর্কতা এবং সঠিক পদক্ষেপ এই প্রতারণা থেকে বাঁচার সবচেয়ে কার্যকর উপায়।













