লৌহ মানব সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জয়ন্তীতে দেশজুড়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্ট্যাচু অফ ইউনিটিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে জাতীয় ঐক্য এবং অখণ্ড ভারতের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
Vallabhbhai patel birth anniversary: ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে অনেক মহান নেতা তাঁদের ত্যাগ, উৎসর্গ এবং নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশকে নতুন দিশা দিয়েছেন, কিন্তু তাঁদের মধ্যে খুব কম জনই এমন ছিলেন যাঁরা স্বাধীনতার পরেও ভারতের নির্মাণ ও ঐক্যের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। তাঁদেরই একজন ছিলেন — সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, যিনি সারা ভারতবর্ষে "লৌহ মানব" এবং "ভারতের একীকরণের স্থপতি" হিসাবে পরিচিত। তিনি কেবল স্বাধীনতা সংগ্রামেই অবদান রাখেননি, বরং স্বাধীনতার পর ভারতকে রাজনৈতিকভাবে একসূত্রে বাঁধার অসম্ভব কাজটিও সম্পন্ন করেছিলেন।
প্রারম্ভিক জীবন ও শিক্ষা
সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল ১৮৭৫ সালের ৩১শে অক্টোবর গুজরাটের নাদিয়াদ নামক স্থানে এক সাধারণ কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা জভেরভাই প্যাটেল একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক এবং পরিশ্রমী কৃষক ছিলেন, আর তাঁর মাতা লাড়বাই ছিলেন ধার্মিক প্রকৃতির মহিলা। ছোটবেলা থেকেই বল্লভভাইয়ের মধ্যে আত্মবিশ্বাস, দৃঢ় সংকল্প এবং সাহসিকতার গুণগুলি স্পষ্ট দেখা যেত।
তিনি তাঁর প্রারম্ভিক শিক্ষা করমশাদ এবং পেতলাদে লাভ করেন। সীমিত আর্থিক সংস্থান থাকা সত্ত্বেও তিনি পড়াশোনা চালিয়ে যান এবং পরবর্তীতে ওকালতি করার সিদ্ধান্ত নেন। ১৯১০ সালে তিনি ইংল্যান্ডে যান এবং সেখান থেকে লন্ডনের মিডল টেম্পল থেকে ব্যারিস্টার হয়ে ফিরে আসেন। ওকালতি পেশায় তিনি অত্যন্ত সফল ছিলেন এবং আহমেদাবাদে একজন দক্ষ আইনজীবী হিসাবে তাঁর নাম সুপরিচিত হয়।
কিন্তু তাঁর জীবনের মোড় তখন ঘুরে যায়, যখন তিনি মহাত্মা গান্ধীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ওকালতি ছেড়ে দেন এবং দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
স্বাধীনতা সংগ্রামে ভূমিকা
এটিও পড়ুন:- 
 উত্তর প্রদেশে ২২ দেশের ৪৮ রাষ্ট্রদূতের ঐতিহাসিক আগমন, বিদেশি বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত উন্মোচন 
 ওম বিড়লা: ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারত গড়তে আইনের শাসনই প্রধান চাবিকাঠি 
 
                                                                        
                                                                             
                                                











