গওহর খানের প্রতিবাদ: পাপারাজ্জিদের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন অভিনেত্রী

গওহর খানের প্রতিবাদ: পাপারাজ্জিদের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন অভিনেত্রী

সিনেমা জগতে পাপারাজ্জিদের হস্তক্ষেপ নতুন কিছু নয়, তবে সম্প্রতি অভিনেত্রী গওহর খানের প্রজ্ঞা জয়সোয়ালের প্রতি করা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের প্রতিবাদ করায় বিষয়টি আবার শিরোনামে এসেছে।

গওহর খান প্রজ্ঞা জয়সোয়ালের পাশে: গ্ল্যামার ও ক্যামেরার দুনিয়ায় তারকাদের ছবি তোলা একটি সাধারণ ঘটনা, কিন্তু যখন ক্যামেরার পেছনের মানুষজন সীমা অতিক্রম করতে শুরু করে, তখন বিষয়টি কেবল একটি ক্লিকের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। সম্প্রতি অভিনেত্রী প্রজ্ঞা জয়সোয়ালের সঙ্গে এমনই কিছু ঘটেছে, যখন একটি অনুষ্ঠানে পাপারাজ্জিরা তাকে অশ্লীল মন্তব্য করে হেনস্থা করে। এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এবং অভিনেত্রী গওহর খান এই বিষয়ে তার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

প্রজ্ঞা জয়সোয়ালকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ আচরণ

কিছুদিন আগে জায়েদ খানের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা প্রজ্ঞা জয়সোয়াল একটি কালো বডিকন পোশাক পরেছিলেন। প্রায়শই যেমনটা হয়,অনুষ্ঠানের বাইরে পাপারাজ্জিরা তার ছবি তুলতে শুরু করে। কিন্তু প্রজ্ঞা গাড়ির দিকে যেতেই কয়েকজন পাপারাজ্জি তাকে পেছন থেকে অশালীনভাবে ডাকতে শুরু করে। এই ঘটনা ক্যামেরাবন্দী হয় এবং ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় আসার সঙ্গে সঙ্গেই মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পরে।

গওহর খানের প্রতিবাদ, তিনি বলেন- এটা কি তবে ইভটিজিং নয়?

এই লজ্জাজনক ঘটনার প্রথম প্রতিক্রিয়া জানান গওহর খান। তিনি তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ভিডিওটি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখেন: পাপারাজ্জিরা কি ইভটিজিংয়ের সংস্কৃতিকে উৎসাহিত করছে না? অনেকেই ক্রমাগত কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে। ক্যামেরা হাতে পাওয়ার অর্থ কি এই যে আপনি সংবেদনশীলতা হারাবেন? আপনারা সীমা লঙ্ঘন করছেন।

গওহর খান কেবল প্রজ্ঞার প্রতি সমর্থন জানাননি, বরং মিডিয়া এবং বিশেষ করে পাপারাজ্জিদের সেই অংশের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন, যারা নারী তারকাদের সঙ্গে অভদ্রতাকে স্বাভাবিক আচরণ হিসেবে গণ্য করে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষের ক্ষোভ

গওহর খানের এই স্টোরির পর সোশ্যাল মিডিয়াতেও পাপারাজ্জিদের আচরণের সমালোচনা শুরু হয়েছে। ব্যবহারকারীরা লিখেছেন, ক্যামেরাম্যান হওয়াটা একটি দায়িত্ব, কোনো ছাড় নয়। অনেকেই প্রশ্ন করেছেন, শুধুমাত্র ফুটেজ পাওয়ার জন্য নারীদের সম্মান নিয়ে খেলা কতদিন চলবে? কেউ কেউ এমন পাপারাজ্জিদের ব্ল্যাকলিস্ট করারও দাবি জানিয়েছেন।

এটি প্রথম ঘটনা নয় যখন কোনো নারী শিল্পী পাপারাজ্জিদের সংবেদনহীনতার শিকার হয়েছেন। এর আগেও অনেকবার অভিনেত্রী জাহ্নবী কাপুর, उर्वशी রাউতেলা, নোরা ফাতেহি এবং দিশা পাটানির মতো তারকাদের পোশাক নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল করা হয়েছে এবং অনেক সময় পাপারাজ্জিদের প্রশ্নও ছিল অশালীন।

গওহর খানের এই প্রশ্নটি একটি বড় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে — ভারতীয় বিনোদন মাধ্যমেও কি "কর্পোরেট পাপারাজ্জি গাইডলাইন"-এর প্রয়োজন? হলিউডের মতো যেখানে অনুমতি ছাড়া কারো সঙ্গে কথা বলা বা অভদ্র মন্তব্য করা একটি আইনি অপরাধ, সেখানেও কি কঠোর নিয়ম চালু করা উচিত?

Leave a comment