গাজিয়াবাদের ওয়েভ সিটি অঞ্চলে হলদওয়ানি থেকে দিল্লিগামী একটি বেসরকারি বাস ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনায় চালক ও ১৩ জন যাত্রী আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে চালকের তন্দ্রা এবং রাস্তার সংকীর্ণতাকে দায়ী করা হয়েছে।
Ghaziabad Bus Accident: ওয়েভ সিটি অঞ্চলে এনএইচ-৯ থেকে ডিএমই (দিল্লি মেরঠ এক্সপ্রেসওয়ে)-তে ওঠার সময় হলদওয়ানি থেকে দিল্লিগামী একটি বেসরকারি বাস ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। এই দুর্ঘটনায় চালক সহ ১৩ জন যাত্রী আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। বুধবার সকাল প্রায় চারটে নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, দুর্ঘটনার প্রধান কারণ ছিল চালকের তন্দ্রা আসা।
সকালে এনএইচ-৯-এ বাস ডিভাইডারে ধাক্কা মারে
বুধবার সকাল প্রায় চারটে নাগাদ হলদওয়ানি থেকে দিল্লিগামী একটি বেসরকারি বাস এনএইচ-৯-এর ওয়েভ সিটি অঞ্চলে ডিএমই-এর দিকে যাচ্ছিল। বাসটি ডিভাইডারের কাছে পৌঁছতেই চালকের তন্দ্রা লাগার কারণে বাসের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায় এবং গাড়িটি সরাসরি ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা মারে।
দুর্ঘটনার সময় বাসের সামনের অংশটি সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে, বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি, এটাই সৌভাগ্য। দুর্ঘটনার স্থানে রাস্তার সংকীর্ণতা এবং চালকের ক্লান্তি দুর্ঘটনার সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল।
বাস দুর্ঘটনায় ১৩ জন যাত্রী আহত
এই দুর্ঘটনায় চালক বুলন্দশহরের সুবোধ এবং সহকারী চালক মনু সহ মোট ১৩ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। আহত যাত্রীদের মধ্যে হরিদ্বার, বেরিলি, নৈনিতাল, দিল্লি এবং উত্তরাখণ্ডের বাগেশ্বরের বাসিন্দারা রয়েছেন।
পুলিশ আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করেছে। দুই যাত্রীর অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে, বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর স্থিতিশীল অবস্থায় রাখা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাসটিকে সরিয়ে দেয় এবং যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
ড্রাইভারের তন্দ্রা এবং সড়ক সুরক্ষা
ট্রাফিকের অবসরপ্রাপ্ত ডিএসপি পিপি কর্ণওয়ালের মতে, রাতে বা খুব ভোরে গাড়ি চালানোর সময় তন্দ্রা আসা একটি সাধারণ কারণ। হাইওয়েতে খুব ভোরে হওয়া দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ৯০% ঘটনাই তন্দ্রা বা ক্লান্তির কারণে ঘটে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, দীর্ঘ যাত্রা শুরুর আগে পর্যাপ্ত ঘুমোন, ক্লান্তি বোধ করলে গাড়ি রাস্তার ধারে থামিয়ে বিশ্রাম নিন এবং লম্বা ড্রাইভের সময় মাঝে মাঝে বিরতি নিন। এছাড়াও, একজন সহকারী চালককে পাশে বসিয়ে ড্রাইভিং-এর দিকে নজর রাখা উচিত।
দুর্ঘটনার তদন্ত ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ
পুলিশ পুরো বিষয়টির গুরুত্ব সহকারে তদন্ত শুরু করেছে। চালকের অবস্থা, বাসের প্রযুক্তিগত ত্রুটি এবং রাস্তার সংকীর্ণতার কারণ সহ দুর্ঘটনার সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রশাসন দুর্ঘটনা স্থলে যান চলাচল স্বাভাবিক করেছে এবং আহত যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। ভবিষ্যতে এই ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধের জন্য হাইওয়েতে ড্রাইভিং নিয়মাবলী এবং সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করা হবে।