বিহারের আলোচিত শিল্পপতি গোপাল খেমকা হত্যা মামলায় পুলিশের বড় সাফল্য। এই ঘটনায় দ্বিতীয় অভিযুক্তকে পুলিশ এনকাউন্টারে খতম করেছে। খবর অনুযায়ী, পুলিশ যখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে যায়, তখন অভিযুক্ত পুলিশ দলের উপর গুলি চালাতে শুরু করে।
পাটনা: বিহারের নামকরা শিল্পপতি গোপাল খেমকা হত্যা মামলায় পুলিশের বড় সাফল্য এসেছে। ঘটনার দ্বিতীয় অভিযুক্তকে পুলিশ এনকাউন্টারে মেরে ফেলেছে, যে জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশের উপর গুলি চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিল। এর আগে প্রধান শুটার, উমেশ কুমার ওরফে বিজয় সাহানিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। ঘটনার পর রাজধানী পাটনা সহ গোটা রাজ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত অভিযুক্ত শুটার উমেশের সহযোগী ছিল এবং হত্যার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। শুধু তাই নয়, তার বিরুদ্ধে ঘটনার জন্য অস্ত্রের ব্যবস্থা করা এবং পালানোর পরিকল্পনা করারও অভিযোগ রয়েছে।
এনকাউন্টারের সম্পূর্ণ ঘটনা
বুধবার পাটনা পুলিশের একটি বিশেষ দল খেমকা হত্যা মামলায় দ্বিতীয় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার জন্য পাটনা সিটি এলাকায় অভিযান চালায়। পুলিশ অভিযুক্তকে ধরার পর যখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে, তখন সে আচমকা পুলিশ দলের উপর গুলি চালাতে শুরু করে এবং পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ প্রথমে তাকে আত্মসমর্পণ করার জন্য সতর্ক করে, কিন্তু অভিযুক্ত লাগাতার গুলি চালাতেই থাকে, তখন পাল্টা জবাবে পুলিশ গুলি চালায়, যা সরাসরি অভিযুক্তকে লাগে।
তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখানে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ কর্মকর্তাদের বক্তব্য, এনকাউন্টার সম্পূর্ণ আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থা ছিল এবং ঘটনার তদন্ত এসপি স্তরে করানো হচ্ছে।
প্রধান অভিযুক্ত উমেশের জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য
এর আগে সোমবার উমেশ কুমার ওরফে বিজয় সাহানি, যিনি পাটনা সিটির মাল সালামি এলাকার বাসিন্দা, তাকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করেছে যে, গোপাল খেমকাকে সে-ই খুন করেছে।
- পুলিশ তার কাছ থেকে
- ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র,
- একটি দু'চাকাের যান
- এবং সুপারি বাবদ দেওয়া প্রায় ৩ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে।
- উমেশ জানায় যে, খুনের সুপারি অশোক সাও নামে এক ব্যক্তি দিয়েছিল, যে নালন্দা জেলার বাসিন্দা এবং বর্তমানে পলাতক।
অশোক সাওয়ের খোঁজে বিভিন্ন জেলায় তল্লাশি
এই হত্যা মামলায় এখন পুলিশের নজর প্রধান ষড়যন্ত্রকারী অশোক সাওয়ের উপর, যে নাকি সুপারি দিয়ে পুরো ষড়যন্ত্রটি সাজিয়েছিল। পুলিশ তার বাড়ি, আত্মীয়স্বজন এবং সম্ভাব্য আশ্রয়স্থলগুলিতে তল্লাশি শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, অশোক সাওয়ের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক অপরাধমূলক মামলা রুজু রয়েছে।
পুলিশ এখন উমেশ এবং এনকাউন্টারে নিহত অভিযুক্তের মোবাইল রেকর্ড, ব্যাঙ্ক লেনদেন এবং কল ডিটেইলস-এরও তদন্ত করছে, যাতে অশোক সাওয়ের যোগাযোগ এবং লোকেশন সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। উল্লেখ্য, গোপাল খেমকা বিহারের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি ছিলেন, যাঁকে দিনের আলোয় খুন করা হয়। ঘটনার পর বিহারের ব্যবসায়ী মহলে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয় এবং সরকারের কাছে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।