কীর্তি পাণ্ডের পদত্যাগ: ইউপি শিক্ষা সেবা কমিশনের চেয়ারপার্সন ব্যক্তিগত কারণে সরে দাঁড়ালেন

কীর্তি পাণ্ডের পদত্যাগ: ইউপি শিক্ষা সেবা কমিশনের চেয়ারপার্সন ব্যক্তিগত কারণে সরে দাঁড়ালেন
সর্বশেষ আপডেট: 2 ঘণ্টা আগে

ইউপি শিক্ষা সেবা নির্বাচন কমিশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক কীর্তি পাণ্ডে ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই পদত্যাগের ফলে আসন্ন পরীক্ষা এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমে প্রভাব পড়তে পারে।

UP: উত্তরপ্রদেশ শিক্ষা সেবা নির্বাচন কমিশন (UPESSC)-এর চেয়ারপার্সন অধ্যাপক কীর্তি পাণ্ডে তাঁর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তিনি তাঁর পদত্যাগের কারণ হিসেবে ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করেছেন। তবে, তাঁর এই পদক্ষেপ নিয়ে শিক্ষাগত এবং প্রশাসনিক মহলে বিভিন্ন আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষত এমন সময়ে যখন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে, তাঁর পদত্যাগ একটি বড় ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এক বছরেরও কম সময়ের কার্যকালে পদত্যাগ

অধ্যাপক কীর্তি পাণ্ডেকে ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে কমিশনের চেয়ারপার্সন নিযুক্ত করা হয়েছিল। গোরক্ষপুরের বাসিন্দা পাণ্ডে মাত্র ২২ দিন পর, অর্থাৎ ২২ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করেছেন। এই পদত্যাগপত্র উচ্চ শিক্ষা বিভাগের কাছে জমা দেওয়া হয়েছিল, যা আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়েছে। বর্তমানে কমিশনের জ্যেষ্ঠতম সদস্যকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যাতে পরীক্ষা এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কার্যক্রমে কোনো বাধা না আসে।

প্রশাসনিক ও শিক্ষাগত অভিজ্ঞতা

অধ্যাপক কীর্তি পাণ্ডের শিক্ষাগত ও প্রশাসনিক জীবন দীর্ঘ এবং প্রভাবশালী ছিল। তিনি ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও, ২০১৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিনি ইউজিসি-এর মানব সম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্রের পরিচালক ছিলেন। তাঁর অভিজ্ঞতা এবং নেতৃত্ব ক্ষমতা বিবেচনা করে তাঁকে কমিশনের চেয়ারপার্সন করা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ পদত্যাগ সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।

পদত্যাগের কারণ নিয়ে জল্পনা

যদিও অধ্যাপক পাণ্ডে স্পষ্টভাবে ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করেছেন, তবে শিক্ষাজগত এবং রাজনৈতিক মহলে তাঁর পদত্যাগের বিভিন্ন ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে। কমিশনের কার্যকারিতা, সম্ভাব্য চাপ এবং আসন্ন পরীক্ষা নিয়ে আলোচনা তীব্র হয়েছে। যেহেতু এই পদটি সর্বদা সংবেদনশীল এবং চ্যালেঞ্জিং ছিল, তাই হঠাৎ পদত্যাগ অনেক প্রশ্ন তৈরি করছে।

পরীক্ষায় প্রভাব পড়তে পারে

কমিশনের চেয়ারপার্সনের পদ খালি থাকা সরাসরি পরীক্ষার প্রস্তুতিকে প্রভাবিত করতে পারে। UPESSC অনেক গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগ এবং পরীক্ষার আয়োজন করে, যেখানে লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এমন সময়ে যখন নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে স্বচ্ছতা এবং দ্রুততার দাবি বাড়ছে, চেয়ারপার্সনের পদত্যাগ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে।

ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থা চালু

উচ্চ শিক্ষা বিভাগ কমিশনের বিধান অনুযায়ী তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কমিশনের জ্যেষ্ঠতম সদস্যকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন নিযুক্ত করা হয়েছে, যাতে কমিশনের দৈনন্দিন কার্যক্রমে কোনো বাধা না আসে। যদিও এটি একটি অস্থায়ী সমাধান, তবে নতুন চেয়ারপার্সন নিযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আটকে থাকতে পারে।

অধ্যাপক পাণ্ডের ভাবমূর্তি ও অবদান

অধ্যাপক পাণ্ডে একজন কঠোর এবং সৎ প্রশাসক হিসেবে পরিচিত। তিনি সর্বদা শিক্ষায় উন্নতি এবং স্বচ্ছতাকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। সমাজবিজ্ঞান এবং মানব সম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রে তাঁর অবদান উল্লেখযোগ্য ছিল। কমিশনের চেয়ারপার্সন হিসেবেও তাঁর কাছে অনেক প্রত্যাশা ছিল, কিন্তু তাঁর কার্যকাল অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত ছিল।

Leave a comment