রাত ৩ টেয় হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায়? জানেন এর ‘আধ্যাত্মিক’ অর্থ কী! জ্যোতিষীরা বলছেন এক গভীর বার্তা

রাত ৩ টেয় হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায়? জানেন এর ‘আধ্যাত্মিক’ অর্থ কী! জ্যোতিষীরা বলছেন এক গভীর বার্তা

Sleep Breaking Meaning: জ্যোতিষ মতে, ভোর ৩টা থেকে ৪টার সময় ঘুম ভেঙে যাওয়া কাকতালীয় নয়। এটি সেই ‘ব্রহ্ম মুহূর্ত’ যখন ইতিবাচক শক্তি সবচেয়ে সক্রিয় থাকে। রাঁচির জ্যোতিষী সন্তোষ কুমার চৌবে জানান, এই সময়ে ঘুম ভাঙা মানে প্রকৃতি আপনাকে কোনও বার্তা দিচ্ছে—নিজের আত্মিক শক্তি ও চিন্তাকে জাগিয়ে তুলতে হবে।

ব্রহ্ম মুহূর্তে ঘুম ভাঙা মানেই শুভ লক্ষণ

জ্যোতিষশাস্ত্রে এই সময়কে অমৃতকাল বলা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মুহূর্তে জাগ্রত হওয়া মানে আপনার জীবনে শুভ পরিবর্তনের সূচনা। আধ্যাত্মিকভাবে এটি এমন এক সময়, যখন মন সবচেয়ে নির্মল থাকে এবং ঈশ্বর বা প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ সহজ হয়।

প্রকৃতির গোপন বার্তা: কী বলছেন জ্যোতিষী

রাঁচির জ্যোতিষী সন্তোষ কুমার বলেন, “যদি আপনি নিয়মিত ৩টা বা ৪টেয় ঘুম থেকে ওঠেন, বুঝে নিন প্রকৃতি আপনাকে ডাকছে। এই সময় প্রার্থনা বা ধ্যান করলে ৫ গুণ বেশি ফল মেলে।” তাই আতঙ্ক নয়, বরং এটি আত্মবিকাশের সুযোগ।

কী করবেন এই সময় ঘুম ভাঙলে?

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ—ঘুম ভাঙলে সঙ্গে সঙ্গে প্রিয় দেবতার নাম স্মরণ করুন, বা ধ্যান করুন। চাইলে নীরবে বসে নিজের অন্তরের সঙ্গে কথা বলুন। এতে মানসিক প্রশান্তি বাড়ে, আত্মবিশ্বাস ও ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি পায়।

আধ্যাত্মিক সংখ্যা ৩ ও ৪-এর তাৎপর্য

সংখ্যা ‘৩’ বোঝায় শিব, সম্প্রীতি ও আধ্যাত্মিক বৃদ্ধি। সংখ্যা ‘৪’ বোঝায় স্থিতিশীলতা ও জীবনের চার উপাদান—পৃথিবী, বায়ু, অগ্নি ও জল। তাই ভোর ৩ বা ৪টেয় ঘুম ভাঙা মানে এই শক্তিগুলি আপনার জীবনে সক্রিয় হচ্ছে।

চিকিৎসা পরামর্শও জরুরি

তবে বিশেষজ্ঞদের মত—যদি নিয়মিত ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কখনও এটি স্বাস্থ্যগত সমস্যার ইঙ্গিতও হতে পারে। কিন্তু কোনও সমস্যা না থাকলে বুঝে নিন, প্রকৃতি আপনার আত্মিক বিকাশের পথ খুলে দিচ্ছে।

প্রায়ই দেখা যায়, রাত ৩টা বা ভোর ৪টের সময় অ্যালার্ম ছাড়াই হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায়। জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে, এই সময়টি ‘ব্রহ্ম মুহূর্ত’—যখন প্রকৃতি ও আধ্যাত্মিক শক্তি মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে। তাই এটি কোনও অশুভ লক্ষণ নয়, বরং শুভ শক্তির আহ্বান।

Leave a comment