হরিয়ানার পানিপথ জেলায় বাড়ির বাইরে সিসিটিভি লাগানোকে কেন্দ্র করে এক দম্পতিকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্তরা তাঁদের রাস্তায় টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়, লাথি মারে, ঘুষি মারে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। মারধরের সময় তাঁদের সোনার গয়নাও লুট করা হয়। পুলিশ এই ঘটনায় ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে।
Panipat: হরিয়ানার পানিপথ জেলার রিসালু গ্রামে ১৭ই অগাস্ট বাড়ির বাইরে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোকে কেন্দ্র করে মনীষা ও তাঁর স্বামী জগমোহনকে মারধর করা হয়। অভিযুক্তরা তাঁদের রাস্তায় টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়, লাথি, ঘুষি ও লাঠি দিয়ে মারে, গালিগালাজ করে এবং সোনার আংটি ছিনিয়ে নেয়। বিবাদটি জমি সংক্রান্ত এবং পূর্বে আদালতে বিচারাধীন ছিল। থানা সেক্টর-২৯ পুলিশ ৭ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে।
সিসিটিভি লাগানো নিয়ে বিবাদ
মনীষা পুলিশকে জানান যে ১৭ই অগাস্ট সকালে যখন তিনি ও তাঁর স্বামী বাড়িতে ছিলেন, তখন অভিযুক্তরা তাঁদের বাড়ির বাইরে এসে গালিগালাজ শুরু করে। অভিযুক্তরা হুমকি দেয় যে “যে ক্যামেরা লাগিয়েছিস, সেগুলি আমরা ভেঙে দেব।”
যখন দম্পতি শান্তভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেন, তখন অভিযুক্তরা তাঁদের ধরে রাস্তায় ফেলে দেয়। এই সময় अमन, গৌরব, সন্তরাম, বিমলা ও পুষ্পেন্দ্র লাথি, ঘুষি ও লাঠি দিয়ে মারধর করে। পুরো ঘটনাটি প্রতিবেশীর সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে, যা থেকে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হয়।
লুটপাট ও খুনের হুমকি
মনীষা জানান যে ঘটনার সময় তাঁর হাত থেকে সোনার আংটি জোর করে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। অভিযুক্তরা তাঁদের বাচ্চাদের মারার এবং মনীষাকে ধর্ষণের হুমকিও দেয়।
দম্পতির বক্তব্য, তাঁদের স্বামী জগমোহন একাই সম্পত্তির উত্তরাধিকারী এবং তাঁর কাকা ও জেঠু তাঁদের সম্পত্তি আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছেন। এই বিবাদ আগে থেকেই আদালতে বিচারাধীন এবং আদালত স্থগিতাদেশ জারি করেছে।
পুলিশের মামলা দায়ের ও তদন্ত শুরু
থানা সেক্টর-২৯ পুলিশ মনীষা ও জগমোহনের অভিযোগের ভিত্তিতে সাতজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ জানিয়েছে যে তারা এখন ঘটনায় জড়িত অন্যান্য সম্ভাব্য অভিযুক্তদের চিহ্নিতকরণ ও গ্রেপ্তারের দিকেও নজর দিচ্ছে।
এসএসপি জানান, পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত দম্পতির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।