প্রয়াগরাজে সহিংসতার ঘটনা: ৬০০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর, ৮৫ জন গ্রেপ্তার

প্রয়াগরাজে সহিংসতার ঘটনা: ৬০০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর, ৮৫ জন গ্রেপ্তার

প্রয়াগরাজের ভড়েওরা বাজারে হওয়া হিংসার পর পুলিশ ভীম আর্মি পদাধিকারী সহ ৬০০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। এখন পর্যন্ত ৮৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রামে ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।

Prayagraj Violence: প্রয়াগরাজের করছনা তহসিলের ভড়েওরা বাজারে হওয়া হিংসার ঘটনায় পুলিশ কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। এখন পর্যন্ত এই মামলায় ৮৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ গত দিন ১০ জন উপদ্রবকারীকে আটক করেছে। অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য লাগাতার অভিযান চালানো হচ্ছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ভিডিও এবং ছবিগুলির ভিত্তিতে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হচ্ছে।

কিভাবে শুরু হল বিবাদ

গত রবিবার আজাদ সমাজ পার্টির প্রধান এবং নগীনা-র সাংসদ চন্দ্রশেখর আজাদকে প্রয়াগরাজের ইসৌটা গ্রামে যেতে বাধা দেওয়া হয়। এরপর তাঁর সমর্থকেরা ভড়েওরা বাজারে ব্যাপক উপদ্রব চালায়। জনতা বেশ কয়েকটি যানবাহনকে লক্ষ্য করে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়। এই ঘটনার পর গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

৬০০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর

পুলিশ হিংসার ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে ভীম আর্মির তহসিল সভাপতি, সহ-সভাপতি সহ মোট ৫৪ জন নামী এবং ৫৫০ জনের বেশি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। এই এফআইআর-এ ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং শান্তিভঙ্গের গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে।

পুলিশের পদক্ষেপ এবং কঠোরতা

স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে এসওজি এবং সার্ভেলেন্স টিমও অভিযুক্তদের খোঁজে নেমেছে। পুলিশ হিংসায় জড়িত প্রত্যেক ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করছে। গ্রেফতারের প্রক্রিয়া জোরদার করা হয়েছে এবং এই অভিযান অবিরাম চলছে।

সাংসদ চন্দ্রশেখর আজাদের বক্তব্য

চন্দ্রশেখর আজাদ হিংসার ঘটনায় তাঁর বক্তব্য পেশ করে বলেছেন যে, তাঁর সমর্থকদের এই গোলমালের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি পুলিশের কাছে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এবং সতর্ক করেছেন যে, যদি তাঁর লোকেদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয় বা হয়রানি করা হয়, তাহলে লখনউ-তে বড় আন্দোলন করা হবে। এতে বিধানসভা এবং মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও করারও সম্ভাবনা রয়েছে।

এলাকায় ভারী পুলিশ বাহিনী মোতায়েন

বিবাদের পর করছনা এলাকা, বিশেষ করে ইসৌটা গ্রাম এবং আশেপাশের এলাকাগুলিতে ভারী পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ফ্ল্যাগ মার্চ সহ নিরন্তর নজরদারি রাখা হচ্ছে, যাতে পুনরায় কোনো প্রকার অশান্তি না ছড়াতে পারে। প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

Leave a comment