রাখি সাওয়ান্ত ও আদিল দুররানির বিবাদের অবসান: বম্বে হাইকোর্ট এফআইআর বাতিল করল

রাখি সাওয়ান্ত ও আদিল দুররানির বিবাদের অবসান: বম্বে হাইকোর্ট এফআইআর বাতিল করল
সর্বশেষ আপডেট: 4 ঘণ্টা আগে

বম্বে হাইকোর্ট বুধবার অভিনেত্রী রাখি सावंत এবং তাঁর প্রাক্তন স্বামী আদিল দুররানি একে অপরের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগগুলি খারিজ করে দিয়েছে। আদালত মামলাটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কারণ উভয় পক্ষই পারস্পরিক সম্মতিতে বিবাদ নিষ্পত্তি করেছে।

বিনোদন সংবাদ: বলিউড অভিনেত্রী রাখি सावंत এবং তাঁর প্রাক্তন স্বামী আদিল দুররানির মধ্যে চলমান বিতর্কের অবসান ঘটেছে। উভয়েই পারস্পরিক সম্মতিতে তাঁদের মতপার্থক্যগুলি মিটিয়ে নিয়েছেন এবং এই ভিত্তিতেই বম্বে হাইকোর্ট বুধবার দুজনের এফআইআর বাতিল করেছে। রাখি सावंत তাঁর প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে হুমকি, হয়রানি এবং অন্যান্য গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন। অন্যদিকে, আদিল দুররানি রাখির বিরুদ্ধে অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল করার এবং তাঁর সামাজিক সম্মান ক্ষুণ্ন করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন।

আদালতের রায় ও পারস্পরিক সমঝোতা

পিটিআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি রেবতী মোহিত ডেরে এবং সন্দেশ পাটিল মামলার শুনানির সময় বলেছেন, "পারস্পরিক সম্মতিতে হওয়া চুক্তিকে বিবেচনা করে, এফআইআর বিচারাধীন রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। এফআইআর এবং পরবর্তীতে দায়ের করা চার্জশিট বাতিল করা হলো।" আদালত এই রায়ে স্পষ্ট করেছে যে, বৈবাহিক বিবাদের কারণে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল এবং এখন উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়ে যাওয়ায় এটিকে বহাল রাখার প্রয়োজন নেই।

এই সময় রাখি सावंत এবং আদিল দুররানি উভয়েই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা আদালতকে জানান যে এফআইআর বাতিল করার বিষয়ে তাঁদের কোনো আপত্তি নেই। আদালতে উপস্থিত থাকাকালীন উভয়েই তাঁদের মতপার্থক্য শান্তিপূর্ণভাবে মীমাংসা করার আশ্বাসও দিয়েছেন। রাখি सावंत আদিলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি হুমকি, হয়রানি এবং অস্বাভাবিক যৌন সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ এনেছিলেন। অন্যদিকে, আদিল দুররানি রাখির বিরুদ্ধে অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল করার এবং তাঁর ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্থ করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন।

মামলার প্রেক্ষাপট

রাখি सावंत এবং আদিল দুররানির এই বিবাদ সোশ্যাল মিডিয়া এবং গণমাধ্যমের শিরোনামে ক্রমাগত ছিল। তাঁদের মধ্যে চলমান মতপার্থক্যের কারণে বেশ কিছু আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। তবে, উভয় পক্ষই পারস্পরিক আলোচনা এবং চুক্তির মাধ্যমে বিবাদ নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত নেয়। এই চুক্তির পর আদালত স্পষ্ট করে দেয় যে এফআইআর বাতিল করার বিষয়ে কোনো পক্ষই আপত্তি জানায়নি।

বম্বে হাইকোর্ট এই মামলায় এই বার্তাও দিয়েছে যে, বৈবাহিক ও ব্যক্তিগত বিবাদগুলি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করাই সর্বোত্তম উপায়। আদালত বলেছে যে, যখন উভয় পক্ষ পারস্পরিক সম্মতিতে সমঝোতা করে, তখন আইনি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না।

Leave a comment