দক্ষিণ আফ্রিকার দাপট: অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ওয়ানডে সিরিজে জয়

দক্ষিণ আফ্রিকার দাপট: অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ওয়ানডে সিরিজে জয়

অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে সিরিজে স্বাগতিক দল দুর্দান্ত পারফর্ম করে পরপর দ্বিতীয় ম্যাচও জিতে নিয়েছে। পরপর দুটি জয়ের সাথে দক্ষিণ আফ্রিকা কেবল সিরিজটি নিজেদের নামে করেনি, অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলকে হাঁটু গেড়ে বসিয়েছে।

স্পোর্টস নিউজ: অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে চলমান ওয়ানডে সিরিজে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা দুর্দান্ত পারফর্ম করে দ্বিতীয় ম্যাচটিও নিজেদের করে নিয়েছে। পরপর দুটি ম্যাচ জিতে তারা শুধু লিড নেয়নি, সিরিজও দখল করেছে। লক্ষণীয় বিষয় হল, উভয় ম্যাচেই দক্ষিণ আফ্রিকান দল প্রায় একতরফাভাবে জয়লাভ করেছে। তাদের বোলিং এবং ব্যাটিং, উভয় বিভাগেই অস্ট্রেলিয়ান দলকে পুরোপুরি চাপে দেখা গেছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং ২৭৭ রানে গুটিয়ে যায়

ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমে ব্যাট করে। দলটি পুরো ৫০ ওভারও খেলতে পারেনি এবং ৪৯.১ ওভারে ২৭৭ রান করে অলআউট হয়ে যায়। যদিও এই স্কোরটি দেখতে সামান্য মনে হচ্ছিল, তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা এটিকে জয়ে রূপান্তরিত করে দেখিয়েছেন। এই ম্যাচের নায়ক ছিলেন তরুণ ব্যাটসম্যান ম্যাথিউ ব্রীৎজকে (Matthew Breetzke)। তিনি ৭৮ বলে ৮৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। 

তাঁর ইনিংসে অসাধারণ টাইমিং এবং ক্লাস দেখা গেছে। ব্রীৎজকে এই ম্যাচের সময় বেশ কয়েকটি রেকর্ডও নিজের নামে করেন এবং দলকে সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছে দেন।

অস্ট্রেলিয়া ১৯৩ রানে অলআউট

২৭৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ান দল পুরোপুরি ভেঙে পড়ে। পুরো দল মাত্র ৩৭.৪ ওভারে ১৯৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যায়। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সবচেয়ে বড় ইনিংস খেলেন জশ ইংলিশ (Josh Inglis)। তিনি ৭৪ বলে ৮৭ রান করেন, তবে তাঁর লড়াই দলকে জেতাতে পারেনি। ইংলিশ ছাড়া আর কোনও ব্যাটসম্যান ৫০ রানের গণ্ডি পার করতে পারেননি। ক্যামেরন গ্রিন ৩৫ রান করে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন। এই পরিসংখ্যান স্পষ্ট করে দেয় যে বাকি ব্যাটসম্যানরা কতটা সংগ্রাম করছিলেন।

অস্ট্রেলিয়ার জন্য এই পরাজয় কেবল একটি ম্যাচের হার নয়, বরং ক্রমাগত খারাপ পারফরম্যান্সের ইঙ্গিত। গত আটটি ওয়ানডে ম্যাচে দলটি কেবল একটিতে জিতেছে। তাদের শেষ জয়টি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এসেছিল। তারপর থেকে দলটি ওয়ানডে ক্রিকেটে জয়ের জন্য হাহাকার করছে। দলের তারকা ব্যাটসম্যানরা ফ্লপ হচ্ছেন এবং বোলাররাও কার্যকর প্রমাণ হতে পারছেন না। 

Leave a comment