উত্তর প্রদেশ মহিলা আয়োগের অধ্যক্ষা ববিতা চৌহান সোমবার বালরামপুরের ছাঙ্গুর বাবার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। ছাঙ্গুর বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তিনি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মেয়েদের লক্ষ্য করে একটি 'রেট লিস্ট' তৈরি করেছিলেন এবং তাদের জোর করে ধর্মান্তরিত করেছিলেন। এই ঘটনাটি রাজ্যে তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভের কারণ হয়েছে। ববিতা চৌহান বলেছেন, যারা নিষ্পাপ মেয়েদের বিশ্বাস ভেঙে দেয় এবং তাদের সঙ্গে প্রতারণা করে, তারা সমাজের শত্রু এবং এমন অপরাধীদের কঠোরতম শাস্তি দেওয়া উচিত।
ববিতা চৌহানের কড়া বিবৃতি
মহিলা আয়োগের অধ্যক্ষা এই পুরো ঘটনাটিকে একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন যে আমাদের মেয়েরা জোরপূর্বক ধর্ম পরিবর্তনের বিষাক্ত চিন্তাভাবনার পরীক্ষাগার নয়। তিনি প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছেন, এমন অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হোক, যাতে সমাজে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে। তিনি বলেন, আমাদের মেয়েরা সুরক্ষিত থাকুক, এটাই আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। এই ঘটনাটি ধর্মান্তরকরণ এবং মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং মহিলাদের প্রতি আবেদন
ববিতা চৌহান মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে অবৈধ ধর্মান্তরকরণ বন্ধ করার জন্য তৈরি করা কঠোর আইনেরও প্রশংসা করেছেন। একই সঙ্গে তিনি সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তারা যেন এই সামাজিক কুফল এর বিরুদ্ধে তাদের নীরবতা ভেঙে দেন এবং একসঙ্গে আওয়াজ তোলেন। তিনি রাজ্যের সকল মহিলাদের প্রতি বিশেষ আবেদন জানিয়েছেন, তারা যেন একজোট হয়ে এ ধরনের ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন।
ছাঙ্গুর বাবা ও তার সহযোগীর গ্রেপ্তার
বালরামপুর জেলার মধপুর নিবাসী ছাঙ্গুর বাবা এবং তার সহযোগী নিতু ওরফে নাসরিনকে উত্তর প্রদেশ পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখা গ্রেপ্তার করেছে। ছাঙ্গুর বাবার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই আদালত জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি করেছে, যেখানে তার গ্রেপ্তারে ৫০ হাজার রুপির নগদ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। এই গ্রেপ্তারকে অবৈধ ধর্মান্তরকরণের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানে একটি বড় সাফল্য হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে সহায়ক হবে।