এমাসেই শেষ হচ্ছে উইন্ডোজ ১০-এর সিকিউরিটি আপডেট, ইউজারদের কী করণীয়?

এমাসেই শেষ হচ্ছে উইন্ডোজ ১০-এর সিকিউরিটি আপডেট, ইউজারদের কী করণীয়?

২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করা মাইক্রোসফটের জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ১০ এবার বিদায়ের পথে। ১৪ অক্টোবরের পর আর মিলবে না নিয়মিত সিকিউরিটি আপডেট বা সাপোর্ট। মাইক্রোসফটের ঘোষণা অনুযায়ী, এর পর থেকে ইউজারদের সিস্টেম সুরক্ষিত রাখতে বিকল্প পদক্ষেপ নিতে হবে।

বিদায়ের কাউন্টডাউন শুরু:

দীর্ঘ দশ বছর পর শেষ হতে চলেছে উইন্ডোজ ১০-এর সাপোর্ট সাইকেল। ২০১৫ সালে বাজারে আসা এই সিস্টেমটি উইন্ডোজ ৮.১-এর উত্তরসূরি হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল দ্রুত। কিন্তু প্রযুক্তি-জগতে পরিবর্তনের গতি তীব্র। সেই ধারাতেই এবার মাইক্রোসফট ঘোষণা করেছে—১৪ অক্টোবর, ২০২৫-এর পর থেকে আর উইন্ডোজ ১০-এর জন্য নিরাপত্তা আপডেট বা বাগ ফিক্স সরবরাহ করা হবে না।

কী বিকল্প থাকছে ইউজারদের হাতে:

এখন উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারকারীদের সামনে দুটি পথ খোলা। এক, নিজেদের পিসি বা ল্যাপটপে উইন্ডোজ ১১ ইনস্টল করা। দুই, ESU (Extended Security Update) নামে বিশেষ পরিষেবা কিনে আরও এক বছর সাপোর্ট চালিয়ে যাওয়া। এই পরিষেবার জন্য ব্যবহারকারীদের প্রতি বছর প্রায় ৩০ ডলার, অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় আনুমানিক ₹২,৫৫০ খরচ করতে হবে।

উইন্ডোজ ১০ বন্ধ হবে না, কিন্তু ঝুঁকি বাড়বে:

মাইক্রোসফট জানিয়েছে, সাপোর্ট বন্ধ হলেও উইন্ডোজ ১০ ব্যবহার চালিয়ে যাওয়া যাবে। তবে সিকিউরিটি আপডেট বন্ধ হয়ে গেলে হ্যাকিং ও ম্যালওয়্যারের ঝুঁকি বহুগুণে বেড়ে যাবে। অর্থাৎ, ইন্টারনেট ব্যবহার বা অনলাইন ট্রান্সঅ্যাকশনের ক্ষেত্রে ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।

সাশ্রয়ের চিন্তা ও নতুন হার্ডওয়্যারের সমস্যা:

অনেকেই আপগ্রেড করতে চান না কারণ উইন্ডোজ ১১ চালাতে আপডেটেড হার্ডওয়্যারের প্রয়োজন। ফলে পুরনো কম্পিউটারে নতুন ওএস চালানো প্রায় অসম্ভব। এই কারণেই অনেক ইউজার ESU পদ্ধতি বেছে নিয়ে কিছুটা সময় কিনে নিচ্ছেন, যতদিন না বাজারে নতুন হার্ডওয়্যার ও সিস্টেমের দাম কিছুটা কমে আসে।

মাইক্রোসফটের বার্তা:

মাইক্রোসফট জানিয়েছে, “আমরা চাই ব্যবহারকারীরা নিরাপদ ডিজিটাল অভিজ্ঞতা উপভোগ করুন। তাই যত দ্রুত সম্ভব উইন্ডোজ ১১ বা পরবর্তী সংস্করণে স্থানান্তর করাই শ্রেয়।” ২০২৫ সালের ১৫ অক্টোবর থেকে ২০২৬ সালের ১৩ অক্টোবর পর্যন্তই ESU পরিষেবা চালু থাকবে।

১৪ অক্টোবরের পর থেকে বন্ধ হচ্ছে উইন্ডোজ ১০-এর সিকিউরিটি আপডেট। মাইক্রোসফট জানিয়েছে, ইউজারদের এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে—উইন্ডোজ ১১-এ আপগ্রেড করবেন, না কি টাকা দিয়ে বাড়াবেন ESU সাপোর্ট।

Leave a comment