আজমিরে প্রাক্তন কংগ্রেস কাউন্সিলর মুন্নাওয়ার খান কায়মখানি অসুস্থতায় অতিষ্ঠ হয়ে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং পরিবারের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করছে।
আজমির: রাজস্থানের আজমির শহরে বুধবার সন্ধ্যায় একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, যখন প্রাক্তন মনোনীত কাউন্সিলর মুন্নাওয়ার খান কায়মখানি (৫০) ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে, যেখানে তিনি নিজের মৃত্যুর জন্য নিজেকেই দায়ী করেছেন এবং অসুস্থতাকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। পুলিশ মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে।
ঘটনার খবর পেয়ে আলোয়ার গেট থানার দল সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে। মৃতের কাছ থেকে সুইসাইড নোট এবং ব্যক্তিগত নথি উদ্ধার করা হয়েছে, যা জব্দ করে পরবর্তী তদন্তের জন্য রাখা হয়েছে।
আলোয়ারে রেলস্টেশনের কাছে দুর্ঘটনা
ঘটনাটি গুলাব বাডি় ফটকের কাছে ঘটেছে, যেখানে রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার থানাকে জানান যে একজন ব্যক্তি ট্রেনের নিচে পড়েছেন। আলোয়ার গেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নরেন্দ্র জাখর এবং তার দল অবিলম্বে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্থানীয়দের মতে, মুন্নাওয়ার খান দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগছিলেন। দুর্ঘটনার আওয়াজ শুনে আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন, কিন্তু কেউই তাকে বাঁচাতে পারেননি। আহত ব্যক্তিটিকে দ্রুত মৃত বলে শনাক্ত করা হয়।
সুইসাইড নোটে লেখা মৃত্যুর কারণ
মুন্নাওয়ার খানের কাছ থেকে পাওয়া সুইসাইড নোটে তিনি লিখেছেন যে তিনি তার অসুস্থতায় অতিষ্ঠ এবং তার মৃত্যুর জন্য কেবল তিনিই দায়ী। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে কাউকে যেন বিরক্ত করা না হয়। পুলিশ এই নোটটি জব্দ করে আত্মহত্যার কারণ নিশ্চিত করার জন্য তদন্ত শুরু করেছে।
সুইসাইড নোটের সাথে মৃতের ব্যক্তিগত নথিও উদ্ধার করা হয়েছে, যার মাধ্যমে পুলিশ তার স্বাস্থ্য ও মানসিক অবস্থা বোঝার চেষ্টা করছে।
আজমিরের প্রাক্তন কাউন্সিলর মুন্নাওয়ার খান
মুন্নাওয়ার খান কায়মখানি আজমির শহরের আলোয়ার গেট এলাকার মনোনীত কাউন্সিলর ছিলেন। তিনি কংগ্রেস পার্টির সাথে যুক্ত ছিলেন এবং স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। পরিবার ও পরিচিতদের মতে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছিলেন এবং মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত ছিলেন।
ঘটনার খবর পেয়ে পরিবার ও ঘনিষ্ঠজনরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান, যার ফলে পরিবেশ আরও শোকাহত হয়ে ওঠে। পুলিশ মরদেহ জেএলএন হাসপাতালের মর্গে রেখেছে, যেখানে ময়নাতদন্তের পর তা পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
পুলিশের তদন্ত কার্যক্রম
আলোয়ার গেট থানা পুলিশের মতে, প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে হচ্ছে। পুলিশ মৃতের অসুস্থতা, পরিবারের বক্তব্য এবং ঘটনাস্থল থেকে প্রাপ্ত প্রমাণের ভিত্তিতে তদন্ত করছে।
একই সাথে, এটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে যে তিনি কোনো বাহ্যিক চাপ বা অন্য কোনো কারণে এই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন কিনা। পুলিশ জানিয়েছে যে সমস্ত দিক পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্তের পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো হবে।