শ্রীরাম জন্মভূমি অযোধ্যা থেকে ভগবান রামের শ্বশুরবাড়ি জনকপুর (নেপাল) পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন পরিষেবা শুরু করার প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। উত্তর রেলওয়ে এবং উত্তর-পূর্ব রেলওয়ে প্রশাসন এর জন্য প্রাথমিক সময়সূচি তৈরি করেছে। তথ্য অনুসারে, এই ট্রেনটি গোরখপুর হয়ে দরভাঙ্গা রুটে চলবে।
Ayodhya to Janakpur Train Service: অযোধ্যা এবং জনকপুর, দুটি পবিত্র স্থান যা ভগবান শ্রীরাম এবং মাতা সীতার অনন্ত কাহিনীর সাথে সম্পর্কিত। এখন এই দুটি ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্থানকে যুক্ত করতে ভারত ও নেপালের মধ্যে নতুন ট্রেন পরিষেবা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর রেলওয়ে (NR) এবং উত্তর-পূর্ব রেলওয়ে (NER) মিলিতভাবে এই ট্রেনের সময়সূচি তৈরি করে রেলওয়ে বোর্ডে পাঠিয়েছে। রেলওয়ে সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই ট্রেন পরিষেবা ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের মধ্যে শুরু হতে পারে।
অযোধ্যা-জনকপুর ট্রেন পরিষেবা কেন বিশেষ?
শ্রীরাম জন্মভূমি অযোধ্যা এবং জনকপুর ধামের গভীর ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক তাৎপর্য রয়েছে।
- অযোধ্যা ভগবান রামের জন্মস্থান।
- জনকপুর (নেপাল) মাতা সীতার পিতৃগৃহ এবং বিবাহস্থল।
দুটি স্থানকে সরাসরি সংযোগকারী এই ট্রেন পরিষেবা শুধুমাত্র ধর্মীয় পর্যটনকে উৎসাহিত করবে না, ভারত-নেপালের সম্পর্ককেও আরও দৃঢ় করবে।
ট্রেনের রুট ও স্টেশন
- এই ট্রেনটি ২২টি কোচ নিয়ে গঠিত হবে, যেখানে যাত্রীদের সকল শ্রেণির সুবিধার প্রতি খেয়াল রাখা হবে।
- কোচ ক্যাটাগরি: ফার্স্ট এসি, সেকেন্ড এসি, থার্ড এসি, স্লিপার ও জেনারেল।
- যাত্রাপথ: অযোধ্যা → গোরখপুর → নরকাটিয়াগঞ্জ (বিহার) → রক্সৌল → সীতামঢ়ী → দরভাঙ্গা → জয়নগর → জনকপুর রোড → জনকপুর ধাম।
এই পথটি কেবল উত্তর প্রদেশ ও বিহারের প্রধান শহরগুলোকে যুক্ত করবে না, নেপালের ধর্মীয় স্থানগুলোতেও সরাসরি যাওয়া যাবে।
পরিকল্পনা কেন বিলম্বিত হয়েছিল?
ফেব্রুয়ারি ২০২৪-এ রেলওয়ে বোর্ড এই প্রকল্পটিকে সবুজ সংকেত দিয়েছিল এবং সময়সূচি তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুসারে, অযোধ্যা থেকে গোরখপুর হয়ে জনকপুর ধাম পর্যন্ত ট্রেন পরিষেবা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কিছু অনিবার্য কারণ ও প্রশাসনিক বিলম্বের কারণে এই পরিকল্পনা মাঝপথে থেমে গিয়েছিল। এখন আবারও এর উপর দ্রুত কাজ শুরু হয়েছে এবং কেন্দ্র সরকার নেপাল সরকারের সাথে চূড়ান্ত আলোচনা করছে।
ভারত ও নেপালের মধ্যে ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক বহু শতাব্দীর পুরোনো। আগে থেকেই অযোধ্যা ও জনকপুরকে যুক্ত করার জন্য রামায়ণ সার্কিট প্রকল্পের কাজ চলছে। নতুন ট্রেন পরিষেবা এই প্রকল্পকে আরও গতি দেবে। এটি উভয় দেশের মধ্যে পর্যটন, বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানকেও জোরদার করবে।