রাজস্থানের ভরতপুর জেলার ডিগ তহসিলের অন্তর্গত বহজ গ্রামে ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (ASI)-এর খননকার্যের ফলে ঐতিহাসিক আবিষ্কার সামনে এসেছে। খননকালে মহাভারত, মৌর্য এবং শুঙ্গ যুগ সম্পর্কিত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অবশেষ পাওয়া গেছে, যার মধ্যে মাটির পাত্র, ধাতব অস্ত্র, প্রাচীন মূর্তি এবং একটি মানব কঙ্কাল অন্তর্ভুক্ত। এই আবিষ্কার অঞ্চলটির ঐতিহাসিক সমৃদ্ধি এবং প্রাচীন সভ্যতার উপস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে।
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ মানব কঙ্কালটিকে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার জন্য ইজরায়েলে পাঠিয়েছে, যেখানে অন্যান্য অবশেষগুলি জয়পুরের পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা হচ্ছে। কিছু শিল্পকর্ম ডিগ জল মহল সংগ্রহশালায় প্রদর্শন করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বহজ গ্রাম মহাভারত কাল থেকে শুরু করে মৌর্য এবং শুঙ্গ যুগ পর্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছিল। খননকার্য এখনো চলছে এবং প্রত্নতত্ত্ববিদরা এখানে আরও গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক তথ্য পাওয়ার আশা করছেন।
বৈজ্ঞানিক তদন্তে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ
রাজস্থানের ভরতপুর জেলার বহজ গ্রামে ইতিহাস সম্পর্কিত একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার সামনে এসেছে। জানুয়ারি 2025 থেকে কেন্দ্র সরকারের অনুমোদনের পর এখানে শুরু হওয়া প্রত্নতাত্ত্বিক খননে মহাভারত, মৌর্য এবং শুঙ্গ যুগ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ অবশেষ পাওয়া গেছে। রাজস্থান রাজ্য প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের মতে, খননকালে মাটির প্রাচীন পাত্র, ধাতব অস্ত্র, ধর্মীয় মূর্তি এবং একটি নরকঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে, যা এই অঞ্চলটিকে একটি প্রাচীন সভ্যতার কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করছে।
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধিকর্তা ড. বিনয় গুপ্তা জানিয়েছেন, কিছু মূর্তি এবং প্রমাণ অধ্যয়নের জন্য জয়পুরে পাঠানো হয়েছে, যেখানে অন্যান্যগুলি ডিগ জল মহল সংগ্রহশালায় প্রদর্শিত হয়েছে। খননে পাওয়া নরকঙ্কাল বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার জন্য ইজরায়েলে পাঠানো হয়েছে, যাতে তার বয়স এবং সভ্যতার সময়সীমার সঠিক বিশ্লেষণ করা যায়। বহজ গ্রাম উত্তর প্রদেশের মথুরা সীমান্ত সংলগ্ন এবং ব্রজের 84 ক্রোশ পরিক্রমার অংশ, যা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের লীলার সঙ্গে যুক্ত। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই খননকার্য অঞ্চলের ঐতিহাসিক স্তর উন্মোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।