মার্কিন ট্রেজারি সচিব স্কট বেসেন্ট আবার सुर्खियोंে। ওয়াশিংটন ডিসি-তে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়রের ক্লাবে আয়োজিত একটি ডিনার পার্টিতে তিনি ফেডারেল হাউজিং ফাইন্যান্স এজেন্সির চেয়ারম্যান বিল পুলতের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন এবং মারধর ও হুমকির পর্যন্ত দিয়েছিলেন।
US News: আমেরিকার ট্রেজারি সচিব স্কট বেসেন্ট আবারও খবরের শিরোনামে চলে এসেছেন। ওয়াশিংটন ডিসি-তে আয়োজিত একটি ডিনার পার্টির সময় হঠাৎ করেই ফেডারেল হাউজিং ফাইন্যান্স এজেন্সির চেয়ারম্যান বিল পুলতের উপর তাঁর রাগ ফেটে পড়ে। এই পার্টিটি ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়রের বিলাসবহুল ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বেসেন্ট পুলতের উপর নজর পড়তে না পড়তেই, তিনি নিজের নিয়ন্ত্রণ হারান এবং একটি তীব্র তর্ক শুরু হয়ে যায়।
"আপনি রাষ্ট্রপতির কাছে আমার সম্পর্কে কী বলেছিলেন?"
প্রতিবেদন অনুসারে, পুলতের উপর নজর পড়ার সাথে সাথেই বেসেন্ট প্রশ্ন করেন যে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে তাঁর সম্পর্কে কী বলেছিলেন। এরপর তিনি পুলতেকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করেন। রাগান্বিত হয়ে বেসেন্ট হুমকি দিয়ে বলেন, "আমি তোমার মুখে ঘুষি মারব এবং তোমার মুখ ভেঙে দেব।" তাঁর এই কথায় পরিবেশ উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে এবং ডিনারে উপস্থিত অতিথিরা হতবাক হয়ে যান।
আল্টিমেটাম এবং হুমকি
বেসেন্ট এখানেই ঝগড়া থামাননি। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন যে হয় পুলতে পার্টিতে থাকবেন, নয়তো তিনি নিজে থাকবেন। এই সময়, তিনি ক্লাবের অংশীদার উমিদ মালিকের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন যে এখন আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কাকে বাইরে যেতে হবে। বেসেন্ট এমনকি বলেন যে তারা দুজনেই বাইরে গিয়ে কথা বলতে পারেন, কিন্তু তাঁর আসল উদ্দেশ্য ছিল পুলতের সাথে ঝগড়া করা।
পুলতে জিজ্ঞাসা করলেন – "কথা বলতে চান?"
এই পুরো ঘটনার মধ্যে, পুলতে যখন জিজ্ঞাসা করলেন যে বাইরে গিয়ে কথা বলতে চান কিনা, তখন বেসেন্ট সরাসরি উত্তর দেন – "না, আমি তোমাকে মারব।" এই কথা শুনে সেখানে উপস্থিত সকলেই হতবাক হয়ে যান। পার্টির পরিবেশ সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল এবং পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছিল।
পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে ক্লাবের অংশীদার উমিদ মালিক দ্রুত হস্তক্ষেপ করেন। তিনি বেসেন্টকে ক্লাবের অন্য অংশে নিয়ে গিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করেন। তাঁর প্রচেষ্টায় পরিবেশ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে, তবে ঘটনাটি পার্টির উজ্জ্বলতাকে ম্লান করে দেয়।
এলন মাস্কের সাথেও বিবাদে জড়িয়েছেন বেসেন্ট
স্কট বেসেন্ট প্রথমবার কোনও বিতর্কে জড়াননি। এর আগে হোয়াইট হাউসে তাঁর বিখ্যাত শিল্পপতি এলন মাস্কের সাথেও ঝগড়া হয়েছিল। সেবারও পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়েছিল যে দুজনের মধ্যে হাতাহাতির উপক্রম হয়েছিল। এই ঘটনা বেসেন্টের ভাবমূর্তিকে একজন "ফাইটিং সেক্রেটারি" হিসাবে তুলে ধরেছে।
কেন বারবার বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছেন বেসেন্ট?
বিশ্লেষকদের মতে, বেসেন্টের স্বভাব অত্যন্ত আক্রমণাত্মক। তিনি প্রায়শই কোনও বিষয়ে অত্যন্ত তীক্ষ্ণভাবে প্রতিক্রিয়া জানান। সরকারি মহলে মনে করা হয় যে তাঁর রাগ প্রায়শই নীতিগত আলোচনার চেয়ে ব্যক্তিগত স্তরে বেশি জ্বলে ওঠে। এই কারণেই তিনি প্রায়শই জনসমক্ষেও শিরোনামে চলে আসেন।
স্কট বেসেন্টের এই আচরণ ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের জন্যও মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। একদিকে ট্রাম্প ২০২৪ সালের নির্বাচনী কৌশল নিয়ে কাজ করছেন, অন্যদিকে তাঁর সচিবের এই কাজগুলি বারবার আলোচনার বিষয় হয়ে উঠছে। এতে বিরোধীরা সরকারের সমালোচনা করার সুযোগ পাচ্ছে।