ভীলওয়ারা NH-158-এ ভয়াবহ দুর্ঘটনা: ট্রেলার-গাড়ির সংঘর্ষে দম্পতি নিহত, আহত ৩

ভীলওয়ারা NH-158-এ ভয়াবহ দুর্ঘটনা: ট্রেলার-গাড়ির সংঘর্ষে দম্পতি নিহত, আহত ৩
সর্বশেষ আপডেট: 8 ঘণ্টা আগে

ভীলওয়ারার NH-158-এ ট্রেলারের সঙ্গে গাড়ির সংঘর্ষে এক দম্পতির মৃত্যু হয়েছে, যদিও তাঁদের ছেলে, মেয়ে এবং পুত্রবধূ গুরুতর আহত। দুর্ঘটনায় গাড়িটি সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ভীলওয়ারা: জেলার আসিন্দ এলাকায় বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল হাইওয়ে-158-এ একটি ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। পালরি গ্রামের কাছে একটি ট্রেলার একটি গাড়িকে ধাক্কা দেয়, যার ফলে গাড়িটি সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুর্ঘটনায় গাড়ির আরোহী গৌতম কাওয়াডিয়া এবং তাঁর স্ত্রী বরুণা দেবী জৈন ঘটনাস্থলেই মারা যান।

এই ঘটনায় দম্পতির সঙ্গে তাঁদের মেয়ে জানভি, ছেলে ঋষভ এবং পুত্রবধূ গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের প্রথমে আসিন্দ সিএইচসিতে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের ভীলওয়ারা মহাত্মা গান্ধী হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

আহতদের চিকিৎসা হাসপাতালে চলছে

আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানানো হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মেয়ে জানভি, ছেলে ঋষভ এবং পুত্রবধূর চিকিৎসা চলছে এবং চিকিৎসকদের দল তাঁদের ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ ও চিকিৎসায় নিয়োজিত রয়েছে।

ঘটনার পরপরই আসিন্দ পুলিশ এবং স্থানীয়রা ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে। মৃত দম্পতির মৃতদেহ আসিন্দ সিএইচসি-এর মর্গে রাখা হয়েছে। পুলিশ দুর্ঘটনার পর কিছু সময়ের জন্য হাইওয়েতে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল এবং বর্তমানে রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

দুর্ঘটনায় পরিবার শোকাহত

মৃত গৌতম কাওয়াডিয়া আসিন্দ-এর মূল নিবাসী ছিলেন এবং সম্প্রতি ভীলওয়ারায় বসবাস করছিলেন। তিনি এবং তাঁর স্ত্রী চা পাতার একজন সুপরিচিত পাইকারি ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁদের পরিবার জৈন সম্প্রদায়ে সুপরিচিত ছিল।

এই দুর্ঘটনায় জৈন সমাজ সহ পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয় লোকজন এবং ব্যবসায়ী সম্প্রদায় ঘটনার গুরুত্ব নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করছেন।

আসিন্দ দুর্ঘটনার পুলিশি তদন্ত চলছে

আসিন্দ-এর ডেপুটি পুলিশ অফিসার ওমপ্রকাশ জানিয়েছেন যে, দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ জানতে ট্রেলার চালক এবং গাড়ির প্রযুক্তিগত পরীক্ষা করা হচ্ছে।

পুলিশ জানিয়েছে যে, NH-158-এর এই ঘটনা সড়ক নিরাপত্তা এবং যানবাহন নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরে। ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধ করতে সড়ক পথে অতিরিক্ত নজরদারি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a comment