বিজনোরের নাগিনা শহরে শাজিয়ার সন্দেহজনক মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যরা স্বামীর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনেছে। পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে এবং অভিযুক্ত স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
বিজনোর নিউজ: উত্তরপ্রদেশের বিজনোর জেলায় শাজিয়ার সন্দেহজনক পরিস্থিতিতে মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যরা তার স্বামীর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনেছে। প্রথমে অসুস্থতা বলে কবর দেওয়া মৃতদেহকে পরিবারের সন্দেহের পর কবর থেকে তুলে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে এবং ঘটনার গভীর তদন্তে নেমেছে।
বিজনোরের ছিপ্পি পাড়া মহল্লার শাজিয়ার বিয়ে আট বছর আগে নোগাঁও নিবাসী আজহারউদ্দিনের সাথে হয়েছিল। পরিবারের অভিযোগ, আজহারউদ্দিনের অন্য এক মহিলার সাথে সম্পর্ক ছিল, যার কারণে দম্পতির মধ্যে লাগাতার ঝগড়া হতো।
শাজিয়ার বাপের বাড়ির লোকেদের বক্তব্য যে, এই বিবাদের জেরে ১লা সেপ্টেম্বর তার স্বামী কথিতভাবে শাজিয়াকে হত্যা করেছে। পরিবার জানিয়েছে যে এই বিবাদ দীর্ঘকাল ধরে চলছিল এবং ঘটনাটি চরম সীমায় পৌঁছে গিয়েছিল।
হত্যাকে অসুস্থতার রূপ দেওয়ার অভিযোগ
পরিবার অভিযোগ করেছে যে আজহারউদ্দিন শাজিয়ার মৃত্যুকে অসুস্থতাজনিত বলে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়েছিল যে তার স্বাস্থ্য হঠাৎ খারাপ হয়ে গিয়েছিল এবং এই কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।
কোনো সন্দেহ না করে পরিবারের সদস্যরা মৃতদেহটি নাগিনায় নিয়ে গিয়ে কবর দিয়েছিল। যদিও, কিছু দিন পর প্রতিবেশীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয় যে শাজিয়ার মৃত্যু স্বাভাবিক নয় বরং সন্দেহজনক পরিস্থিতিতে হয়েছে।
কবর থেকে মৃতদেহ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে
পরিবারের অভিযোগের পর পুলিশ মৃতদেহটি কবর থেকে তোলার অনুমতি দেয়। শুক্রবার পুলিশের উপস্থিতিতে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়দের সামনে শাজিয়ার মৃতদেহ কবর থেকে তোলা হয়।
মৃতদেহটি সিল করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
অভিযুক্ত স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ ও পুলিশি তদন্ত
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী আজহারউদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। একই সাথে পরিবারের অভিযোগগুলি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।
শাজিয়ার মৃত্যু এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। পরিবারের সদস্যরা ন্যায়বিচার চাইছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার আশা করছে। পুলিশ ঘটনার নিরপেক্ষ ও গভীর তদন্তে নেমেছে।