বার্ড ফ্লু আতঙ্কে দেরাদুনে ডিমের ব্যবসায় ধস, বিক্রি অর্ধেকে

বার্ড ফ্লু আতঙ্কে দেরাদুনে ডিমের ব্যবসায় ধস, বিক্রি অর্ধেকে

বার্ড ফ্লু-র আশঙ্কায় দেরাদুনে ডিমের ব্যবসা প্রায় অর্ধেক হয়ে গেছে। মানুষ এখন ডিম ও মুরগি কেনা অনেক কমিয়ে দিয়েছে। যদিও, শহরে এর দামের উপর কোনো প্রভাব পড়েনি, কারণ চাহিদা কম হওয়া সত্ত্বেও নিষেধাজ্ঞার কারণে সরবরাহও কমে গেছে।

দেরাদুন: উত্তরাখণ্ডে বার্ড ফ্লু (Bird Flu / Avian Influenza)-র খবরে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ উভয়ের মধ্যেই উদ্বেগ বেড়েছে। বিশেষ করে ডিম ও মুরগির ব্যবসার উপর এর প্রভাব দ্রুত দেখা যাচ্ছে। সুরক্ষার ভয়ে মানুষ এই পণ্যগুলির কেনাকাটা কমিয়ে দিয়েছে, যার ফলে দেরাদুন এবং আশেপাশের এলাকাগুলোতে ডিম ও মাংসের বিক্রি কমে গেছে।

ডিম ও মুরগির ব্যবসা অর্ধেক হয়ে গেছে

দেরাদুনে ডিমের সরবরাহ মূলত বাইরের রাজ্যগুলো থেকে হয়। আগে এখানে প্রতিদিন প্রায় ৮,০০০ থেকে ১০,০০০ ট্রে ডিম আসত, কিন্তু বার্ড ফ্লু-র ঝুঁকির পরে এই সংখ্যা কমে ৪,০০০ থেকে ৫,০০০ ট্রেতে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় ডিম ব্যবসায়ী সঞ্জয় চৌহান জানান, আমাদের শহরে আগে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ হাজার ট্রে ডিমের সরবরাহ ছিল। এখন বার্ড ফ্লু-র খবরের পরে সরবরাহ প্রায় অর্ধেক হয়ে গেছে।

মুরগির ব্যবসায়ও একই রকম মন্দা দেখা যাচ্ছে। মানুষ স্বাস্থ্য নিয়ে সতর্ক হয়ে গেছে এবং বাজারে চাহিদা কমে গেছে। যদিও ডিম ও মুরগির চাহিদা কমে গেছে, তবুও শহরে দামের উপর কোনো বড় প্রভাব দেখা যায়নি। এর কারণ হল নিষেধাজ্ঞার কারণে সরবরাহও কমে গেছে, যার ফলে সরবরাহ এবং চাহিদার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রয়েছে।

ভোক্তাদের মধ্যে উদ্বেগ

বার্ড ফ্লু নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয় বেড়ে গেছে। মানুষ স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন হয়ে ডিম ও মুরগি কেনা কমিয়ে দিচ্ছে। এই পদক্ষেপ সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে নেওয়া হয়েছে, কিন্তু এতে ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। একজন স্থানীয় গ্রাহক জানান, আমরা গত কয়েকদিন ধরে ডিম ও মুরগি কেনা কমিয়ে দিয়েছি। বার্ড ফ্লু-র ঝুঁকি দেখে সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি।

উত্তরাখণ্ডের সীমান্তবর্তী উত্তর প্রদেশেও বার্ড ফ্লু মানুষের উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে। সেখানেও ডিম ও মুরগির সরবরাহ প্রভাবিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে ডিম ও মুরগি কেনাকাটা কমিয়ে দেওয়া সংক্রমণ ছড়ানো থেকে আটকাতে সাহায্য করতে পারে, তবে ব্যবসায়ীদের জন্য এটি একটি কঠিন পরিস্থিতি।

Leave a comment