স্বাহা দেবীকে হিন্দুধর্মে অগ্নিদেবের স্ত্রী এবং প্রতিটি যজ্ঞ-হবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে ‘স্বাহা’ উচ্চারণ না করে কোনও মন্ত্র বা আহুতি দেবতাদের কাছে পৌঁছায় না। তাই তাঁকে মানুষ ও দেবতাদের মধ্যে সেতু মনে করে পূজা করা হয়।
Swaha Devi: হিন্দুধর্মে স্বাহা দেবীর গুরুত্ব অত্যন্ত বিশেষ। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, তিনি অগ্নিদেবের স্ত্রী এবং যজ্ঞ-হবনে তাঁর উপস্থিতি বাধ্যতামূলক বলে মনে করা হয়। ‘স্বাহা’ উচ্চারণ ছাড়া মন্ত্রও সম্পূর্ণ হয় না এবং আহুতিও দেবতাদের কাছে পৌঁছায় না। এই কারণেই প্রতিটি বৈদিক অনুষ্ঠানে দেবী স্বাহাকে আহ্বান করে তাঁকে মানুষ ও দেবতাদের মধ্যে সেতু হিসাবে পূজা করা হয়।
প্রতিটি মন্ত্র এবং আহুতিকে পূর্ণতা দানকারী ঐশ্বরিক শক্তি
হিন্দুধর্মে প্রতিটি দেব-দেবীর নিজস্ব বিশেষ ভূমিকা এবং গুরুত্ব রয়েছে। যেমন পূজার মন্ত্র ছাড়া অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়, তেমনই हवन এবং যজ্ঞও স্বাহা উচ্চারণ ছাড়া অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে স্বাহা দেবী অগ্নিদেবের স্ত্রী এবং তাঁর নাম ছাড়া অগ্নিকর্ম अधूरा থেকে যায়। এই কারণেই প্রতিটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে, বিশেষ করে যজ্ঞ এবং হবনে, “স্বাহা” শব্দটি উচ্চারণ করা বাধ্যতামূলক বলে মনে করা হয়।
পৌরাণিক কাহিনীতে স্বাহা দেবীর উল্লেখ
ভারতীয় পুরাণ এবং বৈদিক গ্রন্থে স্বাহা দেবীর গুরুত্ব বিস্তারিতভাবে বলা হয়েছে। তাঁকে অগ্নিদেবের স্ত্রী হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং তাঁর নাম প্রতিটি যজ্ঞ এবং হবনের সাথে জড়িত। সংস্কৃতে ‘স্বাহা’ দুটি শব্দ দিয়ে গঠিত—‘সু’ (ভালো/ভালভাবে) এবং ‘আহ’ (আহ্বান করা/পৌঁছানো)। এর আক্ষরিক অর্থ হল “ভালভাবে পৌঁছানো হয়েছে”। এটি दर्शाता है যে আগুনে দেওয়া আহুতি সঠিকভাবে দেবতাদের কাছে পৌঁছে গেছে। কিছু কাহিনীতে দেবী স্বাহাকে দক্ষ প্রজাপতির কন্যা বলা হয়েছে, আবার অন্য কাহিনীতে তাঁকে অগ্নি তত্ত্বের শক্তি হিসাবে माना হয়।
কেন ‘স্বাহা’ উচ্চারণ করা জরুরি?
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, যজ্ঞ এবং হবনে ‘স্বাহা’ বলা কেবল ঐতিহ্য নয়, বাধ্যতামূলক। মনে করা হয় যে স্বাহা দেবীই সেই ঐশ্বরিক শক্তি যিনি আহুতিকে দেবতাদের কাছে সঠিক রূপে পৌঁছে দেন। इसीलिए बिना তাঁর আহ্বান ছাড়া কোনও মন্ত্র, যজ্ঞ বা हवन ফলদায়ক বলে মনে করা হয় না।
বৈদিক काल से जुड़ी मान्यता
- দেবতাদের भोजन: वैदिक काल में यज्ञ को देवताओं को भोजन अर्पित करने का तरीका माना जाता था। मंत्रों के साथ “स्वाहा” कहकर दी गई आहुति सीधे उस देवता तक पहुंचती थी।
- মন্ত্রের পূর্ণতা: প্রতিটি মন্ত্রের শেষে ‘স্বাহা’ উচ্চারণ করলে মন্ত্র শক্তি পায় এবং তা দেবতাদের জন্য গ্রহণযোগ্য হয়।
- অগ্নিদেবের আশীর্বাদ: যেহেতু স্বাহা দেবী অগ্নিদেবের স্ত্রী, তাই তাঁর নাম নিয়ে আহুতি দিলে অগ্নিদেবও प्रसन्न হন এবং অনুষ্ঠান सफल হয়।
আধ্যাত্মিক এবং वैज्ञानिक महत्व
पौराणिक मान्यताओं से परे ‘स्वाहा’ का आध्यात्मिक और मनोवैज्ञानिक महत्व भी है। जब कोई व्यक्ति ‘स्वाहा’ का उच्चारण करता है, तो वह अहंकार त्यागकर यह स्वीकार करता है कि उसकी हर आहुति किसी उच्च शक्ति को समर्पित है। यही कारण है कि देवी स्वाहा को मानव और देवताओं के बीच सेतु माना जाता है और उनके बिना यज्ञ का पवित्र कार्य अधूरा समझा जाता है।