ছত্তিশগড়ের কাঙ্কের জেলায় একটি চিতাবাঘ লোকালয়ে ঢুকে একটি বাড়িতে ঘুমন্ত পোষা কুকুরকে শিকার করে নিয়ে গেছে। এই ভয়ঙ্কর ঘটনাটি রবিবার রাতের এবং সিসিটিভিতে ধরা পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে এবং বন বিভাগ সতর্ক হয়েছে।
Kanker: জুনওয়ানি গ্রামে রবিবার রাতে একটি চিতাবাঘ লোকালয়ে প্রবেশ করে এবং একটি বাড়িতে ঘুমন্ত পোষা কুকুরকে ধরে জঙ্গলের দিকে নিয়ে যায়। এই ঘটনাটি বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। গ্রামবাসীরা তৎক্ষণাৎ বন বিভাগকে খবর দেয়, এরপর কর্মকর্তারা এলাকায় সতর্কতা বাড়িয়ে দেন। এই হামলায় গ্রামে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে এবং মানুষজন ঘর থেকে বের হতেও ভয় পাচ্ছে।
চিতাবাঘের ঘরে ঢুকে কুকুরের উপর হামলা
ঘটনাটি রবিবার রাতের। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় যে চিতাবাঘটি বাউন্ডারিওয়াল টপকে বাড়ির উঠোনে প্রবেশ করে। সেখানে সে বাঁধা পোষা কুকুরের উপর হামলা করে এবং তাকে তার চোয়ালে চেপে ধরে জঙ্গলের দিকে নিয়ে যায়।
পুরো হামলাটি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ঘটে যায়, যার কারণে বাড়ির লোকেরা কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়ার সুযোগ পায়নি। সকালে যখন পরিবারটি সিসিটিভি ফুটেজ দেখে, তখন ভয়াবহ দৃশ্য দেখে তারা হতবাক হয়ে যায়।
গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ
এই ঘটনার পর জুনওয়ানি এবং আশেপাশের এলাকাগুলোতে গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। রাতে বাড়ি থেকে বের হওয়াও এখন মানুষের জন্য বিপজ্জনক বলে মনে করা হচ্ছে।
গ্রামবাসীরা জানান যে এই চিতাবাঘটিকে আগেও গ্রামের আশেপাশে দেখা গিয়েছিল, কিন্তু লোকালয়ে সরাসরি হামলা এই প্রথম। এই ধরনের হামলায় গ্রামবাসীদের নিরাপত্তা উদ্বেগ আরও বেড়েছে।
বন বিভাগের নিরাপত্তা বৃদ্ধি
ঘটনার খবর পেয়ে গ্রামবাসীরা বন বিভাগের টিমকে খবর দেয়। টিম তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছে চিতাবাঘের গতিবিধির উপর নজর রাখার জন্য এলাকায় নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেয়।
কাঙ্কের জেলা সদর পাহাড় এবং ঘন জঙ্গলে ঘেরা, যেখানে বন্য প্রাণীদের উপস্থিতি স্বাভাবিক। বন বিভাগ এখন স্থানীয় লোকেদের সতর্ক থাকার এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছে।
চিতাবাঘের হামলায় গ্রামবাসীদের বিপদ
জুনওয়ানি গ্রামে চিতাবাঘের হামলা এটাই প্রমাণ করে যে আবাসিক এলাকা এবং গ্রামগুলোতে বন্য প্রাণীদের আনাগোনা বাড়ছে। গ্রামবাসীদের তাদের পোষা প্রাণী এবং শিশুদের সুরক্ষার জন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
বন বিভাগও চিতাবাঘের গতিবিধির উপর ক্রমাগত নজর রাখছে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।