গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর: ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার ও জিম্মি মুক্তি চুক্তি

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর: ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার ও জিম্মি মুক্তি চুক্তি
সর্বশেষ আপডেট: 5 ঘণ্টা আগে

গাজায় দুই বছর ধরে চলা সহিংসতা শুক্রবার দুপুর থেকে থেমে গেছে, যখন মার্কিন সমর্থিত যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। ইসরায়েলি সেনারা প্রত্যাহার শুরু করেছে এবং জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে চুক্তি হয়। ফিলিস্তিনিদের প্রতিক্রিয়া মিশ্র ছিল।

Gaza Ceasefire: গাজায় দুই বছর ধরে চলা সহিংসতা শুক্রবার দুপুর থেকে থেমে গেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পেশ করা ২০ দফা প্রস্তাবের ভিত্তিতে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং জানিয়েছে যে তাদের সেনারা সম্মত স্থানে ফিরে যেতে শুরু করেছে। এই ঘোষণা এমন সময়ে এসেছে যখন শুক্রবার সকালে উত্তর গাজায় তীব্র গোলাগুলির খবর পাওয়া যাচ্ছিল।

গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার

৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সংঘাত চলছিল। এই সহিংসতা গাজা অঞ্চলে মানবিক সংকটকে আরও গভীর করেছে এবং অস্থিরতা বাড়িয়েছে। যুদ্ধবিরতির পর আশা করা হচ্ছে যে এটি শান্তির দিকে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হবে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে তারা গাজা থেকে তাদের সেনা ফিরিয়ে আনা শুরু করেছে, তবে যুদ্ধবিরতির শর্তাবলী এবং বাস্তবায়নের বিশদ বিবরণ এখনও স্পষ্ট নয়।

যুদ্ধবিরতির আগেও অব্যাহত ছিল বোমা হামলা

যুদ্ধবিরতি শুক্রবার দুপুর থেকে কার্যকর হওয়ার পরেও, এর আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছিল। ফিলিস্তিনিরা উত্তর গাজায় সংঘটিত গোলাগুলির জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। অনেক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ওই অঞ্চলে ব্যাপক বোমা হামলা ও বিমান হামলা চলছিল, যা উত্তেজনা আরও বাড়াতে পারত। এই সংঘাতে হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং নাগরিকদের ব্যাপক জানমালের ক্ষতি হয়েছে।

জিম্মি ও বন্দিদের মুক্তি নিয়ে চুক্তি

যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার সাথে সাথে উভয় পক্ষ জিম্মি ও বন্দিদের পারস্পরিক মুক্তির বিষয়ে সম্মত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে তারা যুদ্ধবিরতির সমস্ত দিক মেনে চলবে এবং আশা প্রকাশ করেছে যে এতে পরিস্থিতি শান্ত হবে। তবে, বর্তমানে গাজা অঞ্চলে গোলাগুলি ও সহিংসতার ঘটনা অব্যাহত রয়েছে, যা যুদ্ধবিরতির প্রভাব নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি করেছে।

ফিলিস্তিনিদের প্রতিক্রিয়া

ফিলিস্তিনি নাগরিক এবং স্থানীয় গোষ্ঠীগুলির মধ্যে এই চুক্তি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। অনেকে এটিকে অস্থায়ী মনে করে ইসরায়েলের প্রতারণার চেষ্টা হিসেবে দেখছেন। আবার, কিছু লোক এটিকে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসাবে দেখেছে এবং আশা প্রকাশ করেছে যে এটি স্থানীয় নাগরিকদের নিরাপত্তা ও ত্রাণ ব্যবস্থায় উন্নতি আনবে।

Leave a comment