টিএলপি প্রতিবাদে ইসলামাবাদ-রাওয়ালপিন্ডিতে মোবাইল-ইন্টারনেট বন্ধ করল শরীফ সরকার

টিএলপি প্রতিবাদে ইসলামাবাদ-রাওয়ালপিন্ডিতে মোবাইল-ইন্টারনেট বন্ধ করল শরীফ সরকার

পাকিস্তানের শরীফ সরকার তেহরিক-ই-লাব্বাইকের প্রতিবাদ বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানী ইসলামাবাদ এবং রাওয়ালপিন্ডিতে মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে।

পাকিস্তান: পাকিস্তানের শরীফ সরকার রাজধানী ইসলামাবাদ এবং রাওয়ালপিন্ডিতে মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তান (টিএলপি)-এর প্রতিবাদ বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। টিএলপি শুক্রবার 'লাব্বাইক ইয়া আকসা মিলিয়ন মার্চ'-এর ডাক দিয়েছিল, যার ফলস্বরূপ শহরের প্রবেশ ও প্রস্থান পথগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মোতায়েন বাড়ানো হয়।

টিএলপি-র প্রতিবাদ

টিএলপি ইসলামাবাদে আমেরিকান দূতাবাসের বাইরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শনের পরিকল্পনা করেছে। সরকার এটিকে জননিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্খলার (Law and Order) জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে ইন্টারনেট বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী সম্পূর্ণ সতর্ক রয়েছে।

লাহোরে হিংসাত্মক সংঘর্ষ

লাহোরে পুলিশ ও টিএলপি কর্মীদের মধ্যে হিংসাত্মক সংঘর্ষ হয়, যখন পাঞ্জাব পুলিশ টিএলপি প্রধান সাদ হুসাইন রিজভিকে গ্রেফতার করতে তাদের সদর দফতরে অভিযান চালায়। এই অভিযানের পর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে এবং বহু লোক আহত হয়। পুলিশ পাঁচজন কনস্টেবল আহত হওয়ার খবর দিয়েছে, যেখানে টিএলপি দাবি করেছে যে তাদের একজন কর্মী নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষের সময় টিএলপি কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ও লোহার রড দিয়ে হামলা চালায়।

ভারী সংখ্যক পুলিশ বাহিনী মোতায়েন

টিএলপি সদর দফতর এবং আশেপাশের এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে এই মোতায়েন আইন ও নিরাপত্তা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। টিএলপি মুখপাত্র সরকারের এই পদক্ষেপকে অপমানজনক বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন যে তাদের কর্মীদের উপর জুলুম বন্ধ হওয়া উচিত।

পাঞ্জাব সরকারের ভূমিকা

টিএলপি অভিযোগ করেছে যে পাঞ্জাব সরকার, যার মধ্যে মরিয়ম নওয়াজের দল অন্তর্ভুক্ত, বিক্ষোভ বন্ধ করতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারের এই পদক্ষেপ টিএলপি-র রাজনৈতিক ও সামাজিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য বিবেচিত হচ্ছে।

Leave a comment