गुजरातের গির সোমনাথ জেলায় তিন ব্যক্তি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এক মহিলাকে দু'বার গণধর্ষণ করেছে। নির্যাতিতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।
সোমনাথ: গুজরাটের গির সোমনাথ জেলায় মহিলা সুরক্ষাকে কেন্দ্র করে আবারও উদ্বেগজনক ঘটনা সামনে এসেছে। জেলার উনা অঞ্চলে তিন ব্যক্তি এক বিধবা মহিলাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিজেদের সঙ্গে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ (গ্যাংরেপ) করেছে। পুলিশ ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেছে এবং তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে।
নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, অভিযুক্তরা প্রথমে তাকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে পালা করে ধর্ষণ করে। এরপর তারা মহিলাকে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আবারও নির্যাতন করে। তারা মহিলাকে হুমকি দেয় যে, যদি সে এই ঘটনা সম্পর্কে কাউকে জানায়, তবে তাকে গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে। এই ঘটনাটি শুধু মহিলা সুরক্ষার প্রশ্নই তোলে না, বরং সমাজে অপরাধের ক্রমবর্ধমান রূপকেও তুলে ধরে।
নির্যাতিতার বয়ানের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা দায়ের করেছে
ঘটনাটি তখন প্রকাশ্যে আসে যখন নির্যাতিতা পেটে তীব্র ব্যথা নিয়ে উনার সরকারি হাসপাতালে পৌঁছায়। ডাক্তাররা তার বয়ানের ভিত্তিতে একটি মেডিকো-লিগ্যাল কেস (MLC) নথিভুক্ত করে এবং পুলিশকে জানায়। নববন্দর পুলিশ স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত পরিদর্শক এম এন রানা জানিয়েছেন যে, নির্যাতিতা দিনমজুরি করে জীবিকা নির্বাহ করে এবং সে বিধবা। তদন্তে আরও জানা গেছে যে, তার স্বামীর দশ বছর আগে মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। এই ঘটনাটি সমাজে মহিলা সুরক্ষা এবং আইনি ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তাকে আবারও তুলে ধরে।
পরিচিত ব্যক্তিরা মহিলার উপর নির্যাতন করেছে
নির্যাতিতা পুলিশকে জানিয়েছে যে, সে তার গ্রামের দিকে যাচ্ছিল, তখনই দুটি বাইকে চেপে তিন পরিচিত ব্যক্তি তার কাছে আসে। তারা তাকে গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। যেহেতু মহিলা তাদের চিনত, তাই সে তাদের সাথে যেতে কোনো আপত্তি জানায়নি।
কিন্তু যেই তারা কিছুটা দূরে একটি নির্জন স্থানে পৌঁছায়, তারা মহিলার সাথে পালা করে ধর্ষণ করে। এরপর তিন অভিযুক্ত তাকে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আবারও নির্যাতন করে। এই ঘটনাটি প্রমাণ করে যে, পরিচিত এবং বিশ্বাসযোগ্য মনে হওয়া ব্যক্তিরাও কখনও কখনও মহিলাদের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
পুলিশ অভিযুক্তদের তল্লাশি শুরু করেছে
নির্যাতিতাকে ছেড়ে দেওয়ার সময় অভিযুক্তরা হুমকি দেয় যে, যদি সে কাউকে এই ঘটনা সম্পর্কে জানায়, তবে তাকে গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ অবিলম্বে একাধিক দল নিয়ে অভিযুক্তদের ব্যাপক তল্লাশি শুরু করেছে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা অনুযায়ী, নির্যাতিতার পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে। ঘটনার সময় গুজরাটে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর তিন দিনের সফরের প্রস্তুতি চলছিল। এই ঘটনাটি প্রশাসনের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং পুলিশের সতর্কতা বাড়িয়ে দিয়েছে।