9 জুলাই, 2025 তারিখে শেয়ার বাজারে একটি আকর্ষণীয় মোড় আসে, যখন ইন্ডিয়ান এনার্জি এক্সচেঞ্জ (IEX)-এর শেয়ার 201 টাকায় খোলার পরেই কয়েক মিনিটের মধ্যে 207 টাকার উপরে চলে যায়। এই উত্থানের কারণ ছিল সরকারের পক্ষ থেকে আসা একটি বিবৃতি, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য বিরাট স্বস্তি এনেছিল।
আগের খবরে কেন শেয়ারের পতন হয়েছিল
গত কয়েক মাসে, 'মার্কেট কাপলিং' নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার সাথে সাথেই IEX-এর শেয়ারের দর পড়তে শুরু করত। এর কারণ ছিল পরিষ্কার: বিনিয়োগকারীদের ভয় ছিল যে সরকার যদি পাওয়ার এক্সচেঞ্জগুলির প্রাইস ডিসকভারি কেন্দ্রীভূত করে, তবে IEX-এর একচেটিয়া অধিকার এবং মুনাফার উপর প্রভাব পড়তে পারে।
সরকারের স্পষ্টীকরণ, উদ্বেগের কারণ নেই
এবার পরিস্থিতি ভিন্ন ছিল। বিদ্যুৎ মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে মার্কেট কাপলিংকে কোনো বড় সংস্কার হিসেবে দেখা উচিত নয়। এটিকে একটি প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের প্রক্রিয়া হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, যা IEX-এর বিদ্যমান ব্যবসা মডেলের উপর কোনো বড় প্রভাব ফেলবে না।
হঠাৎ কোনো পরিবর্তন হবে না
বিদ্যুৎ মন্ত্রকের এক শীর্ষস্থানীয় সূত্রের মতে, "মার্কেট কাপলিং এখনো আলোচনার স্তরে রয়েছে। এর সাথে জড়িত প্রতিটি দিক পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। IEX-এর মতো পাওয়ার এক্সচেঞ্জগুলির কার্যকারিতার উপর এর কোনো তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়বে না।"
মার্কেট কাপলিং কী
মার্কেট কাপলিং-এর অর্থ হল বিভিন্ন পাওয়ার এক্সচেঞ্জের প্রাইস ডিসকভারিকে একটি কেন্দ্রীভূত সিস্টেমের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা। এর ফলে বিদ্যুতের দাম এক হতে পারে এবং স্বচ্ছতা বাড়তে পারে। কিন্তু IEX-এর জন্য, এটিকে উদ্বেগের কারণ হিসেবে দেখা হতো, কারণ এর ফলে তাদের নিয়ন্ত্রণ কমে যেতে পারত।
নিয়ন্ত্রক ঝুঁকি আপাতত কাটল
বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারের এই স্পষ্টীকরণের পর আপাতত IEX-এর উপর কোনো বড় নিয়ন্ত্রক ঝুঁকি দেখা যাচ্ছে না। বিনিয়োগকারীদের জন্য সবচেয়ে বড় স্বস্তি ছিল যে কোম্পানির বর্তমান কাঠামোতে কোনো বিপদ নেই।
বাজারের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া
সরকারের বিবৃতির পরেই শেয়ার বাজার ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখায়। IEX-এর শেয়ার দিনের শুরুতে 201 টাকায় খোলে এবং পরে 207 টাকার উপরে চলে যায়। এই উত্থান আগের দিনের পতনকে স্থিতিশীল করে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসে বলে মনে হয়েছিল।
IEX-এর বাজারের বিশেষ স্থান
IEX দেশের বৃহত্তম পাওয়ার ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম। এই কোম্পানি বিদ্যুতের স্পট মার্কেট, গ্রিন এনার্জি ট্রেডিং এবং রিনিউয়েবল এনার্জি সার্টিফিকেট-এর মতো বিভাগে কাজ করে। IEX-এর ব্যবসার মডেল বেশ লাভজনক এবং এর স্কেলেবল কাঠামো এটিকে অন্যান্য কোম্পানি থেকে আলাদা করে তোলে।
নীতির উপর নির্ভর করে কোম্পানির ভবিষ্যৎ
যদিও IEX-এর আয়ের কাঠামো শক্তিশালী, তবে কোম্পানির বৃদ্ধি এবং কর্মক্ষমতা অনেকাংশে সরকারি নীতির উপর নির্ভরশীল। যেকোনো ধরনের নিয়ন্ত্রক পরিবর্তন সরাসরি এর স্টকে প্রভাব ফেলে – যেমনটা মার্কেট কাপলিং-এর খবরে দেখা গেছে।
মার্কেট কাপলিং এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে
সরকারি স্তরে, বর্তমানে মার্কেট কাপলিং নিয়ে কোনো তাড়াহুড়ো দেখা যাচ্ছে না। এর মানে হল, আগামী দিনগুলোতে এই বিষয়ে আরও আলোচনা হবে। যতক্ষণ না কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, IEX তার বিদ্যমান কাঠামোতে কাজ করতে থাকবে।
বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি
সাম্প্রতিক ঘটনার পর, কোম্পানির প্রতি বিনিয়োগকারীদের মনোভাব আবারও ইতিবাচক হয়েছে। শেয়ারের উত্থান এই ইঙ্গিত দেয় যে বাজার সরকারের বিবৃতিকে আস্থার চিহ্ন হিসেবে নিয়েছে।
IEX-এর উপর নজর রাখা হবে
পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন, IEX এমন একটি নামে পরিণত হয়েছে যার উপর পাওয়ার মার্কেট সম্পর্কিত প্রতিটি বড় সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়ে। এই কারণেই বিনিয়োগকারী এবং বিশ্লেষকরা এর প্রতিটি গতিবিধির উপর নজর রাখছেন।