আজ রাজস্থানের চুরু জেলার রতনগড় অঞ্চলে একটি বড় বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। খবর অনুযায়ী, ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান কারিগরি ত্রুটির কারণে ভানুদা গ্রামের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে।
যুদ্ধ বিমানের পতন: রাজস্থানের চুরু জেলার রতনগড় অঞ্চলে বুধবার একটি বড় সামরিক দুর্ঘটনা ঘটে, যখন ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি জাগুয়ার যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় পতিত হয়। এই ঘটনাটি দুপুর প্রায় ১২:৪০ মিনিটে ঘটে, যখন বিমানটি একটি সাধারণ প্রশিক্ষণ মিশনে ছিল। প্রতিরক্ষা সূত্র অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ভারতীয় বিমানবাহিনীর জাগুয়ার জেটগুলির এটি তৃতীয় বড় পতন, যা সামরিক কারিগরি সুরক্ষা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছে।
দুর্ঘটনা স্থল থেকে একটি অজ্ঞাত পরিচয় দেহ উদ্ধার
বিমানটির ধ্বংসাবশেষের কাছ থেকে একটি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যার পরিচয় এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে জানা যায়নি। প্রাথমিক রিপোর্টে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে এটি পাইলটের দেহ হতে পারে, তবে নিশ্চিতকরণের জন্য ডিএনএ পরীক্ষা এবং ফরেনসিক পরীক্ষার অপেক্ষা করা হচ্ছে। স্থানীয় পুলিশ এবং বিমানবাহিনীর একটি যৌথ দল পুরো এলাকাটি সিল করে দিয়েছে। আশেপাশের গ্রামগুলিতে নিরাপত্তা বাহিনীর মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে কেউ ধ্বংসাবশেষের কাছে যেতে না পারে।
ভারতীয় বিমানবাহিনী কর্তৃক ব্যবহৃত জাগুয়ার যুদ্ধবিমানগুলি প্রযুক্তিগতভাবে পুরনো হিসেবে বিবেচিত হয়। এই বছর মার্চ মাসে হরিয়ানার আম্বালা বিমানঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের পরেই একটি জাগুয়ার বিমান কারিগরি ত্রুটির কারণে বিধ্বস্ত হয়েছিল। এপ্রিল মাসেও গুজরাটের জামনগরে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট সিদ্ধার্থ যাদবের মৃত্যু জাগুয়ার পতনের কারণে হয়েছিল।
এখন জুলাই মাসে চুরুর এই ঘটনাটি তৃতীয়বার এই পুরাতন বহরের প্রযুক্তিগত ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। যদিও, বিমানবাহিনী এখনও স্পষ্ট করেনি যে দুর্ঘটনার কারণ কী ছিল।
স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক, সেনা মোর্চা সামলেছে
রতনগড়ের গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন যে, তাঁরা আকাশে একটি তীব্র শব্দ শুনেছেন এবং তারপর মাটিতে আগুনের গোলা পড়তে দেখেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা বাবুলাল মীনা বলেন, "আমরা মাঠে কাজ করছিলাম, তখনই জোরালো শব্দ হল, এবং ধোঁয়া উঠতে দেখলাম। কাছে গিয়ে দেখি বিমানটি জ্বলছে।" ঘটনার পরপরই ভারতীয় বিমানবাহিনীর জরুরি দল, দমকল বাহিনী এবং জেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। সেনা ঘটনাস্থলটি ঘিরে ফেলেছে এবং ব্ল্যাক বক্স ও অন্যান্য কারিগরি সরঞ্জাম খোঁজা হচ্ছে।