আয়কর রিটার্ন (ITR) জমা দেওয়ার সময় ছোটখাটো ভুলের কারণে ট্যাক্স রিফান্ড পেতে দেরি হতে পারে। করদাতাদের তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য আপডেট এবং সঠিকভাবে যাচাই করা নিশ্চিত করতে হবে, পাশাপাশি সময়মতো তাদের রিটার্ন ই-ভেরিফাই করাটাও গুরুত্বপূর্ণ। এই তিনটি পদক্ষেপ দ্রুত এবং সুরক্ষিত রিফান্ড পেতে সাহায্য করতে পারে।
ITR ফাইলিং: ২০২৫ সালের জন্য আয়কর রিটার্ন (ITR) জমা দেওয়ার সময় করদাতাদের সময়মতো রিফান্ড পেতে সতর্ক থাকতে হবে। প্রথমত, ই-ফাইলিং পোর্টালে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য সঠিক এবং যাচাইকৃত হতে হবে। এছাড়াও, আধার OTP, নেট ব্যাঙ্কিং, ডিম্যাট বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক ই-ভেরিফিকেশন করা আবশ্যক। ভুল বা অসম্পূর্ণ তথ্য, রিটার্ন যাচাইকরণ, বকেয়া কর বা রেকর্ডে অসঙ্গতির কারণে রিফান্ড পেতে দেরি হতে পারে। সঠিক ফাইলিং, প্রমাণীকরণ এবং ই-ভেরিফিকেশন কয়েক সপ্তাহের অনাবশ্যক বিলম্ব এড়াতে পারে।
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঠিক তথ্যের প্রয়োজনীয়তা
রিফান্ড পাওয়ার জন্য পোর্টালে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য সঠিকভাবে আপডেট করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যদি অ্যাকাউন্টটি ভুল হয় বা যাচাই না করা হয়, তবে রিফান্ড প্রক্রিয়া করা হবে না। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য আপডেট করতে, করদাতাদের আয়কর ই-ফাইলিং পোর্টালে লগ ইন করতে হবে।
- লগ ইন করার পর, 'প্রোফাইল' বিভাগে যান এবং 'আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট' বিকল্পটি নির্বাচন করুন।
- তারপর, 'ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট যোগ করুন' অপশনে ক্লিক করুন এবং অ্যাকাউন্ট নম্বর, IFSC কোড, ব্যাঙ্কের নাম এবং অ্যাকাউন্টের ধরণ পূরণ করুন।
- তথ্য পূরণের পর, রিফান্ডের জন্য এটি যাচাই করুন। রিফান্ড কেবলমাত্র যাচাইকৃত অ্যাকাউন্টেই প্রক্রিয়া করা হয়।
ব্যবহারকারীরা পোর্টালে তাদের রিফান্ডের স্থিতিও পরীক্ষা করতে পারেন। এই প্রক্রিয়াটি নিশ্চিত করে যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্যে কোনও ভুল নেই।
ই-ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক
রিটার্ন জমা দেওয়ার পর ই-ভেরিফিকেশন করা বাধ্যতামূলক। যদি রিটার্ন ই-ভেরিফাই করা না হয়, তবে এটিকে অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয় এবং রিফান্ড জারি করা হবে না। ই-ভেরিফিকেশন বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে সম্পন্ন করা যেতে পারে। এটি আধার OTP, নেট ব্যাঙ্কিং, ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক করা যেতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন যে অনেক করদাতা রিটার্ন জমা দেওয়ার পর ই-ভেরিফাই না করার ভুল করেন। এর ফলে রিফান্ড আটকে থাকে এবং বিলম্ব হয়।
রিফান্ড বিলম্বের সাধারণ কারণ
ফরভিস মাজার্স ইন্ডিয়া (Forvis Mazars India)-এর ডাইরেক্ট ট্যাক্সের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর অবনীশ অরোরার মতে, রিফান্ড এখন আগের চেয়ে দ্রুত প্রক্রিয়া করা হচ্ছে। করদাতারা প্রায়শই কয়েক দিন বা সপ্তাহের মধ্যে রিফান্ড পেয়ে যান। তবে, বিলম্বের কিছু প্রধান কারণ হল:
- ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ভুল বা অবৈধ তথ্য।
- জমা দেওয়া রিটার্ন এবং AIS বা Form 26AS-এর মধ্যে অসঙ্গতি।
- রিটার্ন যাচাইকরণের অধীন থাকা।
- পূর্ববর্তী বছরের বকেয়া বা সমন্বয়।
অরোরা আরও বলেন যে, রিফান্ড পেতে দেরি হলে, করদাতারা আয়কর আইনের ২৪৪A ধারা অনুযায়ী সুদ পাওয়ারও অধিকারী। তবে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল রিটার্ন সঠিকভাবে জমা দেওয়া।
সময়মতো রিফান্ড পাওয়ার জন্য তিনটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ
- রিটার্ন নির্ভুলভাবে পূরণ করুন।
- ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সঠিকভাবে যাচাই করুন।
- সময়মতো ই-ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করুন।
এই তিনটি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, করদাতারা অনাবশ্যক বিলম্ব এড়াতে পারেন।
ফাইল করার সময় সতর্কতা
করদাতাদের Form 26AS এবং তাদের ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্টের তথ্যের তুলনা করার পরেই তাদের রিটার্ন জমা দেওয়া উচিত। এটি ডেটা অসঙ্গতির কারণে উদ্ভূত সমস্যাগুলি এড়াতে সাহায্য করবে। এছাড়াও, পোর্টালে অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং IFSC কোড সঠিকভাবে প্রবেশ করানো উচিত।
ই-ভেরিফিকেশন করার সময়, আধার, নেট ব্যাঙ্কিং বা ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের জন্য OTP সঠিকভাবে প্রবেশ করান। কখনও কখনও, ভুল OTP প্রবেশ করালে রিটার্ন অসম্পূর্ণ বলে বিবেচিত হতে পারে।