বিহারের রাজনীতি আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। শিবহরের JDU বিধায়ক চেতন আনন্দ পাটনা এইমসের কর্মীদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিধায়কের দাবি, তাঁর স্ত্রীর সাথে ধস্তাধস্তি করা হয়েছে এবং তাঁকে কিছুক্ষণের জন্য জোর করে হাসপাতালে আটকে রাখা হয়েছিল। এই ঘটনাটি ঘটে যখন চেতন আনন্দ তাঁর স্ত্রী এবং নিরাপত্তারক্ষীকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি এক সমর্থকের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন।
গার্ডকে আটকালে বিতর্কের শুরু
বিধায়কের মতে, বুধবার রাতে তিনি তাঁর স্ত্রী এবং নিরাপত্তা গার্ডকে নিয়ে এইমসে পৌঁছেছিলেন। গেটে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁর গার্ডকে ভিতরে যেতে বাধা দেয়। এই নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। চেতন আনন্দ জানান যে যখন তাঁর স্ত্রী হস্তক্ষেপ করেন, তখন কিছু অন্যান্য হাসপাতালের কর্মী ঘটনাস্থলে আসেন এবং তাঁর স্ত্রীর সাথে দুর্ব্যবহার করতে শুরু করেন। বিধায়ক অভিযোগ করেন যে এই সময়ে হাসপাতালের কর্মীরা শুধুমাত্র শৃঙ্খলাভঙ্গই করেননি, সমস্ত শালীনতাও অতিক্রম করেছেন।
স্ত্রী আহত
চেতন আনন্দের বক্তব্য, ধস্তাধস্তিতে তাঁর স্ত্রীর কব্জি ও পিঠে আঘাত লেগেছে। তিনি দাবি করেন যে যখন তিনি মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করেন, তখন হাসপাতালের কর্মীরা তাঁকে জোর করে ভিতরে আটকে রাখে এবং কিছুক্ষণের জন্য বন্দীর মতো করে রাখে। বিধায়ক এটিকে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করে দোষী কর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
পুলিশের তদন্ত
ঘটনার পরে বিধায়ক সরাসরি স্থানীয় থানায় যান এবং পুরো বিষয়টি লিখিতভাবে জানান। চেতন আনন্দ বলেন যে একজন জনপ্রতিনিধির সাথে এমন আচরণ দুর্ভাগ্যজনক এবং এটি গণতান্ত্রিক রীতিনীতির লঙ্ঘন। এই বিষয়ে পাটনা সিটি (পশ্চিম) এর পুলিশ সুপার ভানু প্রতাপ সিং জানান যে এইমস প্রশাসন এবং বিধায়ক উভয় পক্ষের কাছ থেকেই অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ একটি এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে।
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটও আলোচনায়
উল্লেখ্য, চেতন আনন্দ আগে আরজেডির সাথে যুক্ত ছিলেন, কিন্তু পরে JDU-তে যোগ দেন। তাঁর মা লাভলী আনন্দ বর্তমানে JDU সাংসদ এবং শিবহর লোকসভা কেন্দ্রের প্রতিনিধিত্ব করছেন। এমতাবস্থায় পুরো বিষয়টি রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও দেখা হচ্ছে, যা আগামী দিনে রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বাড়াতে পারে।