কলকাতায় এখনও পড়ে ব্যানার-হোর্ডিং! মেয়রের কড়া নির্দেশ, অবিলম্বে খুলে ফেলুন

কলকাতায় এখনও পড়ে ব্যানার-হোর্ডিং! মেয়রের কড়া নির্দেশ, অবিলম্বে খুলে ফেলুন

Kolkata Mayor Firhad Hakim Appeal: দুর্গাপুজো শেষে লক্ষ্মীপুজোও কেটে গিয়েছে, তবুও কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় এখনও দেখা যাচ্ছে আধখোলা মণ্ডপ, বাঁশের কাঠামো ও ব্যানার-হোর্ডিং। বুধবার ছিল এগুলি সরানোর শেষ দিন, কিন্তু অনেক উদ্যোক্তা সেই নির্দেশ মানেননি। এই অবস্থায় মেয়র ফিরহাদ হাকিম ক্ষোভ প্রকাশ করে অনুরোধ জানিয়েছেন—অবিলম্বে বিজ্ঞাপনী ব্যানার, হোর্ডিং ও কাঠামো খুলে ফেলুন।

শহরের চেহারায় অগোছালো ভাব, ক্ষুব্ধ মেয়র

পুজো শেষে যেমন শহর ঝকঝকে হওয়ার কথা, তেমন হয়নি এবার। উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতার রাস্তায় কোথাও মঞ্চ ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে, কোথাও বাঁশের রেলিং এখনও রয়ে গিয়েছে। অনেক জায়গায় বড় বড় বিজ্ঞাপনের কাঠামোও এখনো টাঙানো। মেয়রের অভিযোগ, এসবের ফলে রাস্তা চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে, পথচারীরাও বিপদের মুখে পড়ছেন।ফিরহাদ হাকিম বলেন, পথচারীদের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে, যানবাহনেরও বিঘ্ন ঘটছে। উদ্যোক্তাদের কাছে অনুরোধ, দেরি না করে এগুলি খুলে ফেলুন।

বৃষ্টিতে জমছে জল, মশার উৎপাতের আশঙ্কা

কলকাতা পুরসভার উদ্বেগ আরও এক জায়গায়—স্বাস্থ্যবিষয়ক ঝুঁকি। মেয়র জানান, “এখনও বৃষ্টি হচ্ছে। মণ্ডপের মঞ্চে জল জমলে মশা বাড়বে, যা ডেঙ্গুর ঝুঁকি বাড়াতে পারে।” যদিও মেয়র দাবি করেন, বর্তমানে কলকাতায় ডেঙ্গুর প্রভাব আগের তুলনায় অনেক কম, তবুও সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে উদ্যোক্তাদের স্প্রে করার পরামর্শ দেন তিনি।

ধাপায় আর ভাগাড় নয়, নতুন উদ্যোগের ঘোষণা

এইদিন আরও এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মন্তব্য করেন মেয়র। তিনি জানান, ধাপায় আর কোনও ভাগাড় থাকবে না। তার বদলে সেখানে তৈরি হবে আধুনিক বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র (Processing Unit)। কলকাতা পুরসভার নিজস্ব জমিতে এই প্রকল্প গড়ে তোলা হবে এবং ন্যাশন্যাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ অনুযায়ী তিন বছরের মধ্যে তা সম্পূর্ণ করা হবে।

দুর্গাপুজো কেটে গেলেও শহরের বিভিন্ন প্রান্তে এখনও ঝুলছে বিজ্ঞাপনী ব্যানার ও হোর্ডিং। মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, এতে পথচারী ও যান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে তাঁর আবেদন, অবিলম্বে এগুলি সরিয়ে শহরকে আগের অবস্থায় ফেরান।

Leave a comment