Weather Update: উত্তরবঙ্গে বন্যা ও ভারী বৃষ্টির প্রভাব কাটিয়ে সবে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চলছে। এরই মধ্যে নতুন করে উত্তর বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরির ইঙ্গিত দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। শুক্রবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে ফের বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি শুরু হতে পারে। ১১ অক্টোবর পর্যন্ত কলকাতা, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া ও দুই ২৪ পরগনা জেলায় হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘূর্ণাবর্তের সম্ভাবনায় ফের চিন্তা রাজ্যে
আবহবিদদের মতে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে তৈরি ঘূর্ণাবর্তের কারণে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ দ্রুত বাড়ছে। এর ফলেই দক্ষিণবঙ্গের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে, সঙ্গে বজ্রপাত-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনাও জোরদার। শুক্রবার থেকে শনিবারের মধ্যে এই ঘূর্ণাবর্ত স্থায়ী হলে সপ্তাহান্তে একাধিক জেলায় বৃষ্টির তীব্রতা আরও বাড়তে পারে।
দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ১১ অক্টোবর পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম ও পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং কলকাতায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। বজ্রপাতের আশঙ্কায় গ্রামীণ এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নাগরিকদের অপ্রয়োজনে বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
উত্তরবঙ্গে পরিস্থিতির উন্নতি
অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে আপাতত ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে বৃষ্টিপাত কমবে। তবে মালদা ও দিনাজপুরের কিছু এলাকায় ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হতে পারে। ক্রমশ আবহাওয়া পরিষ্কার হয়ে আসবে, এমনই ইঙ্গিত হাওয়া অফিসের।
বর্ষা বিদায়ের সময় ঘনিয়ে
আবহবিদরা জানিয়েছেন, ১৪ অক্টোবর নাগাদ উত্তরবঙ্গ থেকে এবং ১৮ অক্টোবরের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গ থেকেও বিদায় নিতে পারে মৌসুমী বায়ু। এরপর থেকেই বঙ্গে ধীরে ধীরে শীতের আমেজ বাড়তে শুরু করবে। বর্তমানে কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৫ ডিগ্রির কাছাকাছি।
বঙ্গোপসাগরে আবারও তৈরি হচ্ছে নতুন ঘূর্ণাবর্ত। শুক্রবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, মেদিনীপুরসহ একাধিক জেলায় সতর্কতা জারি। তবে উত্তরবঙ্গে আবহাওয়া ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে।