লখনউতে BBD গ্রুপের ১০০ কোটি টাকার বেনামি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত

লখনউতে BBD গ্রুপের ১০০ কোটি টাকার বেনামি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত

লখনউ-এ আইটি বিভাগ BBD গ্রুপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে ১০০ কোটি টাকার বেনামি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। এই জমিগুলি দলিত কর্মচারীদের নামে ছিল, আসল মালিক বিরাজ এবং আলকা দাস।

UP নিউজ: উত্তর প্রদেশের রাজধানী লখনউ-এ আয়কর বিভাগ একটি বড় পদক্ষেপ নিয়ে BBD গ্রুপের ১০০ কোটি টাকা মূল্যের বেনামি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। এই ব্যবস্থা বেনামি সম্পত্তি নিষেধ আইন, ১৯৮৮-এর অধীনে নেওয়া হয়েছে। এই অভিযান লখনউ-এর প্রধান স্থান, অযোধ্যা রোড এবং আশেপাশের অঞ্চলে চালানো হয়েছে।

২০০৫ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে জমি কেনা হয়েছিল

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এই জমিগুলি ২০০৫ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে কেনা হয়েছিল। এই সম্পত্তিগুলির মোট আয়তন প্রায় ৮ হেক্টর এবং সেগুলি উত্তরধৌনা, জুগ্গৌর, তেরাখাস, সরাইশেখ এবং সেমরা-এর মতো গ্রামে অবস্থিত। এই সমস্ত অঞ্চলে দ্রুত নগরায়ন হচ্ছে, যার ফলে এই সম্পত্তিগুলির মূল্যও অনেক বেড়ে গেছে।

দলিত কর্মচারীদের নামে সম্পত্তি কেনা হয়েছিল

আয়কর বিভাগের বিস্তারিত তদন্তে জানা গেছে, এই জমিগুলি BBD গ্রুপের দলিত কর্মচারীদের নামে রেজিস্টার করা হয়েছিল। তদন্তে আরও জানা গেছে যে, এই কর্মচারীরা এত মূল্যের সম্পত্তি কিনতে সক্ষম ছিলেন না। এই কর্মচারীদের আয়ের কোনও বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি যা এত বড় সম্পত্তি কেনার সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।

সম্পত্তিগুলির আসল মালিক কারা?

তদন্তে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, এই সম্পত্তিগুলির আসল মালিক BBD গ্রুপের প্রধান আলকা দাস এবং তাঁর ছেলে বিরাজ সাগর দাস। যদিও, সম্পত্তিগুলি দুটি কোম্পানির নামে নিবন্ধিত ছিল - বিরাজ ইনফ্রাটাউন এবং হাইটেক প্রোটেকশন ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড।

অযোধ্যা রোডের প্রধান জমিগুলি বাজেয়াপ্ত

বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তিগুলির মধ্যে অযোধ্যা রোডে অবস্থিত বেশ কয়েকটি প্রধান প্লট অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই প্লটগুলি লখনউ-এর দ্রুত বিকাশমান অঞ্চলের মধ্যে পড়ে। বর্তমানে এই প্লটগুলিতে BBD গ্রুপের তরফে বৃহৎ আকারে নির্মাণ কাজ চলছে। মনে করা হচ্ছে যে এই সম্পত্তিগুলি গ্রুপের বিভিন্ন রিয়েল এস্টেট প্রকল্পের অংশ ছিল।

মাসব্যাপী তদন্তের পর ব্যবস্থা

বেনামি নিষেধ ইউনিট এই ব্যবস্থা নেওয়ার আগে বেশ কয়েক মাস ধরে বিস্তারিত তদন্ত এবং তথ্য সংগ্রহ করেছে। তদন্তের সময় জানা গেছে যে, অধিকাংশ সম্পত্তি এমন ব্যক্তিদের নামে ছিল যাদের আয়, সম্পত্তির মূল্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল না। আয়কর বিভাগ এটিকে বেনামি লেনদেন হিসেবে গণ্য করে বাজেয়াপ্ত করার ব্যবস্থা নিয়েছে।

এই সম্পূর্ণ ব্যবস্থা 'বেনামি লেনদেন (নিষেধ) আইন, ১৯৮৮'-এর অধীনে নেওয়া হয়েছে। এই আইনের অধীনে সেই সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা যেতে পারে যা আসল মালিক অন্য কারো নামে কিনেছেন এবং ক্রেতার সম্পত্তি কেনার কোনও আর্থিক সামর্থ্য নেই।

বেনামি সম্পত্তি আইন কী?

বেনামি সম্পত্তি আইন ১৯৮৮-এর উদ্দেশ্য হল, কোনো ব্যক্তি কালো টাকা সাদা করার জন্য অন্যের নামে সম্পত্তি কিনবে না। যদি কোনো সম্পত্তির আসল মালিক অন্য কেউ হন এবং কাগজে অন্য ব্যক্তির নাম থাকে, এবং সেই ব্যক্তি সম্পত্তি কিনতে সক্ষম না হন, তবে সেটি বেনামি সম্পত্তি হিসেবে গণ্য করা হয়।

Leave a comment