মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলায় আসাম রাইফেলস-এর গাড়িতে অতর্কিত হামলা হয়েছে, যাতে দুই জওয়ান শহিদ হয়েছেন এবং পাঁচজন আহত হয়েছেন। জঙ্গিরা একটি সাদা ভ্যানে করে পালিয়ে গেছে। নিরাপত্তা বাহিনী গোটা এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে এবং আহত জওয়ানদের চিকিৎসা চলছে।
মণিপুর: মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলায় শুক্রবার সন্ধ্যায় আধা-সামরিক বাহিনীকে নিশানা করা হয়েছিল। সশস্ত্র লোকদের একটি দল আসাম রাইফেলস-এর (Assam Rifles) গাড়ির উপর অতর্কিত হামলা চালায়, যাতে দুই জওয়ান শহিদ হন এবং আরও পাঁচজন আহত হন। ঘটনাস্থলটি ছিল নাম্বল সাবল লেইকাই এলাকা, যেখানে আসাম রাইফেলস-এর জওয়ানরা ইম্ফল থেকে বিষ্ণুপুর জেলার দিকে যাচ্ছিলেন।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে নিহতদের মধ্যে একজন জেসিও অন্তর্ভুক্ত। আহত জওয়ানদের পুলিশ এবং স্থানীয়দের সাহায্যে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে। এই হামলার পর নিরাপত্তা বাহিনী জঙ্গিদের ধরার জন্য তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে।
কীভাবে হামলা হয়েছিল
কর্মকর্তাদের মতে, হামলাটি সেই সময় হয়েছিল যখন আসাম রাইফেলস-এর ৩৩ জন জওয়ানের একটি দল তাদের পাটসই কোম্পানি অপারেটিং বেস থেকে নাম্বল কোম্পানি অপারেটিং বেসের দিকে যাচ্ছিল। হাইওয়েতে অতর্কিত হামলা চালানো হয় এবং এই রাস্তাটি ব্যস্ত ছিল, যার ফলে আশেপাশের যান চলাচলও প্রভাবিত হয়েছিল।
একজন সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে জঙ্গিরা হামলা করার পর একটি সাদা ভ্যানে চড়ে পালিয়ে গেছে। জওয়ানরা পাল্টা আক্রমণ করার সময় সংযম বজায় রেখেছিলেন যাতে কোনো সাধারণ নাগরিকের ক্ষতি না হয়। এই হামলার দায়ভার এখনো কোনো গোষ্ঠী স্বীকার করেনি।
আহত জওয়ানদের চিকিৎসা ও অবস্থা
হামলায় আহত পাঁচজন জওয়ানকে রিমস (RIMS)-এ ভর্তি করা হয়েছে এবং তাদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানানো হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে নিরাপত্তা বাহিনী এবং স্থানীয়রা দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে আহত জওয়ানদের হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছেন। ঘটনার পর গোটা এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে এবং আশেপাশের এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে।
জঙ্গিদের সম্পৃক্ততা
হামলায় জড়িত জঙ্গিরা সাদা ভ্যানে পালিয়ে গেছে, যার ফলে তাদের শনাক্ত করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী এলাকার নজরদারি বাড়িয়েছে এবং পুরো জেলায় জঙ্গিদের ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কর্মকর্তারা বলেছেন যে জওয়ানরা পাল্টা আক্রমণ করার সময় সম্পূর্ণ সতর্কতা অবলম্বন করেছিলেন, যাতে কোনো নিরপরাধ নাগরিকের ক্ষতি না হয়।