মোহাম্মদ নওয়াজের দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকের সাহায্যে পাকিস্তান ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে আফগানিস্তানকে ৭৫ রানে পরাজিত করে জয়লাভ করেছে। এই সিরিজে পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং ইউএই-এর দলগুলো অংশ নিয়েছিল।
স্পোর্টস নিউজ: ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে পাকিস্তান আফগানিস্তানকে একতরফাভাবে পরাজিত করে ৭৫ রানে জয়লাভ করেছে। এই উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে পাকিস্তানের স্পিনার মোহাম্মদ নওয়াজ তার দুর্দান্ত বোলিং দিয়ে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন। তিনি হ্যাটট্রিক নিয়ে পাকিস্তানের সম্মান রক্ষা করেন, যেখানে আফগানিস্তানের ব্যাটিং সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়ে। এশিয়া কাপ ২০২৫-এর আগে এই জয় পাকিস্তানের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করবে।
পাকিস্তানের ধীরগতির শুরু
ফাইনাল ম্যাচে পাকিস্তান টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয়, কিন্তু শারজার কঠিন পিচে দল রান করতে সমস্যায় পড়ে। ২০ ওভার খেলে পাকিস্তান ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৪১ রান সংগ্রহ করে। দলের শুরুটা ছিল ধীর এবং ব্যাটসম্যানদের একটি একটি রান যোগ করতে কষ্ট করতে হচ্ছিল।
দলের পক্ষে ফখর জামান সর্বোচ্চ ২৭ রান, মোহাম্মদ নওয়াজ ২৫ রান এবং সালমান আগা ২৪ রান করেন। তাদের ছাড়া অন্য কোনো ব্যাটসম্যান বড় স্কোর করতে পারেননি। আফগানিস্তানের বোলাররা ভালো কৌশল অবলম্বন করে, যেখানে রশিদ খান ৩ উইকেট, নূর আহমেদ এবং ফজল হক ফারুকী ২-২ উইকেট, এবং আল্লাহ গজনফর ১ উইকেট লাভ করেন। যদিও পাকিস্তানের স্কোর বড় ছিল না, তাদের বোলিং ম্যাচে শক্তিশালী প্রত্যাবর্তন করায়।
মোহাম্মদ নওয়াজের হ্যাটট্রিক খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেয়
১৪১ রানের লক্ষ্যমাত্রা সহজ মনে হলেও, পাকিস্তানের স্পিনার মোহাম্মদ নওয়াজ খেলার দৃশ্যপট পরিবর্তন করেন। তিনি ষষ্ঠ ওভারের শেষ দুই বলে দুটি উইকেট নেন এবং অষ্টম ওভারের প্রথম বলে উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিক সম্পন্ন করেন। এই উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্তটি পাকিস্তানের জন্য গেম-চেঞ্জার প্রমাণিত হয়।
নওয়াজ মোট ৪ ওভারে ১টি মেডেন সহ ১৯ রান দিয়ে ৫টি উইকেট শিকার করেন। তার বোলিং আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানদের হতবাক করে দেয়। এছাড়াও, পাকিস্তানের অন্য বোলাররাও ভালো সহায়তা প্রদান করেন। আবরার আহমেদ এবং সুফিয়ান মুকিম ২-২ উইকেট, এবং শাহীন আফ্রিদি একটি উইকেট লাভ করেন।
আফগানিস্তানের ব্যাটিং সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ
১৪২ রানের লক্ষ্যমাত্রা সহজ ছিল, কিন্তু আফগানিস্তানের ব্যাটিং সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়ে। দল ১৫.৫ ওভারে মাত্র ৬৬ রানে অলআউট হয়ে যায়। পিচের সুবিধা নিতে ব্যর্থ আফগানিস্তানের ব্যাটিংয়ের উপর পাকিস্তানের বোলিং আধিপত্য বিস্তার করে। আফগানিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন অধিনায়ক রশিদ খান, ১৭ রান। এছাড়াও শাদিকুল্লাহ আটাল ১৩ রান করেন। বাকি ব্যাটসম্যানরা দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেনি।