প্রধানমন্ত্রী মোদী পাঞ্জাব ও হিমাচলে বন্যা-বিধ্বস্ত এলাকাগুলির আকাশপথে সমীক্ষা করেছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং ত্রাণ কাজের পর্যালোচনা করেছেন। কেন্দ্র সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হিমাচল প্রদেশ এবং পাঞ্জাব সফর করে বন্যা-বিধ্বস্ত এলাকাগুলির আকাশপথে সমীক্ষা করেছেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং ত্রাণ কাজের পর্যালোচনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে ভারত সরকার এই দুঃখের সময়ে বন্যা-বিধ্বস্ত জনগণের পাশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এই সফরটি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির বাস্তব পরিস্থিতি বোঝার এবং ত্রাণ কাজকে দ্রুত করার জন্য করা হয়েছিল।
হিমাচল প্রদেশে পরিস্থিতির পর্যালোচনা
প্রধানমন্ত্রী মোদী হিমাচল প্রদেশে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন। আধিকারিকদের মতে, মোদী জি আধিকারিক এবং স্থানীয়দের সঙ্গে একটি বৈঠকে মিলিত হন এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ কাজের অগ্রগতি মূল্যায়ন করেন। তিনি এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং আপদ मित्र দলগুলির সঙ্গেও কথা বলেন এবং ত্রাণ কাজের দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
পাঞ্জাবের আকাশপথে সমীক্ষা
হিমাচল প্রদেশ সফরের পর প্রধানমন্ত্রী পাঞ্জাবে পৌঁছান। পাঞ্জাবে তিনি বন্যা-বিধ্বস্ত এলাকাগুলির আকাশপথে সমীক্ষা করেন। এই সময়ে তিনি গুরুদাসপুরের বন্যা-বিধ্বস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন এবং ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সমস্যাগুলি বোঝেন এবং ত্রাণ কাজের অগ্রাধিকারগুলি নির্ধারণ করেন।
বন্যা-বিধ্বস্ত জনগণের সঙ্গে আলোচনা
প্রধানমন্ত্রী মোদী ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেন এবং তাদের সমস্যাগুলি শোনেন। তিনি বলেন যে কেন্দ্র সরকার সব ধরনের সাহায্যের জন্য প্রস্তুত। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আটকে পড়া জনগণের নিরাপত্তা এবং ফসলের ক্ষতির ক্ষতিপূরণের জন্য বিশেষ পরিকল্পনাগুলির পর্যালোচনা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী স্থানীয় প্রশাসনকে ত্রাণ কাজ দ্রুতগতিতে পরিচালনা করার নির্দেশ দেন।
গুরুদাসপুরে নিরাপত্তা এবং প্রস্তুতি
প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময় গুরুদাসপুরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। জেলায় বন্যার পরিস্থিতি গুরুতর এবং শতদ্রু, বিয়াস এবং রাভি নদীতে জল ফুলে উঠেছে। ভারী বৃষ্টি এবং জলধারার অঞ্চল থেকে নদীতে জল বৃদ্ধির কারণে বন্যার ঝুঁকি আরও বেড়েছে। এই কারণে এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ দলগুলিকে সম্পূর্ণরূপে মোতায়েন করা হয়েছে।
বন্যার পরিসংখ্যান
পাঞ্জাবে সাম্প্রতিক বন্যা ব্যাপক ক্ষতি করেছে। মৃতের সংখ্যা ৫১ হয়েছে, অন্যদিকে ১.৮৪ লক্ষ হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। বন্যা-বিধ্বস্ত পরিবারগুলিতে তাৎক্ষণিক ত্রাণ সরবরাহের জন্য কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী এই ত্রাণ কাজগুলি পর্যালোচনা করে সেগুলিকে আরও কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছেন যে কেন্দ্র সরকার ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের সঙ্গে দাঁড়িয়ে আছে এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় সংস্থান সরবরাহ করছে। বন্যা-বিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে খাদ্য, জল এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে এবং ত্রাণ সামগ্রী সময়মতো সরবরাহ করা হচ্ছে।
এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ-এর ভূমিকা
জাতীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী (এনডিআরএফ) এবং রাজ্য দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী (এসডিআরএফ) ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে জনগণকে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেওয়ার এবং উদ্ধার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার কাজ করেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী এই দলগুলির প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন এবং তাদের আরও সক্রিয় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর বার্তা
প্রধানমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X-এও একটি বার্তা জারি করেছেন যে ভারত সরকার ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তিনি বলেন যে এই সময়টি সরকার এবং নাগরিকদের জন্য একতার (unity) সময়। তিনি সকলকে আবেদন করেছেন যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ কাজে সহযোগিতা করুন এবং অভাবগ্রস্তদের সাহায্য করুন।
প্রধানমন্ত্রী মোদী ভবিষ্যতে এই ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি আরও জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন। এর আওতায় জল ব্যবস্থাপনা, নদীর তীরবর্তী সুরক্ষা, দুর্যোগ সতর্কতা ব্যবস্থা এবং স্থানীয় প্রশাসনের ক্ষমতা বৃদ্ধির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং সাংগঠনিক দক্ষতা (efficiency) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।