আরজেডি নেত্রী এবং লালু যাদবের মেয়ে রোহিনী আচার্যের এক্স অ্যাকাউন্টে বিতর্কিত পোস্টের পর রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ক্রমবর্ধমান বিতর্কের মধ্যে রোহিনী তার অ্যাকাউন্ট প্রাইভেট করে দিয়েছেন, যার ফলে আলোচনা আরও জোরালো হয়েছে।
রোহিনী আচার্য: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে বিহারের রাজনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টি হয়, যখন আরজেডি নেত্রী এবং লালু যাদবের মেয়ে রোহিনী আচার্য এক্স-এ একটি বিতর্কিত পোস্ট শেয়ার করেন। পোস্টটির পর পরিবার ও দলের মধ্যে মতভেদের জল্পনা বাড়ে এবং রোহিনী তার অ্যাকাউন্ট প্রাইভেট করে নেন।
পুরো ঘটনাটি কী ছিল?
আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদবের মেয়ে রোহিনী আচার্য ১৯ সেপ্টেম্বর তার এক্স অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করেন, যা বিহারের রাজনীতিতে হঠাৎ আলোড়ন সৃষ্টি করে। পোস্টে তিনি লেখেন যে, একজন মেয়ে এবং বোন হিসেবে তিনি সর্বদা তার কর্তব্য পালন করে এসেছেন এবং ভবিষ্যতেও করে যাবেন। তিনি আরও বলেন যে, তার কোনো পদ বা রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা নেই এবং তার কাছে আত্মসম্মানই সর্বাগ্রে।
তবে, পোস্টটিতে অসন্তোষের সরাসরি কারণ প্রকাশ পায়নি, কিন্তু রাজনৈতিক মহলে আলোচনা ছিল যে এই বিতর্কটি আরজেডি সাংসদ এবং তেজস্বী যাদবের ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় যাদবের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। এর আগে তেজ প্রতাপ যাদবও সঞ্জয় যাদবের উপর পরোক্ষ হামলা চালিয়েছিলেন, যা জল্পনা আরও বাড়িয়ে তোলে।
কেন রোহিনী তার অ্যাকাউন্ট প্রাইভেট করলেন?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, রোহিনীর তার অ্যাকাউন্ট প্রাইভেট করার পিছনে দুটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ দেখা যেতে পারে। প্রথমত, তার মতামত নিয়ে সম্ভাব্য সমালোচনা এড়ানো এবং দ্বিতীয়ত, পরিবার ও দলের নেতাদের মধ্যে বিতর্ক আরও গভীর হওয়া থেকে রক্ষা করা।
রোহিনীর পোস্টগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ভাইরাল হচ্ছিল, যার পরে তার অ্যাকাউন্ট প্রাইভেট করার সিদ্ধান্ত আরও প্রশ্ন তৈরি করে। জনগণ এবং রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে এটি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে—কেউ কেউ এটিকে একটি বুদ্ধিমান পদক্ষেপ বলেছেন, আবার কেউ কেউ এটিকে বিতর্ক লুকানোর চেষ্টা বলে আখ্যা দিয়েছেন।
দলের মধ্যে কি টানাপোড়েন বাড়ছে?
এই বিতর্ক আরজেডি এবং লালু পরিবারের মধ্যে সম্ভাব্য টানাপোড়েনের ইঙ্গিত দিয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে পরিবার এবং দলের নেতাদের প্রতিটি পদক্ষেপে মিডিয়া ও জনগণের নজর থাকে। এমন পরিস্থিতিতে রোহিনীর অ্যাকাউন্ট প্রাইভেট করা ইঙ্গিত দেয় যে অভ্যন্তরীণ মতবিরোধ প্রকাশ পেতে পারে।
বর্তমানে রোহিনী এই বিষয়ে কোনো পাবলিক বিবৃতি দেননি। তবে তার সাম্প্রতিক পদক্ষেপ থেকে এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, আগামী সময়ে দলের মধ্যে কোনো ধরনের বিভাজন বা প্রকাশ্য মতভেদ সামনে আসতে পারে কিনা।