আইএসএস মিশন থেকে ফিরে শুভಾಂಶু শুক্লা দিল্লিতে তাঁর অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন। তিনি এটিকে পুরো দেশের মিশন বলেছেন। ইসরো ও ভারত সরকারের সহযোগিতায় এই মিশন সফল হয়েছে।
Shubhanshu Shukla: মহাকাশচারী গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভಾಂಶু শুক্লা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (ISS) থেকে সফল মিশনের পর প্রথমবার দিল্লিতে তাঁর অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন। ইসরো-র চেয়ারম্যান ডঃ ভি. নারায়ণনের সঙ্গে আয়োজিত প্রেস কনফারেন্সে শুভাংশু জানান, এটি শুধু তাঁর ব্যক্তিগত মিশন ছিল না, বরং পুরো দেশের মিশন ছিল। তিনি বলেন, মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে দেখা এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। উপর থেকে পৃথিবীর সৌন্দর্য এবং নাজুকতা দেখে তিনি অনুভব করেছেন যে আমাদের পরিবেশ এবং আমাদের পৃথিবীর সুরক্ষার দিকে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত।
দেশ এবং ইসরোর অবদান
শুভাংশু এই উপলক্ষে ভারত সরকার, ইসরো এবং মিশন টিমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে এই সাফল্যের পিছনে বিজ্ঞানী, ইঞ্জিনিয়ার এবং পুরো মিশন টিমের অবদান খুব গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও জানান যে মহাকাশে মিশন করা সহজ নয়, বরং এর জন্য মাসের পর মাস ধরে প্রস্তুতি, কঠোর পরিশ্রম এবং মানসিক দৃঢ়তার প্রয়োজন হয়। তাঁর অভিজ্ঞতা আগামী দিনের মহাকাশচারী এবং তরুণ বিজ্ঞানীদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।
ইসরোর অগ্রগতি এবং সাম্প্রতিক মিশন
ইসরো-র চেয়ারম্যান ডঃ নারায়ণন প্রেস কনফারেন্সে জানান যে ২০১৫ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ইসরো গত দশ বছরে করা মিশনের সংখ্যা দ্বিগুণ করেছে। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক ছয় মাসে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মহাকাশ মিশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি এক্সিওম-৪ মিশনের কথা উল্লেখ করে বলেন যে এই মিশন ভারতের স্পেস ক্ষেত্রে একটি নতুন উচ্চতার প্রতীক। ডঃ নারায়ণন বলেন, ভারত মহাকাশ বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিতে অভূতপূর্ব অগ্রগতি করেছে এবং ভবিষ্যতে আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং মিশন করা হবে।
মিশনের সময়কার অভিজ্ঞতা
শুভাংশু জানান যে মহাকাশে থাকার সময় তিনি পৃথিবীর ব্যাপক দৃশ্য দেখার সুযোগ পেয়েছেন। তিনি বলেন, মহাকাশে থাকার সময় জীবনের ছোট ছোট দিকগুলোর গুরুত্ব বোঝা যায়। সেখানে প্রতিটি কাজ সতর্কতা এবং নির্ভুলতার সঙ্গে করা হয়। তিনি আরও জানান যে মহাকাশ মিশনের সময় টিমওয়ার্ক এবং ভরসা খুব জরুরি।
ইসরো-র চেয়ারম্যান জানান যে আগামী দিনে ভারত আরও বেশি মহাকাশ মিশন করবে। এর মধ্যে প্রযুক্তিগত গবেষণা, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং মানব মহাকাশ মিশন অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তিনি বলেন যে তরুণ বিজ্ঞানী এবং মহাকাশচারীরা এই ক্ষেত্রে সক্রিয় অবদান রাখার জন্য প্রস্তুত। শুভাংশুর মিশন দেখিয়েছে যে ভারত মহাকাশের ক্ষেত্রে ক্রমাগত উন্নতি করছে এবং ভবিষ্যতে আরও কঠিন মিশনও সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন করবে।
অনুপ্রেরণার উৎস
শুভাংশু বলেন যে এই মিশন শুধু তাঁর জন্য নয়, বরং পুরো দেশের জন্য গর্বের বিষয়। তিনি তাঁর অভিজ্ঞতা ভাগ করে দেশবাসীকে বিজ্ঞান, গবেষণা এবং মহাকাশ ক্ষেত্রে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর অভিজ্ঞতা এই বার্তা দেয় যে কঠিন পরিশ্রম, একাগ্রতা এবং টিমওয়ার্কের মাধ্যমে যে কোনও ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করা সম্ভব।