শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংঘেকে শুক্রবার কলম্বোতে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) গ্রেফতার করেছে। রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন ব্যক্তিগত সফরের জন্য সরকারি তহবিল অপব্যবহারের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসার পরেই এই গ্রেফতারি হয়।
কলম্বো: শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংঘেকে শুক্রবার কলম্বোতে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) গ্রেফতার করেছে। রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন ব্যক্তিগত সফরের জন্য সরকারি তহবিল অপব্যবহারের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসার পরেই এই গ্রেফতারি হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রনিল বিক্রমাসিংহে শুক্রবার সকালে ফিনান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন (এফসিআইডি)-এর সামনে বয়ান রেকর্ড করতে এসেছিলেন। এফসিআইডি-এর এক আধিকারিক জানান, "আমরা তাঁকে কলম্বো ফোর্ট ম্যাজিস্ট্রেট-এর কাছে পেশ করছি।"
গ্রেফতারির কারণ
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রনিল বিক্রমাসিংহে শুক্রবার সকালে ফিনান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন (এফসিআইডি)-এর সামনে বয়ান রেকর্ড করতে এসেছিলেন। এফসিআইডি-এর আধিকারিক জানিয়েছেন, "আমরা তাঁকে কলম্বো ফোর্ট ম্যাজিস্ট্রেট-এর কাছে পেশ করছি। তাঁকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।"
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এবং তাঁর স্ত্রী মৈত্রী বিক্রমাসিংহের বিরুদ্ধে এই মামলাটি তাদের ২০২৩ সালের লন্ডন সফর সম্পর্কিত। সেই সময় তাঁরা হাভানা থেকে ফেরার পথে ইউনিভার্সিটি অফ উলভারহ্যাম্পটনের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। পুলিশের অভিযোগ, এই সফরের খরচের মধ্যে সরকারি অর্থ এবং নিরাপত্তা কর্মীদের বেতন অন্তর্ভুক্ত ছিল।
অন্যদিকে, রনিল বিক্রমাসিংহে সবসময় এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং বলেছেন যে তাঁর স্ত্রী সফরের সমস্ত খরচ নিজে বহন করেছিলেন এবং কোনও সরকারি তহবিল ব্যবহার করা হয়নি। যদিও, সিআইডি-র ধারণা, সফরের সময় সরকারি সম্পদের অপব্যবহার করা হয়েছে।
রনিল বিক্রমাসিংহের রাজনৈতিক পটভূমি
রনিল বিক্রমাসিংহে ২০২২ সালের জুলাই মাসে শ্রীলঙ্কার তৎকালীন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগের পর দেশের রাষ্ট্রপতি হন। রাজাপাকসের পদত্যাগের পেছনে ছিল দেশজুড়ে দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে মাসের পর মাস ধরে চলা বিক্ষোভ। বিক্রমাসিংহেকে শ্রীলঙ্কার ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দার পরে দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল করার কৃতিত্ব দেওয়া হয়।
তিনি বেশ কিছু কঠিন অর্থনৈতিক সংস্কার কার্যকর করেন এবং আন্তর্জাতিক সাহায্য পেতে সফল হন। যদিও, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তিনি বিরোধী নেতা অনুরা কুমারা দিসানায়কের কাছে পরাজিত হন। তাঁর গ্রেফতারি শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার উপর প্রশ্ন তুলতে পারে, কারণ প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে এই মামলা সরাসরি সরকারি তহবিলের অপব্যবহার এবং দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত।