ভিওয়ানিতে শিক্ষিকা মনীষার রহস্যমৃত্যু: সিবিআই তদন্তের নির্দেশ, বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর প্রমাণ

ভিওয়ানিতে শিক্ষিকা মনীষার রহস্যমৃত্যু: সিবিআই তদন্তের নির্দেশ, বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর প্রমাণ

ভিওয়ানিতে ১৯ বছর বয়সী শিক্ষিকা মনীষা রহস্যজনক পরিস্থিতিতে মৃত অবস্থায় উদ্ধার। ময়না তদন্তে বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর প্রমাণ। মামলা এখন সিবিআই-এর হাতে।

ভিওয়ানি। ১৩ই আগস্ট রহস্যজনক পরিস্থিতিতে মৃত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া ১৯ বছর বয়সী শিক্ষিকা মনীষার শেষকৃত্য বৃহস্পতিবার ভিওয়ানিতে সম্পন্ন হয়েছে। স্থানীয় লোকজন, আত্মীয়স্বজন এবং কর্মকর্তারা বিপুল সংখ্যায় উপস্থিত ছিলেন এবং শিক্ষিকাকে শ্রদ্ধা জানান। তাঁর মৃত্যুতে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মামলা এখন সিবিআই-এর হাতে

হরিয়ানা পুলিশ মনীষার মৃত্যুর তদন্ত কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (সিবিআই)-এর হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হরিয়ানার ডিজিপি শত্রুজিৎ কাপুর প্রেস কনফারেন্সে জানান, পরিবারের সদস্যদের দাবি এবং রাজ্য সরকারের প্রতিশ্রুতির কারণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সিবিআই এখন পুরো বিষয়টির স্বাধীন ও গভীর তদন্ত করবে।

বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর প্রমাণ

ডিজিপি শত্রুজিৎ কাপুর জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্টে স্পষ্টভাবে জানা গেছে যে মনীষার মৃত্যু বিষক্রিয়ার কারণে হয়েছে। বিষ প্রথমে শরীরের ভেতরের অংশে ছড়িয়ে পড়ে এবং পরে ত্বক ও উপরের অংশে পৌঁছয়। তদন্তে কোনো প্রকার ত্রুটি এড়াতে মৃতদেহের ভিডিওগ্রাফি-সহ ময়না তদন্ত করা হয়েছে।

সুইসাইড নোট গোপন রাখা হয়েছে

মনীষার ব্যাগে যে চিঠি পাওয়া গেছে, তা প্রকাশ্যে আনা হয়নি। ডিজিপি জানান, মেয়ের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা এবং তদন্তের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সুইসাইড নোটের সত্যতা যাচাই করতে সময় লেগেছে, তবে এখন এটা নিশ্চিত যে তদন্ত সম্পূর্ণভাবে বৈজ্ঞানিক ও আইনি পথে করা হবে।

ঘটনার প্রেক্ষাপট এবং সিসিটিভি প্রমাণ

ডিজিপি আরও জানান যে মনীষা ড্রাইভারকে ফোন করে জানিয়েছিল যে সে বাড়ি ফিরবে না। এরপর সে কীটনাশকের দোকানে গিয়েছিল। ঘটনার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে, যা তদন্তে সাহায্য করবে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, মৃতদেহ প্রথম একটি খেতে দেখা যায়, যেখানে একদল ভবঘুরে কুকুরও ছিল।

ইন্টারনেট পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ

এই ঘটনার জেরে ভিওয়ানিতে ২২শে আগস্ট সকাল ১১টা পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে। স্বরাষ্ট্র দপ্তরের আদেশে বলা হয়েছে, ভয়েস কল ছাড়া সমস্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে। এর উদ্দেশ্য হল গুজব এবং ভুল তথ্য ছড়ানো বন্ধ করা।

দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

ডিজিপি শত্রুজিৎ কাপুর আরও বলেন যে, মামলার খবরের ভুল সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করা লোকেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার এবং পুলিশের প্রধান লক্ষ্য হল এটা নিশ্চিত করা যে তদন্ত যেন সঠিকভাবে সম্পন্ন হয় এবং কোনো প্রকার গুজব বা ভিডিও ভাইরাল না হয়।

Leave a comment