উত্তর প্রদেশে PET পরীক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ: ৩১ নকলকারী গ্রেপ্তার, ৫ লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থী বয়কট

উত্তর প্রদেশে PET পরীক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ: ৩১ নকলকারী গ্রেপ্তার, ৫ লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থী বয়কট

উত্তর প্রদেশে পিইটি পরীক্ষায় নকল রোধে যোগী সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। রাজ্য জুড়ে ৩১ জন নকলকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অন্যদিকে ৫ লক্ষেরও বেশি প্রার্থী পরীক্ষা বয়কট করেছেন। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে পরীক্ষা স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

UP PET Exam: উত্তর প্রদেশে পিইটি পরীক্ষা (প্রাথমিক যোগ্যতা পরীক্ষা) চলাকালীন নকল রোধে যোগী সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পরীক্ষার সময় বিভিন্ন জেলা থেকে ৩১ জন নকলকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকার এবং উত্তর প্রদেশ अधीनस्थ সেবা নির্বাচন কমিশন পরীক্ষাটিকে নকল-মুক্ত ও নিরপেক্ষ করার জন্য আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করেছে।

এই বছর প্রায় ৫ লক্ষেরও বেশি প্রার্থী পরীক্ষা বয়কট করেছেন, যেখানে ৭৬.৭০% প্রার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। নকলকারীদের শনাক্ত করতে এআই-ভিত্তিক ফেসিয়াল রিকগনিশন, আইরিস স্ক্যান এবং অন্যান্য বায়োমেট্রিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল। এই প্রযুক্তি নকলের সম্ভাবনা প্রায় শূন্যে নামিয়ে এনেছে এবং পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিচালনা নিশ্চিত করেছে।

রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পরীক্ষা চলাকালীন ৩১ জন নকলকারী গ্রেপ্তার

পরীক্ষা চলাকালীন লখনউ, মথুরা, বারাণসী, কনৌজ, আম্বেদকরনগর, অযোধ্যা, আগ্রা, আলিগড়, বুলন্দশহর, গৌতম বুদ্ধ নগর, হাপুড়, জালান, ঝাঁসি, গাজিয়াবাদ, গাজীপুর, কানপুর নগর, মির্জাপুর, প্রয়াগরাজ, সাহারানপুর, সন্ত रविदास নগর এবং শাহজাহানপুর-এর মতো জেলা থেকে নকলকারীদের ধরা হয়েছে।

এই ৩১ জন নকলকারীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। লখনউ থেকে বিহারের এক বাসিন্দা, যিনি একজন নকলকারী, তাকেও ধরার খবর পাওয়া গেছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে প্রথম দিনও বেশ কয়েকটি জেলায় নকলকারী ধরা পড়ার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছিল।

প্রযুক্তি পরীক্ষার স্বচ্ছতা বাড়িয়েছে

এইবার উত্তর প্রদেশ अधीनस्थ সেবা নির্বাচন কমিশন পরীক্ষায় প্রযুক্তির বিশেষ ব্যবহার করেছে। প্রত্যেক প্রার্থীর ছবি এবং আইরিস বায়োমেট্রিক ডেটা সংগ্রহ করা হয়েছে। পাশাপাশি, পরীক্ষা পরিচালনায় নিযুক্ত কর্মীদের বায়োমেট্রিক উপস্থিতি বাধ্যতামূলক ছিল।

মেটাল ডিটেক্টর, মোবাইল জ্যামার এবং কঠোর নজরদারির মাধ্যমে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করানো হয়েছে। এই ধরনের প্রযুক্তি নকলকারীদের শনাক্ত করতে এবং পরীক্ষাকে স্বচ্ছ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে এই প্রযুক্তির ব্যবহার ভবিষ্যতের পরীক্ষাগুলিতেও নকল রোধে সহায়ক হবে।

প্রার্থীদের প্রস্তুতি এবং প্রশাসনের প্রচেষ্টা

পিইটি পরীক্ষায় লক্ষ লক্ষ প্রার্থী অংশগ্রহণ করেছিলেন। দূর-দূরান্ত থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানোর কারণে প্রার্থীদের অসুবিধা সম্মুখীন হতে হয়েছিল। তা সত্ত্বেও, পরীক্ষাটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

কর্মকর্তারা বলেছেন যে প্রযুক্তির ব্যবহারের পাশাপাশি, পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রশিক্ষিত কর্মী এবং নজরদারি দল পরীক্ষাটিকে নিরাপদ ও নিরপেক্ষ রাখতে সাহায্য করেছে। তারা প্রার্থীদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন যে তারা যেন পরীক্ষার নিয়মাবলী মেনে চলে এবং নকলের মতো কোনো অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িত না হয়।

Leave a comment