রবিবার, উত্তরাখণ্ডের রুরকি শহরে একটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে, যা সকলের মনে গভীর আঘাত দিয়েছে। ঘটনাটি সিভিল লাইন कोतवाली এলাকার, যেখানে অফিসে যাওয়া এক তরুণীকে দ্রুতগতির একটি গাড়ি চাপা দেয়, যখন তিনি বৃষ্টিতে ছাতা ধরে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার ভয়াবহতা এতটাই ছিল যে ঘটনাস্থলেই তরুণীর মৃত্যু হয়।
পুরো ঘটনাটি সেখানে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে এবং ভিডিওটি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ভাইরাল হচ্ছে। ভিডিওতে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে, গাড়িটি থামার পরিবর্তে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যায় এবং তরুণীকে ধাক্কা মেরে হিঁচড়ে নিয়ে যায়। দৃশ্যটি এতটাই ভয়ানক যে তা দেখে সকলের গা শিউরে উঠছে।
পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে
দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পুলিশ একটি মামলা রুজু করেছে এবং ধাক্কা মারা গাড়িটি জব্দ করেছে। যদিও দুর্ঘটনার পর থেকে গাড়ির চালক পলাতক, তাকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের দল তৎপরতা চালাচ্ছে।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, নিহত তরুণী পায়ে হেঁটে অফিসে যাচ্ছিলেন। তিনি ছাতা ধরে বৃষ্টিতে হাঁটছিলেন, সেই সময় পিছন থেকে আসা একটি দ্রুতগতির গাড়ি তাকে সজোরে ধাক্কা মারে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রথমে মনে হয়েছিল গাড়িটি থামবে, কিন্তু চালক গতি আরও বাড়িয়ে দেয় এবং তরুণীকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।
পুলিশ এখন সিসিটিভি ফুটেজ এবং অন্যান্য প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে শনাক্ত করার চেষ্টা করছে। একই সঙ্গে, মৃতের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে এবং তার পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে।
রুদ্রপ্রয়াগেও ভয়াবহ দুর্ঘটনা
এর আগে, রবিবার উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগ জেলায়ও একটি বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। রাজস্থান, গুজরাট, মহারাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রদেশ থেকে তীর্থযাত্রীদের নিয়ে যাওয়া একটি মিনিবাস অলকানন্দা নদীতে পড়ে যায়। বাসটি বদ্রীনাথ ধামের দিকে যাচ্ছিল। দুর্ঘটনার সময় বাসে চালক সহ প্রায় ২০ জন যাত্রী ছিলেন।
এ পর্যন্ত এই ঘটনায় ছয়জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। মৃতদের মধ্যে একজনের মৃতদেহ প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে হরিদ্বারে পাওয়া গেছে, যা দুর্ঘটনার ভয়াবহতা প্রমাণ করে। প্রশাসন, পুলিশ এবং এসডিআরএফ-এর দল দ্রুত উদ্ধার ও ত্রাণ কাজ চালাচ্ছে। আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং মৃতদেহগুলির সনাক্তকরণের কাজ চলছে।
সড়ক নিরাপত্তা আবারও প্রশ্নের মুখে
দুটি ঘটনাই আবারও প্রশ্ন তোলে যে, রাস্তায় দ্রুত গতি এবং অসাবধানতা কতটা বিপজ্জনক হতে পারে। রুরকির ঘটনা যেখানে একটি নিষ্পাপ জীবন কেড়ে নিয়েছে, সেখানে রুদ্রপ্রয়াগে তীর্থযাত্রীদের বাস দুর্ঘটনা অনেক পরিবারকে শোকের সাগরে ডুবিয়েছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে সড়ক নিরাপত্তা বিধিগুলি মেনে চলার এবং বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের আবেদন জানানো হয়েছে। সাধারণ মানুষেরও উচিত এই ঘটনাগুলি থেকে শিক্ষা নেওয়া এবং দায়িত্বের সঙ্গে যানবাহন চালানো, যাতে এ ধরনের দুঃখজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।