H3N2 ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস: উপসর্গ, ঝুঁকি ও প্রতিরোধের সতর্কবার্তা

H3N2 ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস: উপসর্গ, ঝুঁকি ও প্রতিরোধের সতর্কবার্তা

H3N2 ভাইরাস: ভারতে নতুন করে ফ্লুর সংক্রমণ বাড়াচ্ছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই ভাইরাস সর্দি, কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ তৈরি করছে এবং ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যে একাধিক সংক্রমণ ধরা পড়েছে। শিশু, প্রবীণ ও যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁদের জন্য এটি বেশি বিপজ্জনক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আইসিএমআর সতর্কতা জারি করেছে এবং জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে।

H3N2 ভাইরাস কী এবং কেন বিপজ্জনক

H3N2 ভাইরাস ইনফ্লুয়েঞ্জার একটি ধরন, যা সাধারণ ফ্লুর মতো হলেও এর প্রভাব অনেক বেশি গুরুতর। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এর সংক্রমণে ফুসফুস আক্রান্ত হতে পারে এবং অনেক ক্ষেত্রে নিউমোনিয়ার ঝুঁকিও তৈরি হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা রাখে।

উপসর্গগুলো চেনা জরুরি

এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে প্রথমে সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা ও জ্বর দেখা দেয়। সঙ্গে মাথাব্যথা, শরীরব্যথা ও অতিরিক্ত ক্লান্তি হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট এবং বুকে চাপও বাড়ে। চিকিৎসকদের মতে, উপসর্গ দেখা দিলেই অবহেলা না করে দ্রুত পরীক্ষা ও চিকিৎসা নেওয়া উচিত।

কারা বেশি ঝুঁকিতে

চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শিশু, প্রবীণ এবং যাঁরা ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা ফুসফুসজনিত সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের ক্ষেত্রে এই সংক্রমণ মারাত্মক হতে পারে। গর্ভবতী মহিলাদের জন্যও ঝুঁকি রয়েছে। তাই এই গোষ্ঠীর মানুষদের বিশেষ সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

প্রতিরোধে করণীয়

H3N2 প্রতিরোধে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মাস্ক পরা, হাত ধোওয়া, ভিড় এড়ানো ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখার ওপর জোর দিচ্ছেন। পাশাপাশি যথেষ্ট বিশ্রাম, পর্যাপ্ত জলপান ও সঠিক ঘুমও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। প্রয়োজনে টিকাদানও কার্যকর হতে পারে।

H3N2 ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ তৈরি করলেও এর প্রভাব আরও জটিল হতে পারে। বিশেষত শিশু ও বয়স্কদের জন্য এটি মারাত্মক ঝুঁকি বহন করছে। চিকিৎসকরা সতর্ক করছেন, সঠিক পরিচর্যা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নিলে সংক্রমণ গুরুতর আকার নিতে পারে।

Leave a comment