গুজরাটি সিনেমা 'Vash Level 2': কম বাজেটে বলিউডের থেকেও ভয়ঙ্কর!

গুজরাটি সিনেমা 'Vash Level 2': কম বাজেটে বলিউডের থেকেও ভয়ঙ্কর!

একদিকে যেখানে ৪০০ কোটি টাকার বিশাল বাজেটে তৈরি ওয়ার ২-এর মতো সিনেমা থেকে দর্শকদের অনেক প্রত্যাশা ছিল, কিন্তু বড় তারকারা থাকা সত্ত্বেও তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি, অন্যদিকে মাত্র ১০ কোটি টাকার বাজেটে গুজরাটি সিনেমা এমন একটি চলচ্চিত্র উপস্থাপন করেছে যা দর্শকদের হতবাক করে দিয়েছে।

  • Movie Review: Vash level 2
  • Director: কৃষ্ণদেব যাজ্ঞিক
  • Starring: জানকী বোড়িওয়ালা, হিতু কানোডিয়া, হিতেন কুমার, মোনাল গজ্জর
  • Platform: সিনেমা হল
  • Rating: 5/3.5 

বিনোদন: ভারতীয় সিনেমায় যখনই ভয়ের সিনেমার কথা আসে, প্রায়শই বলিউড সিনেমার উল্লেখ করা হয়। বড় বাজেট, সুপারস্টার এবং বিশাল প্রচার সত্ত্বেও, বেশিরভাগ হিন্দি ভয়ের সিনেমা দর্শকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়। কিন্তু এরই মধ্যে গুজরাটি সিনেমা থেকে আসা চলচ্চিত্র "Vash Level 2" প্রমাণ করেছে যে ভাল গল্প এবং শক্তিশালী পরিচালনা থাকলে, কম বাজেটেও এমন সিনেমা তৈরি করা সম্ভব যা দর্শকদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করবে।

সিনেমার গল্প 

সিনেমার গল্পটি অত্যন্ত ভীতিকর এবং চমকপ্রদ। একটি স্কুলের ক্যান্টিনে খাবার খাওয়ার পর ১০ জন মেয়ে হঠাৎ অদ্ভুত আচরণ করতে শুরু করে। তারা স্কুলের ছাদে উঠে যায় এবং একের পর এক লাফ দেয়। বাকি মেয়েরা সারা শহরে এমন ভয়ংকর কাজ করতে শুরু করে যা দুর্বল চিত্তের মানুষের জন্য দেখা সহজ নয়।

প্রত্যেকটি মেয়ে বারবার "প্রতাপ আঙ্কেল"-এর নাম নেয়। কিন্তু এই রহস্য থেকে যায় যে এই প্রতাপ আঙ্কেলটি কে? কেন এই নিষ্পাপ মেয়েরা নিজেদের এবং শহরকে ধ্বংস করতে উদ্যত হয়? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানতে দর্শকদের প্রেক্ষাগৃহে যেতে হবে।

সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা (Cinematic Experience)

"Vash Level 2" শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দর্শকদের তাদের আসন থেকে নড়তে দেয় না। প্রায় দুই ঘণ্টার কম এই সিনেমাটিতে কোথাও কোনওরকম অতিরিক্ত দৃশ্য মনে হয় না। প্রতিটি দৃশ্য নতুন মোড় নিয়ে আসে এবং দর্শকদের চমকে দেয়। চলচ্চিত্রটি ভাবতে বাধ্য করে যে বলিউড কেন কোটি কোটি টাকা খরচ করেও দুর্বল কনটেন্ট সরবরাহ করে, যেখানে আঞ্চলিক সিনেমা সীমিত বাজেটেও এত প্রভাবশালী গল্প তৈরি করছে।

সিনেমার সবচেয়ে বড় শক্তি এর অভিনয়। জানকী বোড়িওয়ালা তার অভিব্যক্তি এবং চেহারা দিয়েই এমন আতঙ্ক সৃষ্টি করেছেন যে দর্শকরা শিউরে ওঠেন। যদিও তার ভূমিকা আরও বড় হতে পারত। হিতু কানোডিয়া, হিতেন কুমার এবং মোনাল গজ্জরও চমৎকার অভিনয় করেছেন। প্রতিটি শিল্পী তাদের চরিত্রকে এত আন্তরিকতার সাথে ফুটিয়ে তুলেছেন যে সিনেমার প্রভাব আরও গভীর হয়ে যায়।

রাইটিং এবং পরিচালনা (Writing & Direction)

ছবির লেখক ও পরিচালক কৃষ্ণদেব যাজ্ঞিক চমৎকার কাজ করেছেন। তার লেখা দর্শকদের একটানা ধরে রাখে। একই সাথে, তিনি সিনেমার দৈর্ঘ্য মাত্র দুই ঘণ্টার কম রেখেছেন, যার কারণে গল্পটি কোনো রকম বোঝা ছাড়াই কার্যকরী মনে হয়। যাজ্ঞিক দেখিয়ে দিয়েছেন যে ভয়ের সিনেমায় শুধু জাম্প স্কেয়ার নয়, একটি শক্তিশালী ন্যারেটিভও থাকতে পারে। সিনেমার ক্লাইম্যাক্স আরও একটু ভালো হতে পারত, তবে সব মিলিয়ে এটি দর্শকদের হতাশ করে না।

Leave a comment