মহিলা ওয়ানডে বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার রোমাঞ্চকর জয়, বাংলাদেশকে হারাল ৩ উইকেটে

মহিলা ওয়ানডে বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার রোমাঞ্চকর জয়, বাংলাদেশকে হারাল ৩ উইকেটে
সর্বশেষ আপডেট: 2 ঘণ্টা আগে

মহিলা ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৪তম ম্যাচটি দক্ষিণ আফ্রিকা এবং বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণভাবে খেলা হয়েছে। প্রথমে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৩২ রান তুলেছিল।

স্পোর্টস নিউজ: মহিলা ওয়ানডে বিশ্বকাপ ২০২৫-এর ১৪তম ম্যাচটি দক্ষিণ আফ্রিকা এবং বাংলাদেশের মধ্যে খেলা হয়েছিল, যা দর্শকদের শেষ ওভার পর্যন্ত ধরে রেখেছিল। এই উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে ৩ উইকেটে জয় লাভ করে এবং টুর্নামেন্টে তাদের জয়ের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করে। এই ম্যাচটি কেবল রোমাঞ্চে ভরপুর ছিল না, উভয় দলের খেলোয়াড়রাও তাদের অসাধারণ ইনিংস দিয়ে খেলাটিকে স্মরণীয় করে তুলেছিল।

বাংলাদেশ শক্তিশালী চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল, স্কোরবোর্ডে ২৩২ রান

টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়। ওপেনিং ব্যাটসম্যান রুবায়া হায়দার এবং শারমিন আক্তার দলকে একটি দৃঢ় সূচনা এনে দেন। দুজনেই প্রথম উইকেটে ৫৩ রানের জুটি গড়েন। রুবায়া হায়দার ২৫ রান করে আউট হন, আর ফারজানা হক ৩০ রান অবদান রাখেন। অধিনায়ক নিগার সুলতানা ৩২ রানের ইনিংস খেলেন, তবে দলের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল শারমিন আক্তার এবং স্বর্ণা আক্তারের। 

শারমিন আক্তার ৭৭ বলে দুর্দান্ত ৫০ রানের ইনিংস খেলেন, অন্যদিকে স্বর্ণা আক্তার ঝড়ো ব্যাটিং করে মাত্র ৩৫ বলে ৫১ রান করেন। তার এই ইনিংসে চার ও ছক্কার বর্ষণ দেখা যায়। শেষ ওভারগুলিতে ঋতু মনিও একটি দ্রুত ইনিংস খেলেন এবং মাত্র ৮ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। এই অসাধারণ ইনিংসগুলির সুবাদে বাংলাদেশ নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৩২ রান তোলে।

দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিংয়ের কথা বললে, ননকুলুলেকো ম্লাবা সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন, যিনি ২ উইকেট দখল করেন। ক্লোই ট্রাইওন এবং নাদিনে ক্লার্কও ১-১ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে বড় স্কোর করা থেকে আটকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার খারাপ শুরুর পর ক্যাপ এবং ট্রাইওন ইনিংস সামলান

২৩৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার দলের শুরুটা ছিল অত্যন্ত হতাশাজনক। ওপেনার তাইজমিন ব্রিটস কোনো রান না করেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন। যদিও লরা ভলভার্ট এবং অ্যানিক বশ দ্বিতীয় উইকেটে ৫৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে দলকে স্থিতিশীলতা দেন। কিন্তু শীঘ্রই ভলভার্ট ২৯ রান করে আউট হন এবং এর পরপরই উইকেট পড়তে শুরু করে। দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র ৭৮ রানে তাদের ৫ উইকেট হারায়। সে সময় বাংলাদেশের জয় প্রায় নিশ্চিত বলে মনে করা হচ্ছিল।

এই কঠিন সময়ে মারিজান ক্যাপ এবং ক্লোই ট্রাইওন মিলে দুর্দান্ত একটি জুটি গড়েন। দুজনেই সংযত ব্যাটিং করে স্কোর ধীরে ধীরে এগিয়ে নিয়ে যান। ক্যাপ ৭১ বলে ৫৬ রান করেন, অন্যদিকে ট্রাইওন দায়িত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে ৬২ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস খেলেন। ম্যাচের শেষ ওভারগুলিতে যখন দক্ষিণ আফ্রিকাকে রান রেট বাড়াতে হচ্ছিল, তখন নাদিনে ক্লার্ক ঝড়ো ব্যাটিং করে মাত্র ২৯ বলে ৩৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন এবং দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৯.৩ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে এই লক্ষ্য অর্জন করে।

Leave a comment