বিহার মহাজোটের আসন বণ্টন চূড়ান্তের পথে: আরজেডি, কংগ্রেস, ভিআইপি ও বামেদের কার কপালে কত আসন?

বিহার মহাজোটের আসন বণ্টন চূড়ান্তের পথে: আরজেডি, কংগ্রেস, ভিআইপি ও বামেদের কার কপালে কত আসন?
সর্বশেষ আপডেট: 2 ঘণ্টা আগে

বিহার বিধানসভা নির্বাচনের জন্য মহাজোটে আসন বণ্টন নিয়ে যে জট পাকিয়েছিল, তা এখন খুলতে শুরু করেছে বলে মনে হচ্ছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, মহাজোটের আসন বণ্টন চূড়ান্ত হয়েছে।

পাটনা: ২০২৫ সালের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের জন্য মহাজোটে আসন বণ্টন প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) পেয়েছে ১৩৫টি আসন, কংগ্রেস পেয়েছে ৬১টি আসন, এবং ভিআইপি (VIP) পেয়েছে ১৬টি আসন। অন্যদিকে, বামপন্থী দলগুলি— যার মধ্যে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) [সিপিআই(এমএল)], ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিআই) এবং ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) [সিপিএম] অন্তর্ভুক্ত—কে মোট ৩১টি আসন বরাদ্দ করা হয়েছে।

তবে, এই বন্টনের পরেও কিছু আসনে আরজেডি এবং কংগ্রেসের মধ্যে অধিকার নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তেজস্বী যাদবের দিল্লি থেকে ফেরার পর এই চিত্র কিছুটা স্পষ্ট হয়েছে, কিন্তু কিছু আসনে কোন প্রার্থী নির্বাচন লড়বেন, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

ভিআইপিকে ১৬টি আসন, মুকেশ সাহানি থাকবেন মহাজোটের অংশ

সূত্রের খবর অনুযায়ী, মুকেশ সাহানির দল ভিআইপিকে মোট ১৬টি আসন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ আসনে কংগ্রেস এবং আরজেডি-র প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, কিন্তু নির্বাচনী প্রতীক ভিআইপি-র থাকবে। উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়েও এখনও পর্যন্ত ঐকমত্য হয়নি এবং এই সিদ্ধান্ত নির্বাচনের পর নেওয়া হবে। তেজস্বী যাদবই মহাজোটের নির্বাচনী মুখ হবেন এবং তাঁর নেতৃত্বেই নির্বাচন লড়া হবে। ভিআইপি-র আসনগুলি এই ইঙ্গিত দেয় যে মহাজোটে সমস্ত দলকে সুষম প্রতিনিধিত্ব দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

আরজেডি এবং কংগ্রেসের মধ্যে বিতর্কিত আসন

বন্টনের পরেও কিছু আসনে আরজেডি এবং কংগ্রেসের মধ্যে সংঘাত এখনও বিদ্যমান। সূত্রের খবর অনুযায়ী: কিছু আসন যেখানে আরজেডি-র দখল রয়েছে, সেখানে কংগ্রেস নিজেদের দাবি জানাচ্ছে। একইভাবে, কংগ্রেসের কিছু আসনে আরজেডি-ও নির্বাচন লড়তে চায়। বামপন্থী দলগুলিও কিছু আসনে নিজেদের দাবি পেশ করছে। মহাজোটের নেতারা দিল্লিতে একটি বৈঠক করেছেন, যেখানে কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি খাড়গে এবং প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী উপস্থিত ছিলেন না। মনে করা হচ্ছে যে রাহুল গান্ধী তেজস্বী যাদবের সাথে ফোনে কথা বলেছেন। অন্যদিকে, তেজস্বী যাদবের কংগ্রেস নেতা বেণুগোপালের সাথে সাক্ষাৎ অবশ্যই হয়েছে।

মহাজোটে কোন আসন কোন দলের হবে, তা চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া এখনও চলছে। এই কারণেই প্রতীক বিতরণ এবং জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় বিলম্ব হয়েছে। সূত্র অনুযায়ী, আরজেডি এবং মালে কিছু প্রার্থীকে দলীয় প্রতীক বিতরণও করেছিল। কিন্তু গভীর রাতে খবর আসে যে যাদের প্রতীক দেওয়া হয়েছিল, তাদের ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপ সম্ভবত আসন বণ্টন চূড়ান্ত হওয়ার পরেই কার্যকর করা হবে।

Leave a comment